India Pakistan USA: ট্রাম্পের ‘তুঘলকি’ সিদ্ধান্ত, ভারত পড়ল মোক্ষম প্যাঁচে, এদিকে চিরশত্রু পাকিস্তানের পুরো বল্লে বল্লে, কীভাবে ভারতকে ‘পেটে মারতে’ চাইছে আমেরিকা
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
India Pakistan USA: ভারত আর কথা শুনছে, ফোঁস করছে, তাই হাতে না মেরে ভাতে মারার সিদ্ধান্ত আমেরিকার, হা হা করে হাসছে পাকিস্তান
ওয়াশিংটন: ভারত প্যাঁচে পড়লে যে প্রতিবেশী দেশটি সবচেয়ে বেশি খুশি হয় সে হল পাকিস্তান৷ ভারতের ওপর আমেরিকার শুল্ক বোমার পর পরিস্থিতি অযথাই জটিল হয়ে গেছে৷ আমেরিকা বনাম ভারত এক অঘোষিত ট্যারিফ ওয়ার শুরু হয়ে গেছে৷ এই শুল্কের কারণে ভারতের ব্যবসায়ীরা চিন্তিত হয়েছেন৷ অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের এই পরিস্থিতিতে একেবারে বল্লে বল্লে করছে। Photo- Collected
advertisement
advertisement
৭ অগাস্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল৷ ভারত যেহেতু রাশিয়ার থেকে তেল কেনে তার শাস্তি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর জারি করা ২৫ শতাংশ শুল্কের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক যোগ করে৷ সোজা কথায় রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার উপর অতিরিক্ত ২৫% জরিমানা যোগ করা হয়েছিল, যার ফলে ইতিমধ্যে আরোপিত ২৫% পারস্পরিক শুল্কের সঙ্গে মোট কর ৫০% এ পৌঁছেছে। ৫০ শতাংশ শুল্ক ২৮ অগাস্ট থেকে কার্যকর হবে।
advertisement
ভারতের উপর শুল্ক আরোপের ফলে পাকিস্তান সবচেয়ে খুশি। কারণ এটি আমেরিকান বাজারে পাকিস্তানকে বিশাল সুবিধা দিয়েছে। বাস্তবে, পাকিস্তানের উপর মাত্র ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বাসমতি চালের রফতানিতে এই দুটি ভিন্ন হারের ফলে পাকিস্তান ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছে। এর অর্থ হল, এখন ভারতীয় বাসমতি চালের দাম আমেরিকান গ্রাহকদের কাছে ৩১ শতাংশ বেশি হবে।
advertisement
ব্যবসায়ীরা কী বলেন?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে বাসমতি রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি রঞ্জিত সিং জোসানের মতে, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্ডার নেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু দামের তারতম্যের কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আলোচনাতেও যেতে পারছেন না৷ তিনি বলেন যে এতে সরাসরি ভারতের ক্ষতি হচ্ছে এবং পাকিস্তান বিশাল লাভবান হচ্ছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে বাসমতি রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি রঞ্জিত সিং জোসানের মতে, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্ডার নেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু দামের তারতম্যের কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আলোচনাতেও যেতে পারছেন না৷ তিনি বলেন যে এতে সরাসরি ভারতের ক্ষতি হচ্ছে এবং পাকিস্তান বিশাল লাভবান হচ্ছে।
advertisement
advertisement
advertisement
চালের দাম আর কত বাড়বে?
যুক্তরাষ্ট্রে ১,২০০ ডলারে কেনা এক টন বাসমতি চাল ভারত থেকে আমদানি করলে অতিরিক্ত ৬০০ ডলার খরচ হবে, যেখানে পাকিস্তান থেকে আমদানি করলে অতিরিক্ত মাত্র ২২৮ ডলার খরচ হবে। মিল মালিকরা তাদের পুরনো মজুদ বিক্রি করতে পারছেন না। জোসান বলেন, 'পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত রফতানিকারকরা আর বাসমতি চালও কিনবেন না।'
যুক্তরাষ্ট্রে ১,২০০ ডলারে কেনা এক টন বাসমতি চাল ভারত থেকে আমদানি করলে অতিরিক্ত ৬০০ ডলার খরচ হবে, যেখানে পাকিস্তান থেকে আমদানি করলে অতিরিক্ত মাত্র ২২৮ ডলার খরচ হবে। মিল মালিকরা তাদের পুরনো মজুদ বিক্রি করতে পারছেন না। জোসান বলেন, 'পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত রফতানিকারকরা আর বাসমতি চালও কিনবেন না।'