জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর'র মতে, যুদ্ধ-জাতিগত সংঘাতসহ নানা কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর নানা দেশে শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। এরমধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফের এই আশ্রয়ে রয়েছেন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
নিজ দেশ মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন রাজ্য) থেকে তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। বাংলাদেশ সরকার মানবিকতার খাতিরে তাঁদের আশ্রয় দেয়। কিন্তু আশ্রয় দিলেও প্রচণ্ড আর্থিক চাপে নুয়ে পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে এই সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
এদিকে নানা কারণে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে স্বাভাবিক জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। করোনার কারণে রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাড়ছে বিভিন্ন অপকর্ম ও অপরাধ প্রবণতা। অন্যদিকে, প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনাও ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় অনিশ্চিত এক জীবনের আলো-আঁধারিতে দিন কাটছে রোহিঙ্গাদের। আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসের অস্তিত্বে উদাসীন মানুষগুলো কি পারবে তাঁদের ঠিকানায় ফিরে যেতে? উত্তর দেবে সময়।