*ভারত থেকে যাওয়া মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। সেই সময় কোনওক্রমে বাড়ি ফিরেছিলেন তারা। কিন্তু এই এক বছরে তাদের জীবনেও বদল হয়েছে। কেউ পড়াশোনা শুরু করেছেন অন্য দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেউ আবার বাড়ি থেকে এখনও অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন যতটা সম্ভব। আবার কেউ পড়াশোনার তাগিদে ফিরে গিয়েছেন ইউক্রেন। তেমনি একজন দুর্গাপুরের নেহা খান।
*নেহা যুদ্ধ পরিস্থিতির একটু উন্নতি হওয়ার পর ভিন দেশে পাড়ি দিয়েছেন। আর সেখান থেকে ফোনে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি তাদের জীবন যাপন নিয়ে নেহা খান জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তিনি ফিরেছেন ইউক্রেনে। সেখানেই পড়াশোনা শুরু করেছেন।
*নেহা আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনে বেশি সমস্যা হচ্ছে পাওয়ার কাট। কারণ অনেকগুলি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র যুদ্ধের কারণে নষ্ট হয়েছে। ফলে সারাদিনে ২-৩ ঘন্টা করে পাওয়ার কাট থাকছে। সেই সময় অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে ভিনদেশী জীবন। তা ছাড়াও যখন যুদ্ধের জন্য সাইরেন বাজছে, তখন বাতিল হয়ে যাচ্ছে ক্লাস। ফলে কোর্সের মেয়াদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
*অন্যদিকে, যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাজারেও। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সেখানে বেশ কিছুটা বেড়েছে। নেহা জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে ইউক্রেনের ইভানো ফ্রাঙ্কভিস্ক শহরে রয়েছেন। ইউক্রেনের এই শহরটি কিভ, খারকিভ শহরের থেকে কিছুটা সুরক্ষিত। সেজন্য ওই সমস্ত শহরের বাসিন্দারাও এই শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এই জায়গায় মোটের ওপরে জনজীবন বেশিরভাগ দিন স্বাভাবিক।
*যুদ্ধের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইউক্রেন সরকার বিশেষভাবে সতর্ক ছিল। সেই সময় বর্ডার এলাকা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে তেমন বিশেষ সমস্যা কিছু হয়নি। নেহা চান যত দ্রুত সম্ভব পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরতে। কারণ অনেক বন্ধুরা হয়তো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন, কেউ কেউ আবার বাড়িতেই থেকে গিয়েছেন। তাই দ্রুত পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি ফিরতে চান। মুক্তি পেতে চান যুদ্ধ আতঙ্ক থেকে।