এক সময় রটে গিয়েছিল মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন এই অভিনেত্রী ! নিজেকে প্রমাণ করতে অভিনেত্রীকে মায়ের সামনে দিতে হয়েছিল পরীক্ষাও
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Meet actress who was called a ‘drug addict': ২০১০ সালের গোড়ার দিকে এমন গুজবের শিকার হয়েছিলেন তিনি যে, তাঁর কেরিয়ারই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। ভুয়ো প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। আর এর প্রভাব তাঁর ব্যক্তিজীবনেও পড়েছিল। তবে নিজের মা অভিনেত্রী হেমা মালিনীর বায়োগ্রাফি ‘হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’-এ এষা নীরবতা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বি-টাউনের সুন্দরী এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন এষা দেওল। ২০০২ সালে ‘কোই মেরে দিল সে পুছে’ ছবির হাত ধরে বি-টাউনে পা রেখেছিলেন তিনি। এরপর নিজের সৌন্দর্যের জোরে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন এষা। তবে তাঁর এই সফরটা যে মসৃণ ছিল, এমনটা একেবারেই নয়। ২০১০ সালের গোড়ার দিকে এমন গুজবের শিকার হয়েছিলেন তিনি যে, তাঁর কেরিয়ারই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। ভুয়ো প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। আর এর প্রভাব তাঁর ব্যক্তিজীবনেও পড়েছিল। তবে নিজের মা অভিনেত্রী হেমা মালিনীর বায়োগ্রাফি ‘হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’-এ এষা নীরবতা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
advertisement
মাদকাসক্তির ভুয়ো জল্পনা: জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল যে, মাদক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন এষা। আর এই জল্পনার জেরে মন ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। এমনকী এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে, অভিনেত্রীকে হয়তো রিহ্যাবে যেতে হতে পারে। নিজের মায়ের বায়োগ্রাফিতে এষা এই বিষয়েই আলোকপাত করেছিলেন। কীভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ তাঁকে গভীর ভাবে আঘাত করেছে, সেই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি।
advertisement
এষা স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, তিনি কঠোর ভাবে মাদক বিরোধী। এমনকী ঘটনা এই পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তাঁকে নিজের মায়ের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করার জন্য রক্ত পরীক্ষা পর্যন্ত করাতে হয়েছিল। এষার কথায়, আমি বলতে চাই যে, আমি মাদকের একেবারে বিপক্ষে। কখনও তা ছুঁয়েও দেখিনি। ফলে সেই সময় যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে আমি ডিপ্রেসড হয়ে পড়ি। আঘাতও পেয়েছিলাম। তাই মা-কে বলেছিলাম যে, পরীক্ষা করে দেখার জন্য তিনি আমার রক্ত পরীক্ষাও করাতে পারেন।
advertisement
পার্টি করার বিষয়েও মুখ খুলেছিলেন এষা: এষা স্পষ্ট করে বলে দেন যে, পার্টি করতে পছন্দ করতেন তিনি। এমনকী, মদ্যপানও করতেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের যশ-খ্যাতি নষ্ট করে, এমন কোনও কাজ করেননি তিনি। ব্যাখ্যা করে এষা বলেন যে, বয়স এবং জীবনযাত্রার স্বাভাবিক অঙ্গ হিসেবে তিনিও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করেছেন। কিন্তু কখনওই তাঁর সেই আনন্দের অংশ হয়নি মাদক।
advertisement
advertisement
প্রত্যাশার ভার এবং সমালোচনা: নিজের ডেবিউ ছবির পর তাঁকে যে গভীর চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল, সেই বিষয়েও কথা বলেন এষা। আসলে এষা এবং তাঁর কিংবদন্তি অভিনেত্রী মা হেমা মালিনীর তুলনা টানা হত। এষা বলেন যে, একের পর এক ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেই চাপটা শুরু হয়েছিল। সেই সময় এটা মনে হয়েছিল যে, লোকে আমার প্রথম ছবি দেখেই মায়ের সঙ্গে আমার তুলনা করতে শুরু করেন। অথচ আমার মা তো ২০০টি ছবি করেছেন। এছাড়া অবশ্য বডি শেমিংয়েরও শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তবে এই সমস্ত চ্যালেঞ্জে উতরে নিজের কেরিয়ারে সুন্দর ভাবে এগিয়েছেন এষা।