Panchayat Season 4 Review: সিজন ৪-এ ফুলেরা গ্রামে কে হল মহিলা প্রধান? রিঙ্কি-পঞ্চায়েত সচিবের প্রেম কতটা জমল? কেমন হল পঞ্চায়েত সিজিন ৪?

'পঞ্চায়েত'-এর চতুর্থ সিজন এসে গেছে। জিতেন্দ্র কুমার, নীনা গুপ্ত, রঘুবীর যাদব, ফয়সাল মালিক, চন্দন রায়, সানভিকা, দুর্গেশ কুমার, সুনীতা রাজওয়ার এবং পঙ্কজ ঝা আবারও ওয়েব সিরিজে এক ছাপ ফেলেছেন। পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজটি প্রথম সিজন থেকেই সরাসরি মানুষের মনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে৷ এর প্রতিটি সিজনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছে। ফুলেরা গ্রামটি বিখ্যাত হয়েছে৷

ফুলেরায় চতুর্থ সিজন শুরু হয়, যেখানে দুই দুই নারী, মঞ্জু দেবী এবং ক্রান্তি দেবী, স্থানীয় নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই করেন। এরপর তাঁদের স্বামী, ব্রিজভূষণ (প্রধান জি) এবং বাণরাকাসের নেতৃত্বে একটি বিশৃঙ্খল প্রচার শুরু হয়। কৌশল, কটূক্তি এবং গ্রামীণ দৃশ্যের মাধ্যমে, নির্বাচনটি সিজনের কাহিনীতে প্রাধান্য পায়। কিন্তু নতুন শক্তি আনার পরিবর্তে, গল্পটি প্রসারিত এবং অনুন্নত বলে মনে হয়।

এই মরশুমের সবচেয়ে বড় হতাশা হল ধীর গতি এবং ফোকাসের অভাব। পুরো গল্পটি নির্বাচনী লড়াইকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে, অন্যান্য সাব-প্লটগুলিতে খুব কম বা কোনও অগ্রগতিই হয়নি যা পঞ্চায়েত সিরিজের মূল আকর্ষণ ছিল৷ নির্বাচনের ফলাফল জানার জন্য আমাদের চূড়ান্ত পর্বের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, ততক্ষণে উত্তেজনা অনেক আগেই ম্লান হয়ে যায়।

সচিব জি-রিঙ্কি প্রেমের ক্ষেত্রে অগ্রগতির আশা করা ভক্তরা হতাশ হবেন। তাদের গতিশীলতা গত মরশুমে ঠিক যেখানে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে, কোনও বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। একইভাবে, প্রধান জি এবং বিধায়কের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত সংঘর্ষ সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে। গত মরশুমের সবচেয়ে বড় রহস্য, কে প্রধান জিকে গুলি করেছিল, তাও উপেক্ষা করা হয়েছে, যার ফলে অনেকগুলো উত্তর মেলেনি।

সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হল, বিশেষ করে সচীব জি, বিকাশ, প্রহ্লাদ এবং প্রধান জি-র মধ্যে যে বন্ধুত্ব এবং চরিত্রের বন্ধন ছিল, তা এই সিজিনে কোনও ভাবে ফুটে উঠবে না। তাদের রসায়ন, যা একসময় গল্পের মূল আকর্ষণ ছিল, তা অনুপস্থিত। মাঝপথে প্রহ্লাদ এবং বিকাশকে কেন্দ্র করে একটি সংক্ষিপ্ত আবেগঘন সাব-প্লট রয়েছে, কিন্তু এটি জোরপূর্বক এবং গল্পের স্বাভাবিক ছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হয় না।

পঞ্চায়েতের যা মূল আকর্ষণ, গ্রামীণ সারল্য, খোলামেলা মেজাজ, সেগুলো এখানে একটু কম৷ কখনও কখনও গল্পও গতি হারায়৷ তবুও, পঞ্চায়েত সিজন ৪-এ যদি কোনও বিশেষত্ব থাকে, তবে তা হল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়। দুর্বল স্ক্রিপ্ট সত্ত্বেও, অভিনেতারা প্রশংসনীয় অভিনয় করেছেন। নীনা গুপ্তা এবং রঘুবীর যাদব, অন্যদিকে সুনীতা রাজওয়ার তাঁর সীমিত উপস্থিতির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছেন। পঙ্কজ ঝা অভিনীত বানরাকাস গল্পে এক অদ্ভুত ধারা যোগ করেছে। এমনকি বাম বাহাদুরের মতো সহায়ক চরিত্রগুলিও স্মরণীয় মুহূর্তগুলির তৈরি করেছে। একটি পর্বে, একজন ছোট শিশু অভিনেতা ক্ষণস্থায়ী উপস্থিতি তৈরি করেন কিন্তু স্থায়ী ছাপ রেখে যেতে সক্ষম হন।

৪র্থ সিজন আসার পর, এই ৫টি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে। আসুন আমরা আপনাকে বলি সেই ৫টি প্রশ্ন কী...প্রথম প্রশ্নসচিবের ক্যারিয়ারের কী হবে?এবার সে ভাল নম্বর নিয়ে CAT পাশ করেছে এবং এখন সে ভাল কলেজে ভর্তি হবে।দ্বিতীয় প্রশ্ননা, এবার বানারকাস ওরফে ভূষণ প্রধানজির পক্ষে খুব বেশি প্রমাণিত হলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে, তাঁর স্ত্রী ক্রান্তি দেবী প্রধানজির স্ত্রী মঞ্জু দেবীকে পরাজিত করেছিলেন।

তৃতীয় প্রশ্নরিঙ্কি এবং শচীব জির প্রেমের গল্প কি এগিয়ে যাবে?হ্যাঁ, অভিষেক ৪র্থ সিজনে রিঙ্কিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাদের প্রেমের গল্প ৫ম সিজনে ভালোভাবে দেখানো যেতে পারে।চতুর্থ প্রশ্নসিজন ৩-এ প্রধান জিকে কে গুলি করেছিল?চতুর্থ সিজনে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি, কিন্তু প্রধানজি ভূষণ এবং বিধায়ক চান্দু সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে তারা দুজনেই এতে জড়িত ছিলেন।

পঞ্চম প্রশ্নপঞ্চায়েতের পঞ্চম মরশুমও কি আসবে?হ্যাঁ, পঞ্চায়েতের গল্প এখনও শেষ হয়নি এবং এর পঞ্চম সিজন আসা উচিত।