Bollywood:তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে ডায়ালগ ভুলে যেতেন বড় বড় হিরো,কিন্তু নায়িকা পাগলের মতো ভালবাসতেন শুধু ধর্মেন্দ্রকে,কার কথা হচ্ছে বলুন তো? পড়ুন
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
সুপারহিট এই নায়িকার কষ্টে জর্জরিত, নিঃসঙ্গ জীবন চোখে জল এনে দেয়
১৯৫০ সাল নাগাদ বলিউডে তাবড় তাবড় নায়িকাদের ভিড়! কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন? মধুবালা, ওয়াহিদা রহমান, নূতন...! কোন-ও নায়িকা গ্ল্যামারাস, কোনও নায়িকার স্টারডম তুঙ্গে, কোন-ও নায়িকা বক্স-অফিসে সুপারহিট। কিন্তু সেই সময় একমাত্র একজন নায়িকাই ছিলেন, যিনি এককথায় 'কমপ্লিট প্যাকেজ' ... হিন্দি সিনেমার ‘পাকিজা’ অভিনেত্রী, যাঁর অসাধারণ অভিনয়-প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল দর্শকরা।Image: News18
advertisement
আকাশছোঁয়া কেরিয়ার হলেও ব্যক্তিগত জীবন জর্জরিত ছিল নায়িকার! দাম্পত্য জীবনে সুখ পাননি। একের পর এক অপূর্ণ সম্পর্ক! এই প্রতিভাবান অভিনেত্রী আর কেউ নন, মীনা কুমারী। ট্র্যাজিক ক্যুইন। ভাগ্যের নিদারুণ পরিহাস! একসময়ে ভারতের সবথেকে ধনী নায়িকার জীবন শেষ হল করুণ অবস্থায়! বাবা-স্বামীর অত্যাচার, প্রতারণা, টাকার অভাব, মদের নেশা... ট্র্যাজিক ক্যুইন মীনা কুমারীর জীবন যেন চিত্রনাট্য।Image: News18
advertisement
advertisement
নার্গিস এই চিঠিটি উর্দুতে লিখেছিলেন। এই চিঠির উল্লেখ রয়েছে ইয়াসির আব্বাসির বই ‘উন দিনো কি বাত হ্যায়’-এ। নারগিস চিঠিতে লিখেছিলেন –"মৃত্যু মোবারক হোক মীনা... আজ তোমার বোন তোমার মৃত্যুর জন্য তোমায় অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং প্রার্থনা করছে, যেন তুমি আর কখনও এই জগতে ফিরে না আসো। এই জগৎ এমন এক সংবেদনশীল ও সত্যনিষ্ঠ মানুষের উপযুক্ত নয়, যেমন তুমি ছিলে।"Image: News18
advertisement
এই একটি লাইনের মধ্যেই মীনা কুমারীর সারাজীবনের যন্ত্রণা ও একাকীত্ব লুকিয়ে রয়েছে। নার্গিস সেই চিঠিতে এক বড় সত্য উন্মোচন করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, মীনা কুমারী যদি জীবনে কাউকে নিজের সমস্ত ভালবাসা দিয়ে ভালবেসে থাকেন, তবে সে ছিল শুধুই ধর্মেন্দ্র। যদি কখনও তিনি কাউকে পাগলের মতো ভালবেসে থাকেন, তিনি ছিলেন ধর্মেন্দ্র।এই সম্পর্ক ছিল অপূর্ণ, কিন্তু গভীর। মীনা ও ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন এবং পর্দায় তাঁদের রসায়ন দেখে অনেকেই বুঝে গিয়েছিল—এটা শুধুই অভিনয় নয়, এর মধ্যে আরও কিছু আছে।Image: News18
advertisement
advertisement
বিয়ের পরে মীনা কুমারী আর কামাল আমরোহির জীবন মসৃণ ছিল না। আমরোহি অকথ্য অত্যাচার করতেন মীনা কুমারীর উপর। চলত মারধোর। অভিনেত্রী নার্গিস একবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, প্রকাশ্যেই মীনা কুমারীরে মারধর করতেন আমরোহি। শেষ পর্যন্ত বিয়েটা টেকে না। বিচ্ছেদ হয়ে যায় আমরোহি আর মীনা কুমারীর। মীনা ক্রমশ আরও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে মদ্যপানের অভ্যাস তাঁর জীবনকে গ্রাস করতে শুরু করে। এই সময়েই তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে, কিন্তু এই সম্পর্কও কখনও পূর্ণতা পায়নি।Image: News18
advertisement
advertisement
ব্যক্তিগত জীবন জর্জরির হলেও কেরিয়ার ছিল সোনায় মোড়া। 'তামাশা'য় মীনা কুমারীর অভিনয় আজ-ও ভোলেনি দর্শক। সাড়া ফেলল ১৯৫২-র 'বাইজু বাওরা'। ৫০-এর দশকে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি-- 'পরীনিতা', 'চাঁদনি চওক', 'আজাদ', 'এক হি রাস্তা'। 'শারদা', 'শাহারা', ' দিল আপনা অওর প্রিত পরাই', 'কাজল', 'সাহেব বিবি অওর ঘুলাম' ছবির হাত ধরে তিনি হয়ে উঠলেন 'ট্র্যাজেডি ক্যুইন'। ৬০-এর দশকের শুরুতে তাঁকে টেক্কা দেওয়ার আর কেউ ছিল না। হিরোরা-ও তাঁর কাছে হার মানতেন।Image: News18
advertisement
১৯৭১ সালে তাঁর লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। শরীর খারাপের মধ্যেও জীবনের সবথেকে বড় ছবি 'পাকিজা' শ্যুট করেন মীনা কুমারী। ১৯৭২ সালে ছবিটি মুক্তি পায়, এর কয়েক সপ্তাহ বাদেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মীনা কুমারী। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। একসময়ে ভারতের সবথেকে ধনী নায়িকার হাসপাতালের বিল দেওয়ার টাকাও ছিল না।Image: News18
advertisement