আজব গ্রাম, এখানে মৃতদের সঙ্গে থাকেন মানুষেরা, আড্ডাও চলে রোজ !
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
তাঁরা মনে করেন কারও মৃত্যু হওয়া মানে তিনি জীবিত কিন্তু ভীষণ অসুস্থ।
মৃতের সঙ্গে বসবাস এমন কথা কখনও আগে শুনেছেন? শুধু বসবাসই নয় মৃত ব্যক্তিদের নাকি রোজ স্নান করানো, পোশাক পরানো এমনকি খাওয়ানোও হয়। বিষয়টা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটা সত্যি। অনেকে মনে করতেই পারেন এটা বোকামি বা মানসিক ভারসাম্যহীনতার পরিচয়। কিন্তু এমন একটা এলাকা আছে যেখানে যুগ যুগ ধরে তারা এই রীতিটাই মেনে আসছেন ওখানকার বাসিন্দারা।
advertisement
ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে সুলাবেসি এলাকায় রয়েছে। সেখানে থোরাজা সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে। এঁরা ছোট থেকেই এই বিশ্বাস নিয়েই বড় হয়েছেন- মৃত্যু মানে জীবনের শেষ নয় বরং জীবনের যাত্রার একটা অংশ হল মৃত্যু। তাঁরা মনে করেন কারও মৃত্যু হওয়া মানে তিনি জীবিত কিন্তু ভীষণ অসুস্থ। তাই হাঁটাচলা, খাওয়া এমনকি কথা বলতে পারেন না।
advertisement
থোরাজা সম্প্রদায়ের কোনও আত্মীয়-পরিজনের মৃত্যু হলে তাঁরা শেষ কৃত্য না করে সেই মৃতদেহের বিশেষ যত্ন নিতে শুরু করেন। কফিনের মধ্যে প্রিয়জনদের দেহ রেখে দেওয়া হয়। প্রতিদিন সময় করে জল, খাবার এমনকি যারা সিগারেট খেতেন তাঁদের রোজ সময় করে সিগারেটও দেওয়া হয়। প্রতিদিন সময় করে পুরো দেহ পরিষ্কার করিয়ে, নতুন পোশাক বদলানো হয়।
advertisement
advertisement
এইভাবে কোনও পরিবার এক সপ্তাহ, কোনও পরিবার একমাস আবার কেউ কেউ এক বছরও প্রিয়জনের দেহ এইভাবে নিজের কাছে রেখে দেন। যার সামর্থ্য যত বেশি, তিনি তত বেশি দিন নিজের কাছে ওই মৃতদেহ রেখে দেন। কারণ মৃতদেহ ভাল করে সংরক্ষণ করাটাও জরুরি তা না হলে পচে-গলে যাবে। আর সেটা করতে যথেষ্ট খরচ করতে হয়। তার জন্য বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিকের প্রয়োজন হয়।
advertisement
এরপর আসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পর্ব। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য হল, মহিষ বলি। থোরাজাদের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর মহিষই তাদের স্বর্গের রাস্তা দেখিয়ে দেয়। মহিষের পিঠে চেপেই তারা স্বর্গলোকে যান। একজন মৃত ব্যক্তির জন্য অন্তত একটা মোষ বলি দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। একটা মধ্যবিত্ত পরিবার একজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ২৪টা মহিষের বলি দেয়। সামর্থ্য থাকলে বলির সংখ্যা আরও বাড়ে।
advertisement
advertisement