নিজের সুপারস্টার দাদা-কে ডাকতেন ‘পাপা’, সমাজকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের ভাগ্নির সঙ্গেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন এই অভিনেতা

Last Updated:
Vijay Anand Dev Anand Relations : এদিকে রোম্যান্টিক, কমেডি ধারা থেকে শুরু করে থ্রিলার ধারা- মোটামুটি সমস্ত ধরনের ছবিতেই অভিনয় করেছেন বিজয় আনন্দ।
1/6
বি-টাউনের প্রথম সুপারস্টার দেব আনন্দ। আর তাঁর ভাই হলেন অভিনেতা বিজয় আনন্দ। নিজের দাদাকে ‘পাপা’ বলে ডাকতেন তিনি। এদিকে রোম্যান্টিক, কমেডি ধারা থেকে শুরু করে থ্রিলার ধারা- মোটামুটি সমস্ত ধরনের ছবিতেই অভিনয় করেছেন বিজয় আনন্দ। শুধু তা-ই নয়, তিনি যেসব ছবি তৈরি করতেন, সেগুলি ছিল তাঁর সময়ের তুলনায় অনেকটাই আধুনিক। পরিচালক-প্রযোজক চেতন আনন্দ এবং অভিনেতা দেব আনন্দের সঙ্গে মিলে নবকেতন ফিল্ম স প্রোডাকশন হাউজে কাজ করতেন বিজয় আনন্দ। তাঁকে ‘সিনেমা জগতের জাদুকর’ বলে ডাকা হত।
বি-টাউনের প্রথম সুপারস্টার দেব আনন্দ। আর তাঁর ভাই হলেন অভিনেতা বিজয় আনন্দ। নিজের দাদাকে ‘পাপা’ বলে ডাকতেন তিনি। এদিকে রোম্যান্টিক, কমেডি ধারা থেকে শুরু করে থ্রিলার ধারা- মোটামুটি সমস্ত ধরনের ছবিতেই অভিনয় করেছেন বিজয় আনন্দ। শুধু তা-ই নয়, তিনি যেসব ছবি তৈরি করতেন, সেগুলি ছিল তাঁর সময়ের তুলনায় অনেকটাই আধুনিক। পরিচালক-প্রযোজক চেতন আনন্দ এবং অভিনেতা দেব আনন্দের সঙ্গে মিলে নবকেতন ফিল্ম স প্রোডাকশন হাউজে কাজ করতেন বিজয় আনন্দ। তাঁকে ‘সিনেমা জগতের জাদুকর’ বলে ডাকা হত।
advertisement
2/6
শুধু তা-ই নয়, অনেকেই তাঁকে ‘ছবি পরিচালনার এনসাইক্লোপিডিয়া’-ও বলতেন। আর বলিউডের তাবড় চিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাঁর এই দক্ষতার স্বীকৃতি দিয়েছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই চিত্রনাট্য লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। বিজয় আনন্দ ওরফে গোল্ডি মাত্র ২১ বছর বয়সে নিজের প্রথম ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন। 
শুধু তা-ই নয়, অনেকেই তাঁকে ‘ছবি পরিচালনার এনসাইক্লোপিডিয়া’-ও বলতেন। আর বলিউডের তাবড় চিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাঁর এই দক্ষতার স্বীকৃতি দিয়েছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই চিত্রনাট্য লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। বিজয় আনন্দ ওরফে গোল্ডি মাত্র ২১ বছর বয়সে নিজের প্রথম ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন।
advertisement
3/6
একবার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান নিজের একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, “আমার মনে হয়, গোল্ডিই শুধু দেব আনন্দকে সামলাতে পারতেন। যখনই দেব আনন্দ কোনও দৃশ্যে অভিনয় করতে অস্বীকার করতেন, তখনই তাঁর কাছে যেতেন গোল্ডি। আর দেব আনন্দের কাছে গিয়ে গোল্ডি বলতেন যে, ‘পাপা, দয়া করে আমার কথা শুনুন।’ আসলে বড় দাদাকে পাপা বলেই ডাকতেন তিনি। এরপর দৃশ্যটা দেব আনন্দের সামনে ব্যাখ্যা করতেন বিজয়। এভাবেই বাচ্চাদের মতো দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের কাজটা বার করে আনতেন তিনি।” 
একবার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান নিজের একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, “আমার মনে হয়, গোল্ডিই শুধু দেব আনন্দকে সামলাতে পারতেন। যখনই দেব আনন্দ কোনও দৃশ্যে অভিনয় করতে অস্বীকার করতেন, তখনই তাঁর কাছে যেতেন গোল্ডি। আর দেব আনন্দের কাছে গিয়ে গোল্ডি বলতেন যে, ‘পাপা, দয়া করে আমার কথা শুনুন।’ আসলে বড় দাদাকে পাপা বলেই ডাকতেন তিনি। এরপর দৃশ্যটা দেব আনন্দের সামনে ব্যাখ্যা করতেন বিজয়। এভাবেই বাচ্চাদের মতো দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের কাজটা বার করে আনতেন তিনি।”
advertisement
4/6
