Anindya Chatterjee: 'ব্রাউন সুগার, পাতি বাংলায় কয়েকটা পাতা আর...', নেশায় ডুবে থাকা অনিন্দ্যর লড়াই

Last Updated:
বহু বছর আগের কথা। জীবনের সব চেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। তখন 'লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন'-এর হাঁকডাক নয়, অনিন্দ্যর দিনের বেশির ভাগটা কাটত নানা ধরনের নেশায় বুঁদ হয়ে।
1/8
অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রাটা ঠিক কী রকম? নিজের মতো করে অনুরাগীদের সেই গল্পই শোনালেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রাটা ঠিক কী রকম? নিজের মতো করে অনুরাগীদের সেই গল্পই শোনালেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
2/8
বহু বছর আগের কথা। জীবনের সব চেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। তখন 'লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন'-এর হাঁকডাক নয়, অনিন্দ্যর দিনের বেশির ভাগটা কাটত নানা ধরনের নেশায় বুঁদ হয়ে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন তিনি। লড়াইটা ছিল নিজের সঙ্গেই। অতীতের সেই দিনগুলি আজও তাঁর স্মৃতিতে অমলিন।
বহু বছর আগের কথা। জীবনের সব চেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। তখন 'লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন'-এর হাঁকডাক নয়, অনিন্দ্যর দিনের বেশির ভাগটা কাটত নানা ধরনের নেশায় বুঁদ হয়ে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন তিনি। লড়াইটা ছিল নিজের সঙ্গেই। অতীতের সেই দিনগুলি আজও তাঁর স্মৃতিতে অমলিন।
advertisement
3/8
ফেসবুক পোস্টে অনিন্দ্য লেখেন, "আমার কাছে এখনও জলের মতো স্পষ্ট ২০০৮ সালে আজকের এই দিনটা । আর দেখতে পাই বলেই হয়তো আজকে এটা লিখতে পারছি । ব্যাঙ্কসাল কোর্টে হাজিরা দিয়ে আমাকে রিহ্যাবে ফিরতেই হতো । ৯টার বনগাঁ লোকাল আর আমাকে যেতে হত হাবড়া । সাথে ছিল শেষবারের মতো নেশা করব বলে একটু ব্রাউন সুগার, পাতি বাংলায় কয়েকটা পাতা আর একটা সিরিঞ্জ, একটু তুলো একটা চামচ।"
ফেসবুক পোস্টে অনিন্দ্য লেখেন, "আমার কাছে এখনও জলের মতো স্পষ্ট ২০০৮ সালে আজকের এই দিনটা । আর দেখতে পাই বলেই হয়তো আজকে এটা লিখতে পারছি । ব্যাঙ্কসাল কোর্টে হাজিরা দিয়ে আমাকে রিহ্যাবে ফিরতেই হতো । ৯টার বনগাঁ লোকাল আর আমাকে যেতে হত হাবড়া । সাথে ছিল শেষবারের মতো নেশা করব বলে একটু ব্রাউন সুগার, পাতি বাংলায় কয়েকটা পাতা আর একটা সিরিঞ্জ, একটু তুলো একটা চামচ।"
advertisement
4/8
জীবনে মূল স্রোতে ফিরে আসার লড়াইটা সহজ ছিল না মোটেই। প্রত্যেক মুহূর্তে নিজের সঙ্গেই লড়ে গিয়েছেন অনিন্দ্য। "হাবড়া স্টেশনে নেমে একটু এগোলেই সেই রিহ্যাব যেখান থেকে আমার ভাল থাকার লড়াই শুরু হয়েছিল । তার আগে প্রায় ২৮ বা ২৯ টা ডিটক্স আর রিহ্যাব হয়ে গেছে । যেদিন ছাড়া পেতাম সেদিনই রিলাপস, এরকম একটা প্যাটার্ন ছিল । আমাদের ভাষায় আমরা বলি ক্রনিক রিলাপসী । ৬/৭ বছর ধরে অনবরত ঘুরতে থাকা একটা বৃত্ত। হয় বাইরে নেশা  করছি, না হলে তালা চাবির ভিতরে ভাল আছি । তালা চাবির বাইরে বেরলেই আবার নেশা", কঠিন সেই লড়াইয়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখেন অনিন্দ্য।
