১৩ বছরের ছেলেকে দিয়ে গাড়ি থেকে ক্লাসরুমে যৌন-সুখ মিটিয়ে শ্রীঘরে ২৮ বছরের শিক্ষিকা!
- Published by:Amrit Halder
- news18 bangla
Last Updated:
♦ তিনি শিক্ষিকা ৷ তাঁর উপরেই শিশুদের শিক্ষার ভার ৷ কিন্তু তিনিই যে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউই ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় ২৮ বছর বয়সী এক স্কুলশিক্ষিকা বৃটানি জামোরা তারই মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। কখনও নিজের গাড়িতে, কখনও ক্লাসরুমে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। বিষয়টি ধরা পড়ার পর তিনি ওই ছাত্রের বাবার কাছে অনুনয় করেন তিনি যেন বিষয়টি পুলিশে না জানান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি জামোরার।
♦ তাঁকে এই অপরাধে ২০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃটানি জামোরাকে আগামী ২০ বছর বা দুই দশক অ্যারিজোনা রাজ্যের পেরিভিলে জেলেই কাটাতে হবে। তবু তাঁর মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই শিক্ষার্থীর প্রতি আকর্ষণ জন্মে ওঠে। তিনি অ্যারিজোনার লাস ব্রিসাস একাডেমিতে শিক্ষকতা করতেন। সেখানেই তাঁর শিকারে পরিণত হয় ওই ছেলে। প্রথমে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে টেক্সট বিনিময় থেকে। পরে তা আস্তে আস্তে যৌন সম্পর্কে রূপ নেয়।
♦ এরই মধ্যে নতুন একটি রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে শোনা যায় টেলিফোনে ওই বালকের বাবার সঙ্গে কথা বলছেন জামোরা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে শোনা যায়। এরপরেই ওই যুবতী শিক্ষিকা বালকটির বাবাকে অনুনয় করেন, তিনি যেন বিষয়টি পুলিশে না জানান। এতে জামোরাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা কি এ বিষয়ে আলোচনা করতে বসতে পারি? আদালতের বাইরে কি আমরা এটার নিস্পত্তি করতে পারি না? কিন্তু তাঁর এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন ওই বালকের বাবা। তিনি বলেন, ঠিক আছে।
♦ আমি এই সুযোগটি আপনাকে দিতে পারি, তবে সেটা হল অন্য বালক বা বালিকার জন্য। এরপর বৃটানি জামোরা ফোন দিয়ে দেন তাঁর স্বামীর কাছে। এ সময় যৌন নির্যাতনের শিকার বালকটির বাবাকে বলতে শোনা যায়, আপনার স্ত্রী শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন চালান। তিনি আমার ছেলেকে মানসিকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছেন। আপনি কি আন্দাজ করতে পারেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সী একটি বালক কিভাবে তার শিক্ষিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে? আপনি কি এটা মানবেন? আর এখন আপনি আপনার স্ত্রীকে মাফ করে দেয়ার অনুরোধ করছেন আমার কাছে!’’
♦ বৃটানি জামোরার এই কাহিনি ধরা পড়ে ওই ছাত্রটির অদ্ভুত আচরণে। আকস্মিক তার বাবা-মা তার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। এ জন্য তাঁরা মোবাইল ফোনে নজরদারিকারী একটি অ্যাপ ইন্সটল করেন। ছাত্রটির মোবাইল ফোনে সন্দেহজনক অথবা আপত্তিকর কোনও মেসেজ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই অ্যাপটি তার বাবা-মাকে এলার্ট পাঠায়। তারা ছেলের মোবাইল থেকে আপত্তিকর টেক্সট মেসেজের এলার্ট পাওয়া শুরু করেন। এরপর নিজেদের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে সে স্বীকার করে। বলে, শিক্ষিকা বৃটানি জামোরার সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক রয়েছে। এ খবর শুনে ভেঙে পড়েন তার বাবা-মা ৷