যদিও তিনি বিবাহবিচ্ছেদ নেননি, কিন্তু স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন হেমাকে। এমনিতে বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরেই থেকেছেন তিনি। তবে এক সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ না করার আসল কারণ জানিয়েছিলেন তিনি। আসলে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ ছবির সেটে স্বপ্নসুন্দরী হেমার প্রেমে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেখান থেকেই আলাপ এবং আলাপ গড়ায় প্রেমে। অবশেষে ১০ বছর একে অপরকে ডেট করার পর ১৯৮০ সালে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। অথচ সেই সময় কিন্তু প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রর। আসলে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৫৪ সালে প্রকাশকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। এমনকী তাঁদের চার সন্তানও ছিল। তবে হেমার সঙ্গে স্বামীর প্রেমে কখনওই বাধা হয়ে দাঁড়াননি প্রকাশ। আবার ধর্মেন্দ্রকে বিবাহবিচ্ছেদও করেননি।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে প্রকাশ কৌর বলেছিলেন যে, “আমি তেমন শিক্ষিত কিংবা সুন্দরী - কোনওটাই নই। তবে আমার সন্তানদের চোখে আমি বিশ্বের সেরা নারী। আর একই ভাবে, আমার কাছে আমার সন্তানরাও বিশ্বসেরা। আমি আমার সন্তানদের খুব ভাল করে চিনি এবং পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, আমার সন্তানদের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।”
যদিও হেমাকে বিয়ের পরে অবশ্য তাঁর এবং তাঁর দুই কন্যা এষা এবং অহনার জন্য একটি আলাদা বাড়ি কিনে দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। আর অন্য দিকে তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর নিজের চার সন্তানের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর পৈতৃক বাড়িতেই বসবাস করছেন। আসলে বরাবরই হেমা মালিনী এবং প্রকাশ কৌর একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন, তবে তাঁরা একে অপরকে সম্মান করেন।