জীবনে মূল স্রোতে ফিরে আসার লড়াইটা সহজ ছিল না মোটেই। প্রত্যেক মুহূর্তে নিজের সঙ্গেই লড়ে গিয়েছেন অনিন্দ্য। "হাবড়া স্টেশনে নেমে একটু এগোলেই সেই রিহ্যাব যেখান থেকে আমার ভাল থাকার লড়াই শুরু হয়েছিল । তার আগে প্রায় ২৮ বা ২৯ টা ডিটক্স আর রিহ্যাব হয়ে গেছে । যেদিন ছাড়া পেতাম সেদিনই রিলাপস, এরকম একটা প্যাটার্ন ছিল । আমাদের ভাষায় আমরা বলি ক্রনিক রিলাপসী । ৬/৭ বছর ধরে অনবরত ঘুরতে থাকা একটা বৃত্ত। হয় বাইরে নেশা করছি, না হলে তালা চাবির ভিতরে ভাল আছি । তালা চাবির বাইরে বেরলেই আবার নেশা", কঠিন সেই লড়াইয়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখেন অনিন্দ্য।
advertisement
5/8
দুঃসময়ে পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন অনিন্দ্য। কিন্তু অভিনেতার ভুল পথে চলে যাওয়ার ফল ভুগতে হয়েছিল তাঁর কাছের মানুষদেরও। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, "বাড়ির সব কিছুই মোটামুটি তত দিনে প্রায় শেষ । সে মায়ের সোনার গয়না হোক বা বাবার সঞ্চয়।"
দুঃসময়ে পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন অনিন্দ্য। কিন্তু অভিনেতার ভুল পথে চলে যাওয়ার ফল ভুগতে হয়েছিল তাঁর কাছের মানুষদেরও। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, "বাড়ির সব কিছুই মোটামুটি তত দিনে প্রায় শেষ । সে মায়ের সোনার গয়না হোক বা বাবার সঞ্চয়।"
advertisement
6/8
তিনি আরও যোগ করেন, "লোহা, অ্যালুমিনিয়াম,কাঁসার জিনিস তখন আমার কাছে সোনার মতোই দামি। যে কোনও গাড়ির লক খুলতে লাগত ঠিক তিন মিনিট । একটা নোকিয়ার মোবাইল মানে ক্যাশ ২/৩ হাজার । সেটাই অনেক তখন আমার কাছে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "লোহা, অ্যালুমিনিয়াম,কাঁসার জিনিস তখন আমার কাছে সোনার মতোই দামি। যে কোনও গাড়ির লক খুলতে লাগত ঠিক তিন মিনিট । একটা নোকিয়ার মোবাইল মানে ক্যাশ ২/৩ হাজার । সেটাই অনেক তখন আমার কাছে।"
advertisement
7/8
অনিন্দ্য বুঝেছিলেন, এ ভাবে চললে জীবনে-পথে আর খুব বেশি দিন হাঁটা হবে না তাঁর। তাই জেদ আর অধ্যাবসায়কে সঙ্গী করেই অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা শুরু করেন অভিনেতা।
অনিন্দ্য বুঝেছিলেন, এ ভাবে চললে জীবনে-পথে আর খুব বেশি দিন হাঁটা হবে না তাঁর। তাই জেদ আর অধ্যাবসায়কে সঙ্গী করেই অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা শুরু করেন অভিনেতা।
advertisement
8/8
এর পর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। সে কথা অনুরাগীদের জানিয়ে অনিন্দ্য লেখেন, "আজ ২২শে জানুয়ারি । কাল আমার জন্মদিন । এই জন্মদিনটাই আমার সবচেয়ে কাছের । কেন ?? কারণ কালকে আমার নেশামুক্তির ১৫ বছর । ২৯শে ডিসেম্বর তো বায়োলজিক্যাল বার্থডে। কিন্ত কালকের দিনটা আমার কাছে অনেক অনেক বেশি স্পেশ্যাল।" অনিন্দ্যর এই লড়াইয়ের আখ্যান সাহস জুগিয়েছে অনেককেই। অতীতের তিক্ততা ভুলে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন অনিন্দ্য। ধারাবাহিক থেকে বড় পর্দা, সবেতেই চুটিয়ে কাজ করছেন তিনি।
এর পর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। সে কথা অনুরাগীদের জানিয়ে অনিন্দ্য লেখেন, "আজ ২২শে জানুয়ারি । কাল আমার জন্মদিন । এই জন্মদিনটাই আমার সবচেয়ে কাছের । কেন ?? কারণ কালকে আমার নেশামুক্তির ১৫ বছর । ২৯শে ডিসেম্বর তো বায়োলজিক্যাল বার্থডে। কিন্ত কালকের দিনটা আমার কাছে অনেক অনেক বেশি স্পেশ্যাল।" অনিন্দ্যর এই লড়াইয়ের আখ্যান সাহস জুগিয়েছে অনেককেই। অতীতের তিক্ততা ভুলে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন অনিন্দ্য। ধারাবাহিক থেকে বড় পর্দা, সবেতেই চুটিয়ে কাজ করছেন তিনি।
advertisement
advertisement
advertisement