

অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধারে নাট্যকার,নির্দেশক, অভিনেতা । করোনা র কারণে নান্দীকার এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক জগতে। সম্প্রতি তাঁকে স্মরণ করলেন , শ্রদ্ধা অর্পণ করলেন তাঁর বন্ধু, সতীর্থ ও অনুজরা।


রুদ্র প্রসাদ সেনগুপ্ত বন্ধুর স্মৃতি চারণার পাশাপাশি দাবি করেন অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। তিনি অনেক বেশি সম্মান পাওয়ার যোগ্য। তাই তিনি চান পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেন তাঁকে মরণোত্তর বঙ্গ বিভূষণ সম্মান প্রদান করে।


সামনাসামনি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এর আভিনয় দেখতে পারেননি তিনি , নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এমনটা নয়, কিন্তু নাটকের মনোযোগী ছাত্র হিসেবে , অগ্রজকে মনে রেখে , ঐতিহ্যকে স্মরণ করতে , শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন ব্রাত্য বসু।


অসিত বসুর কাছে তাঁর প্রিয় অসিত দার এভাবে চলে যাওয়া যত না দুঃখের , তার থেকেও বেশি বিরক্তির। এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না তিনি। ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা র পাশাপাশি উঠে এল অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এর যাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাও।


ছেলে আবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস, নাটকের ইতিহাস কে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মানুষদের মনে রাখা খুব প্রয়োজন। ভারচুয়ালি এদিন শ্রদ্ধা জানান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায় দেব শংকর হালদার এর মত নাট্যব্যক্তিত্ব রা। এছাড়াও নান্দীকারে একসময়ের সতীর্থ শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, সন্ধ্যা দে, মুরারী রায় চৌধুরী, পঙ্কজ মুন্সী, শেখার সমাদ্দার সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এই স্মরণ সভায়। অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের লেখা কবিতা পড়ে শোনান সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।