Reliance Q2 FY25 Results: দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফলের পরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি কী কী? দেখে নিন বিশদে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Reliance Industries Q2 Results Highlights: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আয়ের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরা হল। অয়েল-টু-কেমিক্যালস ব্যবসা থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.১ শতাংশ। আবার রিলায়েন্স জিও-র শেয়ার প্রতি গড় রাজস্ব ১৯৫ টাকা অতিক্রম করেছে।
ব্রোকারেজ এবং বিশেষজ্ঞদের অনুমানকে পিছনে ফেলে দিয়ে বর্তমান আর্থিক বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সোমবার সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রৈমাসিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ১৯৩২৩ কোটি টাকার মোট মুনাফা লাভ করেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
advertisement
ভারতের সর্ববৃহৎ সংস্থার চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি সাংবাদিক বিবৃতিতে বলেন যে, “ডিজিটাল পরিষেবা এবং আপস্ট্রিম ব্যবসায় আমাদের পারফরম্যান্সে দুর্ধর্ষ উন্নতি দেখা গিয়েছে। আর এটাই অয়েল টু কেমিক্যাল বা O2C ব্যবসায় দুর্বল অবদানকে আংশিক ভাবে ক্ষতিপূরণ করেছে। আসলে এই ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে প্রতিকূল গ্লোবাল ডিমান্ড-সাপ্লাই ডায়নামিকস।”
advertisement
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আয়ের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরা হল। অয়েল-টু-কেমিক্যালস ব্যবসা থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.১ শতাংশ। আবার রিলায়েন্স জিও-র শেয়ার প্রতি গড় রাজস্ব ১৯৫ টাকা অতিক্রম করেছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ আরও ঘোষণা করেছে যে, তাদের নিউ এনার্জি গিগা ফ্যাক্টরি চলতি বছরের শেষ দিক থেকেই সোলার পিভি মডিউলস উৎপাদন শুরু করার পথে এগোচ্ছে।
advertisement
প্রত্যাশার তুলনায় সংস্থার মোট মুনাফা অনেকটাই ভাল। অন্যদিকে অয়েল টু কেমিক্যাল ব্যবসা রীতিমতো চাপে রয়েছে নিম্নগামী পেটকেম মার্জিনের কারণে। আবার ভাল ফল করেছে অয়েল অ্যান্ড গ্যাস ব্যবসা। তবে গত বছর EBITDA-য় উন্নতি দেখা গেলেও কনজিউমার ব্যবসা সেরকম ছিল না। যদিও এই ত্রৈমাসিকের অন্যতম প্রধান উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জিও-র পারফরম্যান্স এবং ট্যারিফ বৃদ্ধি। যা এর অ্যাভারেজ রেভেনিউ পার ইউজার বা ARPU-কে সমর্থন করেছে।
advertisement
ব্রোকারেজ ফার্ম CLSA রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের উপর ৩৩০০ টাকার প্রাইস টার্গেট-সহ তার ‘আউটপারফর্ম’ রেটিং বজায় রেখেছিল। এই ব্রোকারেজের তরফে একটি নোটে লেখা হয়েছে যে, এর স্টকের দামে ১৫ শতাংশের বেশি পতন স্টকটিকে তার কনজারভেটিভ ভ্যালুয়েশনের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে। আসলে এয়ারফাইবার সাবস্ক্রাইবারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা, নিউ এনার্জি প্রজেক্টসের সূচনা এবং জিও-র সম্ভাব্য আইপিও কিন্তু আগামী ১২-১৫ মাসে এই স্টকের জন্য মূল বিষয় হতে পারে।
advertisement
UBS-ও ৩২৫০ টাকার প্রাইস টার্গেট-সহ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের উপর ‘বাই’ রেকমেন্ডেশন বজায় রেখেছে। যদিও এটি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অর্থবর্ষ ২০২৫-২০২৭ EBITDA অনুমান ৫ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। ওই সংস্থার ভবিষ্যৎ অগ্রগতির চালকের মধ্যে অন্যতম হল ৫জি অ্যাডপশন এবং ডিজিটালের জন্য হোম কানেক্টস। সেই সঙ্গে নিউ এনার্জি ব্যবসার উদীয়মান সুযোগগুলি অক্ষত রয়েছে।
advertisement
আবার JP Morgan নিজেদের নোটে লিখেছে যে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের টেলিকম ব্যবসার অগ্রগতি অব্যাহত থাকা উচিত। আর রিফাইনিং, পেটকেম এবং রিটেলে অতিরিক্ত দুর্বলতার কিন্তু পরিবর্তন হওয়া উচিত। ইপিএস অনুমানে কাটছাঁট সত্ত্বেও JP Morgan অনুসন্ধান করেছে যে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মূল্যায়ন সহায়ক হতে হবে। আর ফলস্বরূপ নিফটি হেভিওয়েটের উপর ৩১২৫ টাকার প্রাইস টার্গেট-সহ ব্রোকারেজ ‘ওভারওয়েট’ তকমা দিয়েছে। Bernstein-ও উপার্জন সত্ত্বেও রিলায়েন্সের মূল্যায়নকে সহায়ক হতে দেখেছে, যা ব্রোকারেজের মতে একটি মিস ছিল। তবে ৩৪৪০ টাকার প্রাইস টার্গেট-সহ ওই স্টকের উপর ‘আউটপারফর্ম’ রেটিং বজায় রেখেছে।
advertisement
আবার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অর্থবর্ষ ২০২৫-২০২৭ EBITDA অনুমান ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে Nomura। কিন্তু তাদের বক্তব্য যে, দীর্ঘমেয়াদি আউটলুক গঠনমূলক এবং কনজিউমার ফেসিং ব্যবসা দ্বারা তা জোরালো করা হয়েছে। ব্রোকারেজের তরফে লেখা হয়েছে যে, জিও-র আসন্ন ট্যারিফ হাইক, জিও-র জন্য ভ্য়ালু আনলকিং, রিটেলের স্থায়ী বৃদ্ধি এবং ২০২৫ সালের মার্চ মাসে নিউ এনার্জি অপারেশনসের সূচনা এই স্টকের মূল বিষয় হতে চলেছে। আর ৩৪৫০ টাকার প্রাইস টার্গেট-সহ রিলায়েন্সের উপর ‘বাই’ রেটিং দিয়েছে Nomura।
advertisement
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অর্থবর্ষ ২০২৫ এবং ২০২৬ EBITDA অনুমান ৮ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে Jefferies। কিন্তু তারা লক্ষ্য করেছে যে, সম্প্রতি ১৪ শতাংশের একটি দুর্দান্ত সংশোধন এই মূল্যায়নকে আরও অনুকূল করে তোলে। তাই ৩৪০০ টাকার প্রাইস টার্গেট-সহ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের উপর ‘বাই’ রেটিং রেখেছে এই ব্রোকারেজ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের উপর কভারেজ রয়েছে ৩৭টি অ্যানালিস্টের। এর মধ্যে ২৮টির রয়েছে স্টকের উপর ‘বাই’ রেকমেন্ডেশন। আর ৬টি রেখেছে ‘হোল্ড’ এবং ৩টি রেখেছে ‘সেল’ রেকমেন্ডেশন। এদিকে সোমবার বন্ধ হওয়ার সময় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারে স্বল্প পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। এর মূল্য তখন ছিল ২৭৪৫ টাকা। আর স্টকটি তার সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ ৩২১৭ টাকা থেকে ১৫ শতাংশ সংশোধন করেছে।