আজব গ্রাম, এখানে মৃতদের সঙ্গে থাকেন মানুষেরা, আড্ডাও চলে রোজ !

Last Updated:
তাঁরা মনে করেন কারও মৃত্যু হওয়া মানে তিনি জীবিত কিন্তু ভীষণ অসুস্থ।
1/8
মৃতের সঙ্গে বসবাস এমন কথা কখনও আগে শুনেছেন? শুধু বসবাসই নয় মৃত ব্যক্তিদের নাকি রোজ স্নান করানো, পোশাক পরানো এমনকি খাওয়ানোও হয়। বিষয়টা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটা সত্যি। অনেকে মনে করতেই পারেন এটা বোকামি বা মানসিক ভারসাম্যহীনতার পরিচয়। কিন্তু এমন একটা এলাকা আছে যেখানে যুগ যুগ ধরে তারা এই রীতিটাই মেনে আসছেন ওখানকার বাসিন্দারা।
মৃতের সঙ্গে বসবাস এমন কথা কখনও আগে শুনেছেন? শুধু বসবাসই নয় মৃত ব্যক্তিদের নাকি রোজ স্নান করানো, পোশাক পরানো এমনকি খাওয়ানোও হয়। বিষয়টা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটা সত্যি। অনেকে মনে করতেই পারেন এটা বোকামি বা মানসিক ভারসাম্যহীনতার পরিচয়। কিন্তু এমন একটা এলাকা আছে যেখানে যুগ যুগ ধরে তারা এই রীতিটাই মেনে আসছেন ওখানকার বাসিন্দারা।
advertisement
2/8
ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে সুলাবেসি এলাকায় রয়েছে। সেখানে থোরাজা সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে। এঁরা ছোট থেকেই এই বিশ্বাস নিয়েই বড় হয়েছেন- মৃত্যু মানে জীবনের শেষ নয় বরং জীবনের যাত্রার একটা অংশ হল মৃত্যু। তাঁরা মনে করেন কারও মৃত্যু হওয়া মানে তিনি জীবিত কিন্তু ভীষণ অসুস্থ। তাই হাঁটাচলা, খাওয়া এমনকি কথা বলতে পারেন না।
ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে সুলাবেসি এলাকায় রয়েছে। সেখানে থোরাজা সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে। এঁরা ছোট থেকেই এই বিশ্বাস নিয়েই বড় হয়েছেন- মৃত্যু মানে জীবনের শেষ নয় বরং জীবনের যাত্রার একটা অংশ হল মৃত্যু। তাঁরা মনে করেন কারও মৃত্যু হওয়া মানে তিনি জীবিত কিন্তু ভীষণ অসুস্থ। তাই হাঁটাচলা, খাওয়া এমনকি কথা বলতে পারেন না।
advertisement
3/8
থোরাজা সম্প্রদায়ের কোনও আত্মীয়-পরিজনের মৃত্যু হলে তাঁরা শেষ কৃত্য না করে সেই মৃতদেহের বিশেষ যত্ন নিতে শুরু করেন। কফিনের মধ্যে প্রিয়জনদের দেহ রেখে দেওয়া হয়। প্রতিদিন সময় করে জল, খাবার এমনকি যারা সিগারেট খেতেন তাঁদের রোজ সময় করে সিগারেটও দেওয়া হয়। প্রতিদিন সময় করে পুরো দেহ পরিষ্কার করিয়ে, নতুন পোশাক বদলানো হয়।
থোরাজা সম্প্রদায়ের কোনও আত্মীয়-পরিজনের মৃত্যু হলে তাঁরা শেষ কৃত্য না করে সেই মৃতদেহের বিশেষ যত্ন নিতে শুরু করেন। কফিনের মধ্যে প্রিয়জনদের দেহ রেখে দেওয়া হয়। প্রতিদিন সময় করে জল, খাবার এমনকি যারা সিগারেট খেতেন তাঁদের রোজ সময় করে সিগারেটও দেওয়া হয়। প্রতিদিন সময় করে পুরো দেহ পরিষ্কার করিয়ে, নতুন পোশাক বদলানো হয়।
advertisement
4/8
প্রিয়জনদের যাতে কখনও মনে না হয় তাদের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন না পরিবারের বাকি সদস্যেরা। তাই পালা করে পরিবারের প্রত্যেকেই সময়মতো কফিনের ঢাকনা খুলে প্রিয়জনের সঙ্গে গল্পও করেন।
প্রিয়জনদের যাতে কখনও মনে না হয় তাদের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন না পরিবারের বাকি সদস্যেরা। তাই পালা করে পরিবারের প্রত্যেকেই সময়মতো কফিনের ঢাকনা খুলে প্রিয়জনের সঙ্গে গল্পও করেন।
