Bengali Drama: পর্দায় ভাসবে বাদল সরকারের অভিনয়, নাটকের দর্শন; মুক্ত মঞ্চের প্রচারে দেখানো হবে ‘পাখিরা’
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Bengali Drama Pakira: ‘পাখিরা’ কলকাতা ও তার আশেপাশে অবাধ নাট্য আন্দোলনের এক উজ্জ্বল সাক্ষ্য। তথ্যমূলক এই চলচ্চিত্রটি ১৯৯০ সালে ১৬ মিমি সেলুলয়েডে তৈরি করা হয়েছিল।
‘বাদল সরকার নাট্যচর্চা কেন্দ্র' (Badal Sarkar Natyacharcha Kendra) এবং থার্ড থিয়েটারের দল 'শতাব্দী' (Satabdi), 'পাঠসেনা’ (Pathasena), 'আয়না’ (Ayana), 'বৃহি' (Brihi), 'অন্যকণ্ঠ' (Anyakantho) যৌথভাবে একটি তথ্যচিত্র 'পাখিরা' (PAKHIRA) প্রদর্শনের আয়োজন করবে ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, শুক্রবার ৫টা বেজে ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত। Story: Kamalika Sengupta
advertisement
এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির ‘তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহ’ (Tripti Mitra Natyagriha)-এ। এই তথ্যচিত্রে বিশিষ্ট নাট্যবিশেষজ্ঞ শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Samik Bandyopadhay) একটি বক্তৃতা দেখানো হবে নাটক শুরুর পূর্বে। ‘পাখিরা’ কলকাতা ও তার আশেপাশে অবাধ নাট্য আন্দোলনের এক উজ্জ্বল সাক্ষ্য। তথ্যমূলক এই চলচ্চিত্রটি ১৯৯০ সালে ১৬ মিমি সেলুলয়েডে তৈরি করা হয়েছিল।
advertisement
আন্দোলনের পথপ্রদর্শক, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা বাদল সরকার (Badal Sarkar) একবার বলেছিলেন, ‘এই থিয়েটার একটি দৃষ্টিভঙ্গি, একটি দর্শন’। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ত্রয়ী, শিবানন্দ মুখোপাধ্যায় (Sivananda Mukherjee), অসীম চৌধুরি (Asim Chaudhuri), দেবাশিস চক্রবর্তী (Debashis Chakraborty) প্রচলিত নাটকের বাস্তব বিবরণের পরিবর্তে মুক্ত থিয়েটারের আন্দোলনের দার্শনিক দিকগুলিতে মনোনিবেশ করেছেন।
advertisement
গ্রামীণ-শহুরে বিভাজন, যুদ্ধ-বিগ্রহ, পারমাণবিক বিস্ফোরণের ভয়াবহ প্রভাব, নিপীড়িত মানুষের অধিকারের লড়াই ছবিতে ব্যবহৃত নাটকের অংশের অন্যতম বিষয়। এ ছবিতে ব্যবহৃত বাদল সরকারের নাটকের উপস্থাপনাগুলি হল ‘ভোমা, ‘স্পার্টাকাস, ‘খাট-মাট ক্রিং’, ‘মিছিল’, ‘ত্রিংশ শতাব্দী’। উল্লেখ্য, বাদল সরকারের অভিনয় যা পাখিরা চলচ্চিত্রের একটা বড় অংশে রয়ে গিয়েছে, তার গুণেই চলচ্চিত্রটি একটি আর্কাইভে পরিণত হয়েছে।
advertisement
বাদল সরকার ঠিক যে ভাবে বিবৃতি দিতেন তাতে তাঁর অনুভূতি, ধারণাগুলিকে অভূতপূর্ব ভাবে চিত্রিত হত, নাটকে সেটিই তুলে ধরা হয়েছে। যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিল্মের সেলুলয়েড প্রিন্টের অবনতি ঘটে যাওয়ায় নেগেটিভগুলো বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অবশ্য আজকের ডিজিটাল যুগে ডকুমেন্টারি রিকভারি করা অনেকটাই সহজ, এটিই আশার কথা।
advertisement
কিন্তু এই নিয়ে যথাযথ আগ্রহ দেখাতে তেমন কেউ উদ্যোগ নেননি। অবশেষে, 'থিয়েটার সংসৃতি' (Theatre Sangsriti)-র পরিচালক এবং অভিনেতা শ্রী দেবেশ চট্টোপাধ্যায় (Debesh Chattopadhyay) নিজের উৎসাহেই এগিয়ে এসেছেন। এই ডকুমেন্টেশনটি সংরক্ষণ করতে যাবতীয় টেকনোলজির সাহায্যও তিনি নিয়েছেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আরেক নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ (Arpita Ghosh) এই কাজে সাহায্য করেছেন। বর্তমানে ছবিটির ডিজিটাল সংস্করণ পেনড্রাইভ আকারে ‘তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহ’-এ পাওয়া যাবে, আগ্রহীরা চাইলে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।