'অনুরাগের ছোঁয়া'তে পুরো সেনগুপ্ত পরিবার দার্জিলিং ঘুরতে গিয়েছিল। অন্যদিকে দীপা রূপাকে নিয়ে গিয়েছিল দার্জিলিংয়ে। সেখানে গিয়ে মিশকার চক্রান্তে সোনাকে অপহরণ করে কিছু দু্স্কৃতি । দীপা সোনার খোঁজ পায় এবং শেষ পর্যন্ত সূর্য-দীপা একসঙ্গে মিলে সোনাকে উদ্ধার করে এবং একই গাড়ি করে কলকাতায় ফিরে আসে। এই ঘটনা তাঁদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। দার্জিলিং থেকে তাঁরা যেদিন ফেরে, সেই দিনই দোল, এমনটাই দেখা যায় সিরিয়ালে। সূর্য-দীপা দুজনেরই মনে পড়ে যায় যে এই দিন কয়েক বছর আগে সূর্য দীপাকে তার মনের কথা জানিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। ফলে এই দিনটা তাদের কাছে খুব বিশেষ। কিন্তু তাও তাদের মান অভিমানের পালা যেহেতু এখনও অব্যাহত তাই তারা জীবনের মূল স্রোতে ফিরে যায়।
অন্যদিকে 'বাংলা মিডিয়াম'-এ ইন্দিরার উদ্যোগে জমে উঠেছে দোলের প্রস্তুতি পর্ব। বিক্রম ইতিমধ্যেই ইন্দিরার কপালে সজ্ঞানে, ভগবানকে সাক্ষী রেখে, সবার সামনে আবার নতুন করে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। ফলে তাদের সম্পর্ক আগে থেকে অনেকটা সহজ হয়। তবে এর পিছনে আছে বিক্রমের বড় অভিসন্ধি। তা অবশ্য এখন জানতে পারেনি ইন্দিরা। অন্যদিকে ইন্দিরার মনেও চলছে দোটানা। বিক্রম কে ক্ষমা করে দিয়ে সে ঠিক করছে, নাকি ভুল, সে নিয়ে দ্বন্দ্বে ভুগছে ইন্দিরা। কিন্তু সবকিছুর মাঝেই দোলের জন্য চলছে জমজমাট প্রস্তুতি।
'গাঁটছড়া' খড়ির স্মৃতি ফিরে এসেছে বেশ কিছুদিন হল। খড়ি-রিদ্ধিমান আসছে আরও কাছাকাছি। মনের মিল তো তাদের আগেই হয়েছিল এখন তাদের আরও কাছে আসার পালা। অন্যদিকে এই ক'বছরে বদলেছে কুণাল-বনির সম্পর্কের সমীকরণ। কুণাল মায়ের চাপে পড়ে পেখমকে বিয়ে করতে চলেছে কিন্তু সে এখন বনিকেই ভালবাসে। তাই রিদ্ধিমান-খড়ি, বনি-কুণালকে কাছাকাছি আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একটি ক্যাফেতে কুণাল বনিকে তার নিজের মনের জানায় কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। বনি শর্ত দেয় কুনাল যদি বাড়িতে সকলের সামনে দাঁড়িয়ে, কুণালের মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো বলতে পারে তাহলে বনি ফিরে আসবে তার কাছে। কুণালকে তার মাকে রাজি করাতে হবে তাদের এই সম্পর্কের বিষয়।
অন্যদিকে সিরিয়ালে প্রোমোতে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে দোল উৎসবের মেতে উঠেছে সিংহরায় পরিবার। রং খেলার মধ্যে দিয়ে আরও কাছাকাছি আসছে খড়ি-ঋদ্ধিমান। আর তার মধ্যে হঠাৎ করেই কুণাল এসে বলে যে সে বেঁচে থাকতে চায় না। তারপর বাড়ির সবার সামনে দোলের দিন পলাশ ফুলের মালা বদল করে খড়ি-ঋদ্ধিমান বিয়ে দেয় কুণাল-বনির। এখন দেখার পালা এই দোলে ঋদ্ধিমান খড়ির পাশাপাশি বনি-কুণাল কি আবার এক হবে? নাকি এখন থেকে যাবে মান-অভিমান।
প্রোমোতে দেখানো হচ্ছে, রং খেলা শেষে সৃজন স্নান করতে যায়। পর্ণা বুঝতে না পেরে বাথরুমে ঢুকে গেলে সৃজন ভিতর থেকে বাথরুমের দরজা আটকে শাওয়ার খুলে দেয়, একসঙ্গে ভিজতে থাকে দুজন। কিন্তু তার মধ্যে এসে পড়ে সৃজনের মা এবং বুঝতে পেরে যায় যে ভিতরে সৃজন-পর্ণা দুজনেই আছে। অন্যদিকে পর্ণাও বুঝেই যাচ্ছে এর পরেও এর জন্য হতে চলেছে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এর থেকে কি বাঁচতে পারবে পর্ণা? এখন সেটাই দেখার।