advertisement
5/8
এইভাবে কোনও পরিবার এক সপ্তাহ, কোনও পরিবার একমাস আবার কেউ কেউ এক বছরও প্রিয়জনের দেহ এইভাবে নিজের কাছে রেখে দেন। যার সামর্থ্য যত বেশি, তিনি তত বেশি দিন নিজের কাছে ওই মৃতদেহ রেখে দেন। কারণ মৃতদেহ ভাল করে সংরক্ষণ করাটাও জরুরি তা না হলে পচে-গলে যাবে। আর সেটা করতে যথেষ্ট খরচ করতে হয়। তার জন্য বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিকের প্রয়োজন হয়।
এইভাবে কোনও পরিবার এক সপ্তাহ, কোনও পরিবার একমাস আবার কেউ কেউ এক বছরও প্রিয়জনের দেহ এইভাবে নিজের কাছে রেখে দেন। যার সামর্থ্য যত বেশি, তিনি তত বেশি দিন নিজের কাছে ওই মৃতদেহ রেখে দেন। কারণ মৃতদেহ ভাল করে সংরক্ষণ করাটাও জরুরি তা না হলে পচে-গলে যাবে। আর সেটা করতে যথেষ্ট খরচ করতে হয়। তার জন্য বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিকের প্রয়োজন হয়।
advertisement
6/8
এরপর আসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পর্ব। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য হল, মহিষ বলি। থোরাজাদের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর মহিষই তাদের স্বর্গের রাস্তা দেখিয়ে দেয়। মহিষের পিঠে চেপেই তারা স্বর্গলোকে যান। একজন মৃত ব্যক্তির জন্য অন্তত একটা মোষ বলি দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। একটা মধ্যবিত্ত পরিবার একজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ২৪টা মহিষের বলি দেয়। সামর্থ্য থাকলে বলির সংখ্যা আরও বাড়ে।
এরপর আসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পর্ব। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য হল, মহিষ বলি। থোরাজাদের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর মহিষই তাদের স্বর্গের রাস্তা দেখিয়ে দেয়। মহিষের পিঠে চেপেই তারা স্বর্গলোকে যান। একজন মৃত ব্যক্তির জন্য অন্তত একটা মোষ বলি দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। একটা মধ্যবিত্ত পরিবার একজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ২৪টা মহিষের বলি দেয়। সামর্থ্য থাকলে বলির সংখ্যা আরও বাড়ে।
advertisement
7/8
শেষকৃত্যের প্রক্রিয়াকে থোরাজারা বলেন রাম্বু সোলো। মৃতদেহ কবর দেয় না থোরাজারা। মৃতদেহ সমেত কফিন নির্দিষ্ট কোনও গুহায় রেখে দেওয়া হয়। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এমন গুহা প্রচুর রয়েছে পাঙ্গালায়।
শেষকৃত্যের প্রক্রিয়াকে থোরাজারা বলেন রাম্বু সোলো। মৃতদেহ কবর দেয় না থোরাজারা। মৃতদেহ সমেত কফিন নির্দিষ্ট কোনও গুহায় রেখে দেওয়া হয়। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এমন গুহা প্রচুর রয়েছে পাঙ্গালায়।
advertisement
8/8
কিন্তু তার পরও প্রিয়জনকে ‘ভুলে’ যান না তারা। বছরে একবার সমস্ত আত্মীয়-পরিজন সেই গুহার কাছে জড়ো হন, কফিন থেকে মৃতদেহ তুলে পরিষ্কার করে নতুন পোশাক পরানো হয়, খাওয়ানো হয়। এভাবেই তাদের সম্মান জানানোর রীতি চলতে থাকে।
কিন্তু তার পরও প্রিয়জনকে ‘ভুলে’ যান না তারা। বছরে একবার সমস্ত আত্মীয়-পরিজন সেই গুহার কাছে জড়ো হন, কফিন থেকে মৃতদেহ তুলে পরিষ্কার করে নতুন পোশাক পরানো হয়, খাওয়ানো হয়। এভাবেই তাদের সম্মান জানানোর রীতি চলতে থাকে।
advertisement
advertisement
advertisement