৫ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেও সংসার করা হয়নি, সৎ ভাই করেছিলেন প্রতারণা, প্রচুর কাজ করলেও শেষ দিকে অভিনেতার ছিল না জলের বোতল কেনার পয়সা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
বলিউডে এমন একজন অভিনেতা রয়েছেন, যাঁর মর্মান্তিক পরিণতি সকলকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত জীবনে কোনও শান্তি পাননি তিনি। ৫ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও সংসারে থিতু হতে পারেননি। আর এই গল্পটা হল বলিউডের জনপ্রিয় খলনায়ক মহেশ আনন্দের।
বলিউডে এমন একজন অভিনেতা রয়েছেন, যাঁর মর্মান্তিক পরিণতি সকলকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত জীবনে কোনও শান্তি পাননি তিনি। ৫ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও সংসারে থিতু হতে পারেননি। আর এই গল্পটা হল বলিউডের জনপ্রিয় খলনায়ক মহেশ আনন্দের। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘সনম তেরি কসম’, ‘করিশ্মা’, ‘ভবানী জংশন’, ‘ইনসাফ’, ‘শাহেনশাহ’, ‘সোনে পর সুহাগা’, ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’ থেকে শুরু করে ‘তুফান’-এর মতো ছবি। ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৫৭ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন মহেশ।
advertisement
advertisement
দুর্ধর্ষ খলনায়ক: ভাল দেহসৌষ্ঠবের কারণে খল চরিত্রেরই সুযোগ পেতেন মহেশ। কেরিয়ারে অমিতাভ বচ্চন থেকে অক্ষয় কুমারের মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। ‘ওয়াক্ত হামারা’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন অক্ষয় কুমার এবং সুনীল শেঠি। জানা গিয়েছে যে, একটি নৈশ ক্লাবে এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন মহেশ আনন্দ। আর ওই মহিলাকে বাঁচিয়েছিলেন অক্ষয়। ফলে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল মহেশ আর অক্ষয়ের মধ্যে।
advertisement
মহেশের দাবি: ফেসবুকে মাঝেমধ্যেই নানা বিষয় নিয়ে পোস্ট করতেন মহেশ আনন্দ। কখনও কাজ না থাকার যন্ত্রণা, কখনও পুত্রসন্তানের সঙ্গে দেখা করতে না পারা, কখনও বা সৎ ভাইয়ের কাছ থেকে প্রতারণা - নানা আক্ষেপ ফুটে উঠত তাঁর পোস্টে। তিনি দাবি করেছিলেন যে, তাঁর সৎ ভাই তাঁর কাছ থেকে ৬ কোটি টাকার প্রতারণা করেছিলেন। এক সময় ৩০০ ছবিতে কাজ করেছেন। অথচ পরিস্থিতি এমন এসেছিল যে, একটা জলের বোতল কেনার টাকা তাঁর কাছে ছিল না।
advertisement
৫ বার বিয়ে: মহেশ আনন্দের প্রথম স্ত্রী হলেন রীনা রায়ের বোন প্রযোজক বরখা রায়। দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল এরিকা মারিয়া ডিসুজা। তাঁদের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ১৯৯২ সালে তৃতীয় বারের জন্য মহেশ আনন্দ বিয়ে করেছিলেন মধু মালহোত্রাকে। আর অভিনেতার চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী উষা বচানি। পঞ্চমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন রাশিয়ান মহিলা লানার সঙ্গে।
advertisement
advertisement
মর্মান্তিক মৃত্যু: ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একাধিকবার ডেকেও অভিনেতার সাড়া পাচ্ছিলেন না পরিচারিকা। ফলে মহেশের বোনকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। যখন তিনি আসেন, তখন দেখেন যে, ২ দিন ধরে দরজার বাইরেই জমে রয়েছে লাঞ্চ বক্স। দরজা খুলে দেখেন যে, অভিনেতা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে পড়ে ছিল মদের বোতল এবং খাবারদাবারও।
advertisement
দেহ নিয়ে গিয়েছিলেন মহেশ আনন্দের স্ত্রী: ২০১৯ সালে মহেশ আনন্দের আত্মীয়া জ্যোতি স্পটবয়-এর কাছে বলেছিলেন যে, মহেশ কখনও আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁর মৃত্যুটা স্বাভাবিক। এমনকী মহেশের স্ত্রী-কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জ্যোতি। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, মহেশের বিদেশিনী স্ত্রী এসে হাসপাতাল থেকে রীতিমতো দেহ ছিনিয়ে নিয়ে সোজা শ্মশানে গিয়েছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় যে, মহেশের মৃত্যু হয়েছে দিন তিনেক আগে। আর তার ফলে তাঁর দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল। ওই বাড়ি থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধ নাকে এসেছিল পড়শিদেরও।