Sheikh Hasina News: 'পায়ে পড়ছি, পদত্যাগ করুন, নাহলে...' ৫ অগাস্ট কে শেখ হাসিনার পায়ে পড়েছিল জানেন? সামনে এল অবশেষে, চমকে উঠবেন জেনে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Sheikh Hasina News: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চানখারপুল গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বিপাকে শেখ হাসিনার জমানার আট পুলিশকর্তা। তাঁদের বিচারের জন্য মামলা গ্রহণ করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে। এই প্রথম জুলাই আন্দোলন নিয়ে কোনও মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল।
advertisement
advertisement
এদিকে, লাখ লাখ ছাত্র-জনতা ৫ অগাস্ট যখন গণভবনের দিকে এগিয়ে আসছিলেন, তখন পদত্যাগের অনুরোধ করে শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন তার বোন শেখ রেহানা। রবিবার, ২৫ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চানখারপুল গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সামনে লিখিতভাবে এই তথ্য পড়ে শোনান তিনি।
advertisement
advertisement
advertisement
সারা দেশে ব্যাপক সংঘাত ও প্রাণহানি ঘটানোর পরও ছাত্র-জনতার আন্দোলন সামাল দিতে পারেননি শেখ হাসিনা। যদিও পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে ৪ অগাস্ট রাতেই শেখ হাসিনাকে তার একজন উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নেতা বোঝানোর চেষ্টা করেন। তারা সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরামর্শ দেন। তবে তিনি তা মানতে চাননি, বরং ৪ অগাস্ট থেকে কারফিউতে আরও কড়াকড়ি করতে বলেন।
advertisement
ভোর থেকে কারফিউ কড়াকড়ি করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সকাল ৯টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা কারফিউ ভেঙে নামতে শুরু করেন। ১০টা নাগাদ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জমায়েত বড় হতে থাকে। বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র বলছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়।
advertisement
নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, সেটার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে উঠে লাল রং দিয়ে দিচ্ছেন, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেন– এরপরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বাস করে এই কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে বসিয়েছেন– সেটাও তিনি উল্লেখ করেন। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা আইজিপিকে দেখিয়ে বলেন, তারা (পুলিশ) তো ভাল করছে। তখন আইজিপি জানান, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এরকম কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়।
advertisement
ওই সময়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাইছিলেন না। তখন কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আরেক কক্ষে আলোচনা করেন। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
advertisement
এরপর জয় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হন। তিনি তখন একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য। ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে পারে বলে অনুমান করা হয়। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় নাও পাওয়া যেতে পারে। এ বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
advertisement