পূর্ব বর্ধমানে করোনায় ফের ২ জনের মৃত্যু, জেলায় মৃত বেড়ে ৫, আতঙ্কে দরজা জানলা বন্ধ করে গৃহবন্দি মানুষ
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
আপাতত সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত বাসিন্দাদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে পা না রাখার আবেদন জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
▪️পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও ২ জনের। মৃত দুজনই বর্ধমান শহর এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে ।এই নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫ জন। করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। আপাতত সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত বাসিন্দাদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে পা না রাখার আবেদন জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
advertisement
▪️জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি বর্ধমান শহরের রানিগঞ্জ বাজার এলাকায়। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে বর্ধমানের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মুদিখানা দোকান ছিল। তাঁর সংস্পর্শে আসা বাড়ির লোকজন ও আশপাশের বাসিন্দাদের কোয়ারান্টিনে রেখে তাঁদের লালারসের পরীক্ষা করা হবে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা দরজা জানলা বন্ধ করে নিজেদের গৃহবন্দি রেখেছেন।
advertisement
▪️দ্বিতীয় যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি বর্ধমান শহরের লস্করদিঘি এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই দুজনই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। মৃতের বাড়ি ও তার আশপাশ এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দুই এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
advertisement
▪️আগের দিনই বর্ধমানের কালীবাজার এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার তাঁর ব্যাপক শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। ওই পরিবারের কয়েকজনের মধ্যেও করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই পরিবারে পরিচারিকার কাজ করেন তিনজন। তাঁরাও জ্বরে আক্রান্ত। তাঁরা বর্ধমানের বীরহাটা কোঁড়া পাড়ার বাসিন্দা। তাদের কোয়ারান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, মৃতের বাড়িতে কাজ করা ওই তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের থেকে এলাকায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই তাদের দ্রুত কোয়ারান্টিন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।
advertisement
▪️এর আগে পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি মেমারির বাগিলায়। ওই ব্যক্তি বয়স জনিত নানান রোগে ভুগছিলেন। তাঁকে প্রথমে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যু হয়েছিল। খণ্ডঘোষ এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বাড়ির লোকেরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁর মৃত্যু হয়।