India Russia USA: ট্রাম্প-পুতিন দেখা করলেন, গোপনে কলকাঠি নাড়ল ভারত! ট্যারিফ যুদ্ধে ভারতকে ভয় পাওয়ানো সোজা নয়, বুঝিয়ে দিল কাজ দিয়ে

Last Updated:
India Russia USA: ভারত তার মোট তেলের প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে, যা কেবল জ্বালানি নিরাপত্তাই নিশ্চিত করে না বরং বার্ষিক প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করে।
1/8
নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় ভারতের ভূমিকা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ৷ আসলে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম উন্নয়নশীল অর্থনীতি ভারতের৷ তাই ভারতকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে কেউই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷
নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় ভারতের ভূমিকা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ৷ আসলে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম উন্নয়নশীল অর্থনীতি ভারতের৷ তাই ভারতকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে কেউই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷
advertisement
2/8
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় ভারতের সরাসরি ভূমিকা হয়ত অনেকেই দেখতে পাচ্ছেন না, কিন্তু পরোক্ষভাবে এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে এটি বিশ্বব্যাপী কূটনীতিতে একটি দায়িত্বশীল শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে ভারত। যদি এই আলোচনা সফল হয় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটে, তাহলে ভারতের উপর আমেরিকান শুল্কের চাপ কমতে পারে। ভারতের আজকের পররাষ্ট্রনীতি কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের উপর ভিত্তি করে। একদিকে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে চায়, অন্যদিকে তারা আমেরিকার সঙ্গে প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়।
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় ভারতের সরাসরি ভূমিকা হয়ত অনেকেই দেখতে পাচ্ছেন না, কিন্তু পরোক্ষভাবে এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে এটি বিশ্বব্যাপী কূটনীতিতে একটি দায়িত্বশীল শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে ভারত। যদি এই আলোচনা সফল হয় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটে, তাহলে ভারতের উপর আমেরিকান শুল্কের চাপ কমতে পারে। ভারতের আজকের পররাষ্ট্রনীতি কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের উপর ভিত্তি করে। একদিকে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে চায়, অন্যদিকে তারা আমেরিকার সঙ্গে প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়।
advertisement
3/8
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনা এই সময়ে বিশ্বব্যাপী কূটনীতির জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই ভারতের জন্য কৌশলগত মোড়ও হয়ে উঠেছে। ভারত, যারা সাধারণত দ্বিপাক্ষিক বিরোধ থেকে দূরে থাকে, এবার কেবল আলোচনাকে সমর্থন করছে না বরং পরোক্ষভাবে এর দিকেও তার ভূমিকা পালন করছে। এই পরিস্থিতি ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন, জ্বালানি নীতি এবং বিশ্ব ভারসাম্যে এর ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে সামনে এনে দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনা এই সময়ে বিশ্বব্যাপী কূটনীতির জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই ভারতের জন্য কৌশলগত মোড়ও হয়ে উঠেছে। ভারত, যারা সাধারণত দ্বিপাক্ষিক বিরোধ থেকে দূরে থাকে, এবার কেবল আলোচনাকে সমর্থন করছে না বরং পরোক্ষভাবে এর দিকেও তার ভূমিকা পালন করছে। এই পরিস্থিতি ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন, জ্বালানি নীতি এবং বিশ্ব ভারসাম্যে এর ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে সামনে এনে দেয়।
advertisement
4/8
এবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ট্রাম্প-পুতিন আলোচনাকে খোলাখুলি সমর্থন করেছে এবং এটিকে ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাধীন এবং তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাধীন এবং তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। এই বিবৃতিটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারত সাধারণত এই ধরনের বিরোধে প্রকাশ্যে কোনও পক্ষ নেয় না, কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
এবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ট্রাম্প-পুতিন আলোচনাকে খোলাখুলি সমর্থন করেছে এবং এটিকে ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাধীন এবং তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাধীন এবং তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। এই বিবৃতিটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারত সাধারণত এই ধরনের বিরোধে প্রকাশ্যে কোনও পক্ষ নেয় না, কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
advertisement
5/8
এই বিবৃতিটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারত সাধারণত এই ধরনের বিরোধে প্রকাশ্যে কোনও পক্ষ নেয় না, কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত, যা রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কৌশলগত অংশীদার, রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের বৃহত্তম গ্রাহক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আজ, ভারত তার মোট তেলের প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে, যা কেবল জ্বালানি নিরাপত্তাই নিশ্চিত করে না বরং বার্ষিক প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করে।
এই বিবৃতিটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারত সাধারণত এই ধরনের বিরোধে প্রকাশ্যে কোনও পক্ষ নেয় না, কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত, যা রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কৌশলগত অংশীদার, রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের বৃহত্তম গ্রাহক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আজ, ভারত তার মোট তেলের প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে, যা কেবল জ্বালানি নিরাপত্তাই নিশ্চিত করে না বরং বার্ষিক প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করে।
advertisement
6/8
আমেরিকা চায় ভারত এই তেল আমদানি বন্ধ করুক। যদিও আমেরিকার এই অবস্থানের সরাসরি কোনও জবাব দেয়নি ভারত, কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে এখন আমেরিকা এবং রাশিয়া আলোচনার টেবিলে এসেছে।
আমেরিকা চায় ভারত এই তেল আমদানি বন্ধ করুক। যদিও আমেরিকার এই অবস্থানের সরাসরি কোনও জবাব দেয়নি ভারত, কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে এখন আমেরিকা এবং রাশিয়া আলোচনার টেবিলে এসেছে।
advertisement
7/8
আমেরিকার চাপ গ্রহণযোগ্য নয়, রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালের অগাস্টে ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করে, যা এই বার্তা দেয় যে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক মূল্য দিতে হবে। এই পদক্ষেপ রাশিয়ার উপর চাপ বৃদ্ধির কৌশলের অংশ, কিন্তু এটি ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি করেছে। তা সত্ত্বেও, পিছু হাঁটার পরিবর্তে, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক জোরদার করেছে।
আমেরিকার চাপ গ্রহণযোগ্য নয়, রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালের অগাস্টে ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করে, যা এই বার্তা দেয় যে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক মূল্য দিতে হবে। এই পদক্ষেপ রাশিয়ার উপর চাপ বৃদ্ধির কৌশলের অংশ, কিন্তু এটি ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি করেছে। তা সত্ত্বেও, পিছু হাঁটার পরিবর্তে, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক জোরদার করেছে।
advertisement
8/8
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সাম্প্রতিক মস্কো সফর এবং পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক এই দিকেই ইঙ্গিত করে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পরপরই এই সফরটি হয়েছিল, যা স্পষ্টতই ভারতের বার্তা দেয় যে তারা নিজস্ব স্বাধীন বিদেশ ও বাণিজ্য নীতি রাখতে চায়। এই ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ নয়, কিন্তু ভারত তা খুব ভালোভাবে করছে।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সাম্প্রতিক মস্কো সফর এবং পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক এই দিকেই ইঙ্গিত করে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পরপরই এই সফরটি হয়েছিল, যা স্পষ্টতই ভারতের বার্তা দেয় যে তারা নিজস্ব স্বাধীন বিদেশ ও বাণিজ্য নীতি রাখতে চায়। এই ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ নয়, কিন্তু ভারত তা খুব ভালোভাবে করছে।
advertisement
advertisement
advertisement