ট্রেন ছাড়ার ৮ ঘণ্টা আগে রিজার্ভেশন চার্ট...! ১ জুলাই থেকে বদলে যাবে তৎকাল টিকিটের এই 'নিয়মগুলি', আগাম না জানলে বিপদ!

রেল রিজার্ভেশন চার্টের নতুন নিয়ম: ১ জুলাই থেকে রেলের নিয়মে বড় ধরণের পরিবর্তন আনছে ভারতীয় রেল। ট্রেন ছাড়ার আট ঘণ্টা আগে রিজার্ভেশন চার্ট প্রস্তুত করার প্রস্তাব দিয়েছে রেল বোর্ড।

আগামী ১ জুলাই, ২০২৫ থেকে, কেবলমাত্র যাচাইকৃত ব্যবহারকারীরাই অনলাইনে তৎকাল টিকিট বুক করতে পারবেন। আরও কী কী পরিবর্তন আসবে তা জেনে নিন।

টিকিট রিজার্ভেশনের জন্য নিত্য ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ভারতীয় রেল অবিরত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্য বাড়াতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। এবার টিকিটের সংরক্ষণের ক্ষেত্রে জালিয়াতি রুখতে কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

তারই মধ্যে একটি হল টিকিট রিজার্ভেশন চার্ট সম্পর্কিত রেল বোর্ডের প্রস্তাব। বোর্ড ট্রেন ছাড়ার আট ঘণ্টা আগে রিজার্ভেশন চার্ট প্রস্তুত করার প্রস্তাব করেছে। এর অর্থ হল, ১৪০০ (দুপুর ২টা) -র আগে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলির রিজার্ভেশন চার্ট ২১০০ (রাত ৯টা) আগে প্রস্তুত থাকবে।

এই নতুন নিয়মে ওয়েটিং অর্থাৎ অপেক্ষমাণ তালিকার টিকিটধারী যাত্রীদের অনিশ্চয়তা কমে যাবে। যাত্রীরা আগে থেকেই অপেক্ষমাণ তালিকার স্টেটাস সম্পর্কে যাবতীয় আপডেট পেয়ে যাবেন।

এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চল বা বড় শহরগুলির শহরতলির দূরপাল্লার ট্রেন ধরার যাত্রীরা উপকৃত হবেন। ওয়েটিং টিকিট নিশ্চিত না হলে বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য যাত্রীরাও আরও বেশি সময় পাবেন।

নতুন পিআরএসের মাধ্যমে এক মিনিটে ১.৫ লক্ষেরও বেশি টিকিট বুকিং:
রেল বোর্ড জানিয়েছে, এখন নতুন যাত্রী সংরক্ষণ ব্যবস্থার (পিআরএস) মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ১.৫ লক্ষেরও বেশি টিকিট বুক করা যাবে।

এছাড়াও, ১ জুলাই, ২০২৫ থেকে আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ থেকে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও আসবে নিয়মের বদল। রেলের মতে, এখন কেবল অনুমোদিত ব্যবহারকারীরাই অনলাইনে তৎকাল টিকিট বুক করতে পারবেন।

জুলাই থেকে শুরু হবে OTP যাচাইকরণ:
এছাড়াও, ২০২৫ সালের জুলাই মাসের শেষ থেকে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য ওয়ান টাইম পিন (OTP) ভিত্তিক কনফার্মেশন করা হবে।

এই অনলাইন প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়ায়, ব্যবহারকারীরা তাদের DigiLocker অ্যাকাউন্টের সাহায্য নিতে পারবেন। DigiLocker বা অন্য কোনও সরকারি আইডিতে সংরক্ষিত আধার কার্ডের ডেটা যাচাইকরণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে রেল ইতিমধ্যেই বৈধ নথি বা নথিপত্রের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যা যাচাইকরণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।