Pakistani Actress: টানা ২৫টি ফ্লপের পরে ভাগ্য পরিবর্তন; অভিনয়ের জাদুকাঠি বুলিয়ে জীবনই যেন বদলে গিয়েছিল এই অভিনেত্রীর
- Written by:Trending Desk
- news18 bangla
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে ভক্তদের মনে জায়গাও করেছিলেন তিনি। তবে রানি বেগমের জীবন ছিল বিতর্কে ভরা। আজ সেই গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
advertisement
তাঁর পরিচিতির সূত্রেই মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৬২ সালে প্রবীণ পরিচালক আনোয়ার কামাল পাশা পরিচালিত ‘মেহবুব’ ছবিতে কাজের সুযোগ পান রানি। ‘মেহবুব’ ফ্লপ হওয়ার পরে আনোয়ার কামাল পাশা রানিকে নিয়ে আর একটি ছবি তৈরি করেন। সেটাও ফ্লপ। তবে রানির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই পরিচালকরা তাঁকে নিজেদের ছবিতে নিতেন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত রানির মোট ২৫টি ছবি মুক্তি পায়। আর আশ্চর্যের বিষয়, প্রতিটি ছবিই ফ্লপ হয়েছিল।
advertisement
১৯৬৬ সালে ‘দেবর-ভাবি’ ছবির মাধ্যমে রানির ভাগ্য শিঁকেয় ছেড়ে। এই ছবিটি সুপারহিট হয়। অভিনেতা ওয়াহিদ মুরাদের সঙ্গে রানির জুটিও ভক্তরা পছন্দ করেছেন। এর পর থেকে রানির ছবিগুলো বক্স অফিসে রেকর্ড-ভাঙা সাফল্য লাভ করে। ‘দেবর-ভাবি’ ছবির পরিচালক হাসান তারিকের প্রেমে পড়েন রানি। ফলে তাঁর জীবনে আসে নয়া মোড়। হাসান তারিকের তৃতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন রানির সঙ্গে।
advertisement
এর পর হাসান তারিক ‘উমরাও জান আদা’ ছবি তৈরি করার কথা ভাবেন। সেখানে লখনউয়ের গণিকার চরিত্রে রানিকেই ভেবেছিলেন পরিচালক। রানি উপন্যাসটি মোট চার বার পড়েন এবং কত্থকের বিশেষ প্রশিক্ষণও নেন। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই ঘটে ম্যাজিক। বক্স অফিসে আলোড়ন পড়ে যায়। অভিনেত্রী হিসেবে মানুষের মনে স্থান করে নেন রানি বেগম।
advertisement
এই ছবির কারণে দর্শকদের মধ্যেও আমূল পরিবর্তন আসে। সমাজের মানুষ গণিকাদের উপর সহানুভূতিশীল হয়। এমনকী বহু ধনবান মানুষ গণিকাদের বিয়ে করে তাঁদের নতুন জীবনও দিয়েছে। তবে রানির জীবন বরাবরই বিতর্কিত। হাসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সত্তরের দশকের শেষ দিকে। এর পর আরও দু’বার বিয়ে করেন, সেগুলিও টেকেনি। এদিকে অভিনেত্রীর শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ ক্যানসার। অবশেষে একাকীত্বের মধ্যেই ১৯৯৩ সালের ২৭ মে প্রয়াত হন রানি বেগম।






