Bollywood Gossip: হট সিনের ছুতোয় সুস্মিতা সেনের শরীরের যেখানে সেখানে হাত বুলিয়ে দিলেন বাঙালি সুপারস্টার! কেঁদে ফেলেছিলেন নায়িকা

সুস্মিতা সেন সুন্দরী, অভিনয়ও করেন ভাল৷ কিন্তু ২০০৬ সালের 'চিঙ্গারি' ছবিটির সেটে এমন ঘটনা ঘটে যেখানে প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের জন্যও অত্যন্ত বিতর্কিত হয়ে ওঠে। এমন একটি ঘটনা রয়েছে যা সেই সময় খবরের শিরোনামে উঠে আসে।

সুস্মিতা একবার সহ-অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের পরে সেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে অনুপযুক্ত আচরণের অভিযোগ করেছিলেন। যদিও বিষয়টি পরে সমাধান করা হয়েছিল, এটি ছবিটির প্রযোজনাকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে তোলে।

বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক কল্পনা লাজমি খোলাখুলি স্বীকার করেছেন যে চিঙ্গারির প্রধান অভিনেতাদের মধ্যে ক্ল্যাশ ছিল। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন সুস্মিতার শক্তিশালী অভিনয় দেখে অবাক হয়েছিলেন, যার ফলে সহ-অভিনেতাদের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। কল্পনা আরও প্রকাশ করেছেন যে শুটিংয়ের সময় মিঠুনের আচরণের ফলে তাকেও ভুগতে হয়েছিল।

জানা গেছে, দৃশ্যগুলি যেভাবে ফুটে উঠেছে তাতে তিনি অস্বস্তি বোধ করেছিলেন এবং পরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, এমনকি পরিচালক কল্পনা লাজমির কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। পরিচালক তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি।

পরে, সূত্র দাবি করেছে যে সুস্মিতা পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করেছেন, অনুভব করেছেন যে তিনি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এবং তার সহ-অভিনেতার সাথে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলেছেন। তবে, জড়িত কোনও পক্ষই প্রকাশ্যে এই ঘটনার কথা বলেননি বা নিশ্চিত করেননি।

"চিঙ্গারি" সম্পর্কে সাক্ষাৎকারে মিঠুনের প্রতি তার দীর্ঘস্থায়ী শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। তবে, একটি প্রতিশ্রুতিশীল সহযোগিতা হিসেবে শুরু হওয়া ছবিটি শীঘ্রই তিক্ত হয়ে ওঠে যখন পরিচালক তার সাথে কাজ করার সময় তার মুখোমুখি হওয়া অনেক সমস্যার কথা খোলাখুলিভাবে উল্লেখ করেন।

তাদের পেশাদার সম্পর্ক তাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং অধ্যায় হয়ে ওঠে।

ছবিতে একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় সুস্মিতার মানসিকতার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি স্বীকার করেছেন যে এটি কেবল অভিনয়ের বিষয় জেনেও, বাস্তবের মধ্যে তাঁর ভাবমূর্তি নিয়ে তাঁকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছিল।

এবং যে ছবিটির জন্য তিনি এই ধরণের চরিত্রে অভিনয় করার ঝুঁকি নিয়েছিলেন তাও ব্যর্থ হয়েছিল।

চিঙ্গারিকে তাড়া করে বেড়ানোর প্রথম দিকের বিতর্কগুলির মধ্যে একটি ছিল প্রধান অভিনেত্রী সুস্মিতা এবং নবাগত অনুজ সাওনির, যিনি একজন পোস্টম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যিনি সুস্মিতার যৌনকর্মী চরিত্রের প্রেমে পড়েন। ছবির প্রচারের সময়, অনুজ সুস্মিতার সঙ্গে তাঁর অন-স্ক্রিন চুম্বন করতে ৩৬ টি টেক লেগেছিল। কল্পনা পরে প্রকাশ করেছিলেন যে বিতর্কের কারণে তাদের প্রচারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাস নষ্ট হয়েছিল, কারণ ছবিটি সুস্মিতার উপস্থিতি এবং তারকা শক্তির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল।

ঘটনার দুই মাস পর অনুজ ক্ষমা চেয়েছিলেন, যা পরিচালক কল্পনা তার ভুল স্বীকার করে নিয়েছিলেন। একজন নারী হিসেবে সুস্মিতার প্রতিক্রিয়ার প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল হলেও, ছবির পরিচালক হিসেবে তিনি হতাশ বোধ করেছিলেন। পরে সুস্মিতা অনুজকে ক্ষমা করে দেন, কিন্তু হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন যে ছবিটির প্রচারে তিনি গভীরভাবে আহত। তিনি বিশ্বাস করতেন যে চুম্বনের দৃশ্য তুলে ধরার ফলে চিঙ্গারি যে শক্তিশালী সামাজিক বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তা হারিয়ে যায়।