Amrita Rao: নামের প্রথম অক্ষর K! কার জন্য নষ্ট হয় অমৃতার সফল কেরিয়ার? অবশেষে বিস্ফোরক নায়িকা

একের পর এক হিট ছবি। তাঁর অভিনয় ছাপ ফেলেছিল দর্শক-মনে। তবু বলিউডে প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় সামিল হতে পারেননি অমৃতা রাও। একটু একটু করে সরে গিয়েছেন আলোকবৃত্ত থেকে।

'ইশক ভিশক', 'ম্যায় হু না', 'বিবাহ'-র মতো একাধিক সফল ছবির নায়িকা। তবু ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীন রাজনীতির জন্যই নাকি সরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। নিজের বই 'কাপল অফ থিংস'-এ তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন অমৃতা। স্বামী আরজে আনমোলের সঙ্গে সেই বইটি লেখেন তিনি।

অমৃতা জানান, ঝুলিতে সফল ছবি থাকা সত্ত্বেও নামী পত্রিকাগুলি তাঁকে কখনও শ্যুটের প্রস্তাব দিত না। 'বিবাহ'-এর সাফল্যের পর শাহিদের সঙ্গে নাকি তেমনই একটি শ্যুট করেন তিনি। অন্যান্য তারকাদের সঙ্গে ছবি তোলা হয়েছিল শাহিদ-অমৃতার। তাঁরা দু'জন ছিলেন সেই ছবিটির মধ্যমণি। কিন্তু পত্রিকাটি প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, অমৃতাকে একদম পিছন দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অমৃতা জানতে পারেন, অন্য এক অভিনেত্রীর কথাতেই নাকি এমনটা করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় একটি ছবির শ্যুট চলাকালীন এক ট্যারো কার্ড রিডারের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। সেই ট্যারো কার্ড রিডার অমৃতাকে বলেছিলেন, তাঁর আসন্ন দু'টি ছবি ভাল ব্যবসা করবে না।

এখানেই থেমে যাননি অমৃতা। বইতে অভিনেত্রী দাবি করেন, সেই ট্যারো কার্ড রিডার তাঁকে বলেছিলেন, এমন কোনও মহিলা তাঁর প্রতি খুবই নেতিবাচক, যাঁর নামের আদ্যক্ষর 'K'।

তবে সেই মহিলার পরিচয় প্রকাশ্যে আনেননি অমৃতা। সেই ট্যারো কার্ড রিডার অমৃতার প্রেম জীবন নিয়ে যা যা বলেছিলেন, পরবর্তীতেও তা-ও পুরোপুরি মিলে যায়।

এক সময়ে শাহিদ এবং করিনা কাপুর খানের বিচ্ছেদের জন্য দায়ী করা হয়েছিল অমৃতাকে। শোনা গিয়েছিল, শাহিদের সঙ্গে অমৃতার ঘনিষ্ঠতা ভাল ভাবে নেননি করিনা। তাই নাকি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

অমৃতা জানিয়েছিলেন, শাহিদ শুধুই তার সহকর্মী। তার থেকে বেশি কখনওই কোনও সম্পর্ক ছিল না। পরবর্তীতে করিনার সঙ্গে 'সত্যাগ্রহ' ছবিতে কাজ করেছিলেন অমৃতা। দুই অভিনেত্রীর বিবাদের কোনও খবর তখন শোনা যায়নি।