Job: ‘প‍্যাকেজের পাওয়ার হাউস’ এই কলেজ! এখান থেকে পড়াশোনা করলেই ‘কোটিপতি’ হওয়া যাবে? চাকরির সেরা সুযোগ

উচ্চ মাধ‍্যমিক পাশ করার পর থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মনে উঁকি দিতে থাকে একটিই প্রশ্ন। এরপর কী নিয়ে করা যাবে পড়াশোনা। কোন বিষয় নিয়ে উচ্চ শিক্ষার পাঠ নিলে ভবিষ‍্যত্‍ হবে উজ্জ্বল। ইঞ্জিনিয়ারিং নাকি মেডিক‍্যাল নাকি অন‍্য কোনও ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ বেশি।

বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই আসে প্রতিষ্ঠান নিয়ে চিন্তা। কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলে সহজে চাকরি পাওয়া যাবে? কোন প্রতিষ্ঠান দেবে সবচেয়ে বেশি চাকরির সুযোগ? ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মনে থেকে যায় এই ভাবনা।

যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, তাদের স্বপ্ন থাকে IIT-তে পড়াশোনা করার। কিন্তু আইআইটিতে সুযোগ পাওয়া মোটেই চাট্টিখানি কথা নয়। JEE Main এবং তারপরে JEE Advanced এর মতো কঠিন পরীক্ষাগুলি পাস করতে হয়।

তবে কেবল মাত্র সুযোগ পাওয়া নয়, সারা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক IIT প্রতিষ্ঠান। এগুলির মধ‍্যে কোন IIT-তে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে ভাল? সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চাকরির দৌড়ে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে একটি আইআইটি প্রতিষ্ঠান।

এখান থেকে পড়াশোনা করে ৫ ছাত্রছাত্রী বার্ষিক ১ কোটি টাকা প‍্যাকেজের চাকরিও পেয়েছেন। এরপরেও আরও হইচই পড়ে যায় IIT ইন্দোর নিয়ে। এই প্রতিষ্ঠান দুর্দান্ত অ‍্যাকাডেমিক পরিবেশের পাশাপাশি ছাত্রদের বিশ্বমানের চাকরির জন‍্যও প্রস্তুত করে তোলে।

প্রথমবার এই প্রতিষ্ঠানের পাঁচ ছাত্রকে এক-এক কোটি টাকা থেকে বেশি বার্ষিক বেতন প্যাকেজ পাওয়া গিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এইবারের প্লেসমেন্ট সিজন বেশি ইতিবাচক ছিল। যেখানে ২০২৩ সালে শুধু একজন ছাত্রকে কোটি টাকার প্যাকেজ পেয়েছিলেন।

সেখানে এইবার কমপক্ষে প্যাকেজেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। ১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া প্লেসমেন্ট অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫০০ থেকে বেশি অফার দেওয়া হয়েছে এবং ৮৮% থেকে বেশি সংখ‍্যক ছাত্রছাত্রী চাকরি পেয়েছেন।

এই বছর ক্যাম্পাসে আসা কোম্পানির সংখ্যায় বৃদ্ধি হয়েছে। ১৫০-রও বেশি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি এবং পাবলিক সেক্টর ইউনিট (PSU) প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে। এতে IT, কোর ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল, এনার্জি, পরিবেশ, কনসালটিং, ফিনটেক, ব‍্যাঙ্কিং, সেমিকন্ডাক্টর এবং কনস্ট্রাকশন সেক্টরের কোম্পানিগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

শুধু সর্বোচ্চ প্যাকেজই নয়, বরং গড় বেতনেও উল্লেখযোগ্য ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে। এখন এই সংখ্যা ২৭ লাখ টাকা প্রতি বছর পর্যন্ত পৌঁছেছে। প্লেসমেন্টের সাফল্য সত্ত্বেও, IIT ইন্দোরের বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিংয়ে পতন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

QS ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৬ এ প্রতিষ্ঠানটিকে ৫৫৬তম স্থান দেওয়া হয়েছে, যেখানে ২০২৩ সালে এটি ৩৯৬তম স্থানে ছিল। চার বছরে মোট ১৬০ পয়েন্টের পতন রেকর্ড করা হয়েছে।