RD Burman-Asha Bhosle: বয়সে ৬ বছরের বড় আশা আর ডি বর্মণকে ভালোবেসে ডাকতেন 'বাবস' বলে!
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
২৭ জুন আর ডি বর্মণের জন্মদিন (RD Burman Birth Anniversary)। বেঁচে থাকলে এদিন ৮২ বছর বয়স হত তাঁর।
১৯৬০ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত ৩৩১টি ছবির সুর দিয়েছিলেন রাহুলদেব বর্মণ (RD Burman)। মূলত হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত হলেও বাংলাতেও বহু গান তাঁর তৈরি। লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁশলে (Asha Bhosle), কিশোর কুমার ও মহম্মদ রফির গাওয়া অসংখ্য হিট গান আর ডি বর্মণের সুর করা। নিজে গানও গেয়েছেন বহু ছবিতে। ২৭ জুন আর ডি বর্মণের জন্মদিন (RD Burman Birth Anniversary)। বেঁচে থাকলে এদিন ৮২ বছর বয়স হত তাঁর।
advertisement
১৯৮০ সালে রাহুলদেব বর্মণ বিয়ে করেছিলেন আশা ভোঁশলেকে। আশার জীবনে রাহুল এসেছিলেন সই শিকারি হয়ে। একদিন আশা এসেছেন শচীন দেব বর্মণের স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং করতে। সময়টা পাঁচের দশকের শেষ, ১৯৫৬ সাল। আশা ততদিনে গুমরাহ, ওয়াক্ত, আদমি অউর ইনসান, হামরাজ ছবির গানের দৌলতে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। রাহুল দেব তখন বাবার সহকারী। কলেজে পড়েন। স্টুডিওর কালো কাচের বাইরে থেকে আশাকে দেখেই থমকে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল। এই তাঁর স্বপ্নের সেই গায়িকা? অটোগ্রাফ নিতে হবে, একথা মনে হতেই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গান শেষ হওয়ার পরে স্টুডিওর বাইরে আসতেই গায়িকার দিকে খাতা বাড়িয়েছিলেন ভবিষ্যতের জাদুকর সুরকার আর ডি বর্মণ।
advertisement
আশার জীবনে 'অতীত' ছিল। দিদি লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারি গণপত রাও ভোঁশলেকে বিয়ে করেছিলেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। তার পর তিন ছেলেমেয়ের মা। আর টাকার খাঁই মেটাতে না পারায় ছেলেমেয়ে-সহ আশাকে বাড়ি থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন গণপত।
advertisement
অতীত অবশ্য ছিল পঞ্চমেরও। কলেজে পড়তে পড়তেই বিয়ে করেছিলেন রীতা পটেলকে। যিনি আবার রাহুলের অন্ধ অনুরাগিনী ছিলেন। শোনা কথা, রীতা নাকি বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে বিয়ে করেছিলেন পঞ্চমকে। বন্ধুদের বলেছিলেন, কিছুদিন তাঁর সঙ্গে মিশলেই আর ডি তাঁকে না বলতে পারবেন না। সত্যিই রীতাকে সেই সময় 'না' বলতে পারেননি শচীনকত্তার ছেলে। বাজি ধরে বিয়ে করা যায়, বিয়ে টেকানো যায় কি? যায় না বলেই ১৯৭০-এ (মতান্তরে ১৯৭১) বিয়ে ভেঙে যায় রাহুলের।
advertisement
এর পর একসঙ্গে বহু ছবির গানে কাজ করতে শুরু করেন রাহুলদেব ও আশা। কাজ হতে থাকল। ভালো লাগাও বাড়তে থাকল। রাহুলকে ততদিনে আশা 'বাবস' নামে আদর করে ডাকেন। কিন্তু মনের কথা মুখ ফুটে বলতে পারেন না কেউই। তার উপর তেতো অতীত সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়াচ্ছে আশাকে। না পারছেন গণপতকে ভুলতে, না পারছেন রাহুলকে সরাতে। তার থেকেও বড় কথা তিনি রাহুলের থেকে ছ'বছরের বয়সে বড়। তাই রাহুল প্রেমে হাবুডুবু খেলে কী হবে, মা মীরা দেব বর্মণের এই সম্পর্কেই ঘোর আপত্তি ছিল।
advertisement
১৯৭৫-এ মিরাকল ঘটল। 'দিওয়ার' ছবির সুরকার আর ডি। তাঁর সুরে স্টুডিয়োতে রেকর্ডিং হচ্ছে 'কহে দু তুমহে ইয়া চুপ রহুঁ' গান। রেকর্ডিং শেষ। রুম থেকে বেরোতেই আশার মুখোমুখি পঞ্চম। চোখে প্রশ্ন, এই গানের পরেও মুখে কিছু বলতে হবে? আশার পক্ষে আর ফেরানো সম্ভব হয়নি রাহুলকে। নিজের অতীত জানিয়েছিলেন আশা। সব শুনে কিছুক্ষণ চুপ করেছিলেন সুরকার। তার পর তাঁর স্বপ্নের গায়িকার হাত ধরে বলেছিলেন, 'ভালো-মন্দ সব নিয়ে তোমায় গ্রহণ করব। কোনওদিন একটা প্রশ্ন করব না। আর না বোল না।'
advertisement