পঞ্জাবের গুরদাসপুরে ১৯৩৪ সালের ২২ জানুয়ারি জন্মেছিলেন বিজয় আনন্দ। কলেজে পড়াকালীনই নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখতে শুরু করেন তিনি। একাধিক সুপারহিট ছবি উপহারও দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল ‘গাইড’, ‘জ্যুয়েল থিফ’, ‘তিসরি মঞ্জিল’, ‘জনি মেরা নাম’, ‘কোরা কাগজ’। নব্বইয়ের দশকে গোয়েন্দা ধারাবাহিক ‘তেহকিকত’-এ গোয়েন্দা-চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ১৯৭১ সালে ‘তেরে মেরে সপনে’ ছবি তৈরি করেছিলেন বিজয় আনন্দ। যদিও ছবিটি সফল হয়নি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ‘ব্ল্যাকমেল’ (১৯৭৩), ‘ছুপা রুস্তম’ (১৯৭৩), ‘বুলেট’ (১৯৭৬)-এর মতো ছবি।
পঞ্জাবের গুরদাসপুরে ১৯৩৪ সালের ২২ জানুয়ারি জন্মেছিলেন বিজয় আনন্দ। কলেজে পড়াকালীনই নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখতে শুরু করেন তিনি। একাধিক সুপারহিট ছবি উপহারও দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল ‘গাইড’, ‘জ্যুয়েল থিফ’, ‘তিসরি মঞ্জিল’, ‘জনি মেরা নাম’, ‘কোরা কাগজ’। নব্বইয়ের দশকে গোয়েন্দা ধারাবাহিক ‘তেহকিকত’-এ গোয়েন্দা-চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ১৯৭১ সালে ‘তেরে মেরে সপনে’ ছবি তৈরি করেছিলেন বিজয় আনন্দ। যদিও ছবিটি সফল হয়নি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ‘ব্ল্যাকমেল’ (১৯৭৩), ‘ছুপা রুস্তম’ (১৯৭৩), ‘বুলেট’ (১৯৭৬)-এর মতো ছবি।
advertisement
5/6
ছবির ব্যর্থতার জেরে গভীর ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বিজয় আনন্দ। এমনকী মানসিক অবসাদেও ভুগতে শুরু করেছিলেন। বিনোদ খান্না এবং মহেশ ভাটের মতো ওশো-র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনিও। ১৯৭৮ সালে হিন্দু রীতিকে অস্বীকার করেছিলেন। সকলকে চমকে দিয়ে সুষমা কোহলির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন।
ছবির ব্যর্থতার জেরে গভীর ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বিজয় আনন্দ। এমনকী মানসিক অবসাদেও ভুগতে শুরু করেছিলেন। বিনোদ খান্না এবং মহেশ ভাটের মতো ওশো-র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনিও। ১৯৭৮ সালে হিন্দু রীতিকে অস্বীকার করেছিলেন। সকলকে চমকে দিয়ে সুষমা কোহলির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন।
advertisement
6/6
২০১৮ সালের এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সীলমোহর দিয়ে সুষমা বলেছিলেন যে, “বিজয় আনন্দ নিজে এত রোম্যান্টিক ছবি বানিয়েছিলেন। অথচ বাস্তব জীবনে তিনি বেশ লাজুক ছিলেন। কখনওই রাগতেও দেখিনি। ‘রাম-বলরাম’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় ১৯৭৮ সালেই তিনি বিয়ে করেছিলেন। আমি ইচ্ছা করেই ওঁর সঙ্গে খুনসুটি করতাম।”  তবে লাভলিন থাদানির সঙ্গে প্রথমবার সাতপাক ঘুরেছিলেন বিজয় আনন্দ। ‘জান হাজির হ্যায়’ নামে সাহসী রোম্যান্টিক ছবিতে কাজ করতে গিয়ে প্রেমের সূত্রপাত হয় তাঁদের। ২০০৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পরলোক গমন করেন বিজয়। তাঁর পুত্র বৈভব আনন্দ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। 
২০১৮ সালের এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সীলমোহর দিয়ে সুষমা বলেছিলেন যে, “বিজয় আনন্দ নিজে এত রোম্যান্টিক ছবি বানিয়েছিলেন। অথচ বাস্তব জীবনে তিনি বেশ লাজুক ছিলেন। কখনওই রাগতেও দেখিনি। ‘রাম-বলরাম’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় ১৯৭৮ সালেই তিনি বিয়ে করেছিলেন। আমি ইচ্ছা করেই ওঁর সঙ্গে খুনসুটি করতাম।”  তবে লাভলিন থাদানির সঙ্গে প্রথমবার সাতপাক ঘুরেছিলেন বিজয় আনন্দ। ‘জান হাজির হ্যায়’ নামে সাহসী রোম্যান্টিক ছবিতে কাজ করতে গিয়ে প্রেমের সূত্রপাত হয় তাঁদের। ২০০৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পরলোক গমন করেন বিজয়। তাঁর পুত্র বৈভব আনন্দ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন।
advertisement
advertisement
advertisement