America Pakistan India: পাকিস্তানের প্রতি ট্রাম্পের 'গভীর প্রেম'! শাহবাজ শরিফ-আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক, এতদিন বোঝা গেল আসল মতলব!

Last Updated:
একসময় পাকিস্তানকে উপেক্ষা করা আমেরিকা এখন পাকিস্তানকে নিজের কোলে বসাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অফিস ওভাল অফিসে পাক প্রধানমন্ত্রী-সেনা প্রধানকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে এবং ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছে। এর পেছনের কারণ কী?
1/6
এই মুহূর্তে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে যাঁকে নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা, তিনি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হচ্ছে। একসময় পাকিস্তানকে উপেক্ষা করা আমেরিকা এখন পাকিস্তানকে নিজের কোলে বসাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অফিস ওভাল অফিসে পাক প্রধানমন্ত্রী-সেনা প্রধানকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে এবং ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছে। এর পেছনের কারণ কী?
এই মুহূর্তে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে যাঁকে নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা, তিনি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হচ্ছে। একসময় পাকিস্তানকে উপেক্ষা করা আমেরিকা এখন পাকিস্তানকে নিজের কোলে বসাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অফিস ওভাল অফিসে পাক প্রধানমন্ত্রী-সেনা প্রধানকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে এবং ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছে। এর পেছনের কারণ কী?
advertisement
2/6
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের প্রশংসা করছেন, তা বেশ অদ্ভুত। গত ছয় বছর ধরে, এই দেশের নেতাদের মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শাহবাজ শরীফের এমন একটি স্থানে যাওয়া যেখানে ২০১৯ সালের পর থেকে কোনও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী যাননি, তা স্পষ্টতই ট্রাম্পের গভীর কোনও স্বার্থের ইঙ্গিত দেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের প্রশংসা করছেন, তা বেশ অদ্ভুত। গত ছয় বছর ধরে, এই দেশের নেতাদের মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শাহবাজ শরীফের এমন একটি স্থানে যাওয়া যেখানে ২০১৯ সালের পর থেকে কোনও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী যাননি, তা স্পষ্টতই ট্রাম্পের গভীর কোনও স্বার্থের ইঙ্গিত দেয়।
advertisement
3/6
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এখন পর্যন্ত যা যা করেছেন তা প্রমাণ করে যে তিনি উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু করেন না। তিনি কেবল তখনই একটি দেশকে মূল্য দেন যখন তাঁর নিজস্ব স্বার্থ জড়িত থাকে। এই প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তান আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড। এই কারণেই ট্রাম্প পাকিস্তানের জন্য লাল গালিচা বিছিয়ে দিচ্ছেন, যার নেতাদের পাকিস্তান ছয় বছর ধরে ক্ষমতায় থাকতে বাধা দিয়েছিল। এই স্নেহ অকারণে নয়; এর অসংখ্য কারণ রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এখন পর্যন্ত যা যা করেছেন তা প্রমাণ করে যে তিনি উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু করেন না। তিনি কেবল তখনই একটি দেশকে মূল্য দেন যখন তাঁর নিজস্ব স্বার্থ জড়িত থাকে। এই প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তান আমেরিকার ট্রাম্প কার্ড। এই কারণেই ট্রাম্প পাকিস্তানের জন্য লাল গালিচা বিছিয়ে দিচ্ছেন, যার নেতাদের পাকিস্তান ছয় বছর ধরে ক্ষমতায় থাকতে বাধা দিয়েছিল। এই স্নেহ অকারণে নয়; এর অসংখ্য কারণ রয়েছে।
advertisement
4/6
আফগানিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার সর্বশেষ সংঘাতের মূল কারণ বাগরাম বিমান ঘাঁটি দখল। পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ আমেরিকা পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করে। বাগরাম দখল এবং তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে পাকিস্তানের সহযোগিতা অপরিহার্য। তাছাড়া, পাকিস্তানের ক্রিপ্টো ব্যবসা এবং সম্প্রতি আবিষ্কৃত কথিত তেল ও খনিজ সম্পদের উপর নজর রাখছে আমেরিকা।
আফগানিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার সর্বশেষ সংঘাতের মূল কারণ বাগরাম বিমান ঘাঁটি দখল। পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ আমেরিকা পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করে। বাগরাম দখল এবং তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে পাকিস্তানের সহযোগিতা অপরিহার্য। তাছাড়া, পাকিস্তানের ক্রিপ্টো ব্যবসা এবং সম্প্রতি আবিষ্কৃত কথিত তেল ও খনিজ সম্পদের উপর নজর রাখছে আমেরিকা।
advertisement
5/6
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তিও একটি বড় বিষয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে পাকিস্তান মার্কিন অনুমোদন ছাড়া এই ধরনের চুক্তিতে প্রবেশ করতে পারে না। আমেরিকা এই চুক্তিটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমেরিকান উদ্বেগ মূলত পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে পারমাণবিক সহযোগিতা বা প্রযুক্তি ভাগাভাগির সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে। তাছাড়া, আমেরিকা বিবেচনা করছে যে এটি মধ্যপ্রাচ্যের ভারসাম্যকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তিও একটি বড় বিষয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে পাকিস্তান মার্কিন অনুমোদন ছাড়া এই ধরনের চুক্তিতে প্রবেশ করতে পারে না। আমেরিকা এই চুক্তিটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমেরিকান উদ্বেগ মূলত পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে পারমাণবিক সহযোগিতা বা প্রযুক্তি ভাগাভাগির সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে। তাছাড়া, আমেরিকা বিবেচনা করছে যে এটি মধ্যপ্রাচ্যের ভারসাম্যকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
advertisement
6/6
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের বৈঠকের পর, আমেরিকা ইরানের উপর আক্রমণ শুরু করে, পাকিস্তানের গোপন সহায়তা প্রকাশ করে। এখন, ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রস্তুত, ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে তাঁর সংঘর্ষে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং প্রভাবকে আরও কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে, বিশেষ করে যখন ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের চেষ্টা করছে।
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের বৈঠকের পর, আমেরিকা ইরানের উপর আক্রমণ শুরু করে, পাকিস্তানের গোপন সহায়তা প্রকাশ করে। এখন, ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রস্তুত, ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে তাঁর সংঘর্ষে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং প্রভাবকে আরও কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে, বিশেষ করে যখন ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের চেষ্টা করছে।
advertisement
advertisement
advertisement