এই গরমে ঘরে বসে অনায়াসেই এই সব ব্যবসা করতে পারেন মহিলারা! আয় হবে দেদার!

অনেক সময় সংসার এবং সন্তানের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে কেরিয়ারের সঙ্গে কিছু আপোস করতে বাধ্য হন মহিলারা। এমন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সন্তান আসার পর আর বাইরে বেরিয়ে কাজ করা হচ্ছে না। ‘বাচ্চা বড় হোক, তার পর কেরিয়ার নিয়ে ভাবব’ - এই ধরনের কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন অনেকেই।

সেক্ষেত্রে কি তাঁর কেরিয়ারের উড়ান সেখানেই থেমে যাওয়া উচিত? একেবারেই না! বাইরে গিয়ে কাজ করতে না পারলে ব্যবসা করা যেতেই পারে। শুধু তাঁরাই নন, প্রত্যেক মহিলাই কিছু ব্যবসা সহজে শুরু করতে পারেন। আজ এমনই কিছু ব্যবসার বিষয়ে কথা বলব আমরা যা গ্রীষ্মপ্রধান এই দেশের পক্ষে আদর্শ, বিশেষ করে গরমকালে যার পণ্যের চাহিদাও প্রচুর।

ক্লাউড কিচেন/টেক-অ্যাওয়ে কাউন্টার: বাড়িতে থেকে আরামসে করা যাবে এই ব্যবসা। আর রান্নার প্রতি ভালবাসা থাকলে তো কথাই নেই। অর্ডার নিয়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ কিংবা ডিনারের নানা পদ তৈরি করে বিক্রি করা যাবে। মেন্যু হবে এমন যা গরমে শরীর আর মন দুইকেই তৃপ্তি দেবে। ছোট এই ব্যবসা এক বার ভাল ভাবে চলতে শুরু পরবর্তীকালে বড় রেস্তোরাঁও খোলা সম্ভব।

জ্যুস কাউন্টার: রান্নার ঝক্কিতে যেতে না চাইলে আছে জ্যুস সেন্টার বা শেক সেন্টার। এই গরমের মরশুমেই এখন এর মাধ্যমে মাইসুরুর মহিলারা ভাল মতোই উপার্জন করে চলেছেন। চাইলে নিখাদ বাঙালি শরবতের সেন্টারও দেওয়া যায়, লোকে খুশি হয়েই ভিড় করে কিনে খাবে।

আইসক্রিম স্টোর: গরমের সেরা পণ্য আইসক্রিম- এই নিয়ে কোনও কথা হবে না। হোমমেড কেকের বাজার এখন গরম, আইসক্রিম নিয়ে এলেও তা ক্রেতারা লুফে নেবেন। একবার পরখ করে দেখলে ঠকতে হবে না

সোপ বুটিক: ঘরে তৈরি বা হাতে তৈরি সাবানের চাহিদা এখন দুর্দান্ত। বানানো এমন কিছু কঠিন কাজও নয়। গ্রীষ্মে যখন স্নান আর বিলাস নয়, রীতিমতো প্রয়োজনও, তখন নানা রকমের সাবানের ব্যবসা ভালই চলবে। অনায়াসে তৈরি করে ফেলা যায় একটা সোপ বুটিক।

তবে বলে রাখা ভাল যে, প্রতিটা ব্যবসারই ভাল আর খারাপ দিক রয়েছে। প্রচুর চ্য়ালেঞ্জ সামনে আসবে। তবে দক্ষ হাতে তা সামলাতে হবে। নিজের আত্মবিশ্বাসও বজায় রাখতে হবে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা- উভয়ই বাড়বে।