Rain Update: জুন মাসের বৃষ্টি ঘিরে অদ্ভুত তথ্য...পাল্টে যাচ্ছে প্যাটার্ন? যে জেলায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নাম জানলে তাজ্জব হয়ে যাবেন, জানুন কোন জোনে আপনার জেলা?
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
- Reported by:BISWAJIT SAHA
Last Updated:
পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরে গিয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি এখনই থামছে না রাজ্যে। আজ ঝড়-বৃষ্টির জন্য দক্ষিণের সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হতে পারে। বুধবার উত্তরের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।
[caption id="" align="alignnone" width="1200"] কলকাতা: বর্ষার মরসুম৷ কালো মেঘের ভারে ঝুঁকে রয়েছে আকাশ৷ মাঝে মাঝে সেই মেঘের সরছে কিছুক্ষণের জন্য৷ জুন মাস পেরিয়ে জুলাইয়ে পা রেখেছে বর্ষা৷ বেরচ্ছে ঝকঝকে সোনালি রোদ৷ আর গোটা জুন মাসের বর্ষার পরিসংখ্যান দেখে সামনে আসছে এক অদ্ভুত তথ্য৷ কোন জেলায় অদ্ভুত ভাবে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে, আর কোনটাই অদ্ভুতভাবে কম? কোন জেলা রয়েছে গ্রিন জোনে, কোনটাই বা ব্লুতে৷ সেটার অর্থই বা কী, বিস্তারিত জানিয়েছে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ Generated image
[/caption]
advertisement
[caption id="" align="alignnone" width="1200"] দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টি। তিন জেলাতে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছু বেশি বৃষ্টি। ছয় জেলাতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। বাকি তিন জেলাতে বৃষ্টির ঘাটতি। রুখাশুখা বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেই বেশি বৃষ্টি এই বর্ষায়। ১০০% এর বেশি বৃষ্টি হয়েছে এই দুই জেলাতে। গোটা জুন মাসে জুড়েই বর্ষার বৃষ্টির এই তথ্য জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের একমাত্র স্বাভাবিক বৃষ্টি মালদাতে। বাকি সব জেলাতেই ঘাটতি। Generated image
[/caption]
advertisement
[caption id="" align="alignnone" width="1200"] দক্ষিণবঙ্গে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়াতে। বাঁকুড়া তে বৃষ্টি হয়েছে ৫৬৭.৭ মিলিমিটার। আবহাওয়া দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১১৮ শতাংশ বেশি। পুরুলিয়াতেও বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের তুলনায় ১০৯ শতাংশ বেশি। পুরুলিয়াতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ পয়লা জুন থেকে পয়লা জুলাই পর্যন্ত ৪৯৯.৬ মিলিমিটার। এই দুই জেলাকেই "ডিপ ব্লুজোনে" রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। অর্থাৎ, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি। Generated image
[/caption]
advertisement
[caption id="" align="alignnone" width="1200"] এছাড়াও ব্লু জোন বা অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে তিন জেলাতে। এই তিন জেলার মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঝাড়গ্রামে ৩৩০.৭ মিলিমিটার যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। এরপর পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২৮৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে বৃষ্টি হয়েছে ২৯৪.২ মিলিমিটার যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। Generated image
[/caption]
advertisement
[caption id="" align="alignnone" width="1200"] এবার গ্রিন জোনে অর্থাৎ স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তালিকায় রয়েছে কলকাতা সহ ছয় জেলা। স্বাভাবিকের ২০ শতাংশ কম থেকে স্বাভাবিকের কুড়ি শতাংশ বেশি পর্যন্ত এই গ্রিন জোন। এই গ্রিন জনে রয়েছে বীরভূম, হুগলি, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ১৯৫.৪ মিলিমিটার, ২৩৭.৯ মিলিমিটার, ২৫২ মিলিমিটার, ২৭৫.৬ মিলিমিটার, ২৮৪.১ মিলিমিটার, ৩১৮.৮ মিলিমিটার। Generated image
[/caption]
advertisement
[caption id="" align="alignnone" width="1200"] দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রেড জোন অর্থাৎ বৃষ্টির ঘাটটির তালিকায় রয়েছে মুর্শিদাবাদ নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে। মুর্শিদাবাদ জেলায় ১৪৭.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম। নদীয়াতে বৃষ্টি হয়েছে ১৬১.৪ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম। পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টি হয়েছে ২১৮.৯ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২২ শতাংশ কম। Generated image
[/caption]
advertisement
[caption id="" align="alignnone" width="1200"] উত্তরবঙ্গের একমাত্র মালদা তেই স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। মালদাতে বৃষ্টি হয়েছে ২১৭.৯ মিলিমিটার যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। এছাড়া বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে দার্জিলিং জেলায় ৩৫ শতাংশ, কালিম্পং ২৩ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৩৮ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ৩৯ শতাংশ, কোচবিহারের ২৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩৩ শতাংশ সবথেকে বেশি উত্তর দিনাজপুরে ৫২ শতাংশ। Generated image
[/caption]
advertisement
[caption id="" align="alignnone" width="1200"] আবহাওয়া দফতার জানাচ্ছে, আজ, বুধবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আজ, বুধবার উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য জুড়েই বাড়বে বৃষ্টি ৷ শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির স্পেল থাকবে। রবিবার থেকে ফের কমতে পারে বৃষ্টির ব্যাপকতা। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷ Generated image
[/caption]
advertisement
পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরে গিয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি এখনই থামছে না রাজ্যে। আজ ঝড়-বৃষ্টির জন্য দক্ষিণের সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হতে পারে। বুধবার উত্তরের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। Generated image
advertisement
কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। রোদ উঠলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই বেশি রয়েছে। দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে রয়েছে। আজ, বুধবার সামান্য বাড়তে পারে তাপমাত্রা। বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি; বৃষ্টি না হলে অস্বস্তি বাড়তে পারে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। Generated image