কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজে প্রতারিত হয়েছেন! মারাত্মক এই অভিযোগ নিয়ে লালবাজারে, তারপর
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
কিডনি পাচার নিয়ে বড়সড় অভিযোগ সরাসরি লালবাজারে...
#কলকাতা: কিডনি পাচার চক্রের হদিশ পেয়েও এখনও পর্যন্ত অধরা অপরাধীরা। অরূপ দে অভিযোগ করতে আনন্দপুর থানায় যান।সেখান থেকে পত্রপাঠ তাকে ফিরিয়ে দেয় থানা।নিজে কিডনি দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন।অরূপের কথায়,তাকে রীতিমত ধমক দিয়ে থানা থেকে বের করে দেয় পুলিশ। অরূপ দে অভিযোগ করবেনই ছিলেন বদ্ধপরিকর।ওখান থেকে বেরিয়ে সোজা পৌঁছে যায় কলকাতা লালবাজার জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের অফিসে।সেখানে গিয়ে অভিযোগটি জমা করেন।- Photo- Representative
advertisement
অভিযোগ পাওয়ার পর লালবাজারের কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে।শুক্রবার দুপুর একটার সময় অরূপকে লালবাজারের EOW ১এ দেখা করতে বলা হয়। ওদিকে অরূপের সঙ্গে যে কিডনির দালাল দেখা করতে এসেছিল।সেই রণবীর রজককে, রীতিমতো হুমকি দিয়ে ফোনের সিম ভেঙে ফেলতে বলেছে নীতেশ। নীতেশ চাওদা রণবীরকে ফোন করতে বারণ করেছে।অভিযোগকারীর মতে এই কিডনি পাচার চক্রের নীতেশ হল কিং পিন। একদিন আগে নীতেশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার সময় সে নিউজ ১৮ বাংলার প্রতিনিধিকে জানিয়েছিল কলকাতার বাইরে রয়েছে৷
advertisement
তবে নীতেশ চাওদা কলকাতার রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে,সূত্রের খবর এটাই বলছে। অরূপ জানিয়েছিলেন, নিতেশ আর্থিক দিক থেকে প্রভাবশালী। প্রচুর সমাজবিরোধীদের টাকার বিনিময়ে তাঁর অধীনে কাজ করে। ওর মাথার উপরে নাকি শহরের নামি ডাক্তারেরা রয়েছে। প্রতিবার কিডনি চক্রের হদিস পায় পুলিশ। তারপর সেই মামলার ভবিষ্যৎ কি হয় ! কেউ জানে না। কারোর কিডনির প্রয়োজন হলে, সেই গ্রহীতার আত্মীয়রা বিজ্ঞাপন দেবে সংবাদপত্রে। সাধারণত কিডনি একজন আরেকজনের থেকে আত্মীয়তার সূত্রে নিতে পারে। কোন ক্ষেত্রে আইন বলে অনাত্মীয়র কাছ থেকেও নেওয়া যায় বলে দাবি আইনজীবীদের। যত কিডনি প্রতিস্থাপন হয় তার বেশিরভাগই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাতা গ্রহীতাকে কোনো ভাবে আত্মীয় প্রমাণ করে কিডনি নেওয়া হয়।
advertisement