গাড়িতে 'সকালে' পেট্রোল ভরলে কি বেশি 'মাইলেজ' দেয়...? 'সত্যি' শুনলেই চমকে যাবেন!

Last Updated:
Petrol Mileage: কখনও কখনও সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও আপনার গাড়ি বা বাইক কম মাইলেজ দেয়। নিয়মিত সার্ভিসিং, টায়ারে নিখুঁত বাতাসের চাপ, সঠিক জায়গা থেকে জ্বালানি ভরা, গাড়িটি মোটের উপর মাঝারি গতিতে চালানো এবং অন্যান্য সব বিষয়ের যত্ন নেওয়ার পরেও গাড়িটি ততটা মাইলেজ দিতে পারে না।
1/14
কখনও কখনও সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও আপনার গাড়ি বা বাইক কম মাইলেজ দেয়। নিয়মিত সার্ভিসিং, টায়ারে নিখুঁত বাতাসের চাপ, সঠিক জায়গা থেকে জ্বালানি ভরা, গাড়িটি মোটের উপর মাঝারি গতিতে চালানো এবং অন্যান্য সব বিষয়ের যত্ন নেওয়ার পরেও গাড়িটি ততটা মাইলেজ দিতে পারে না।
কখনও কখনও সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও আপনার গাড়ি বা বাইক কম মাইলেজ দেয়। নিয়মিত সার্ভিসিং, টায়ারে নিখুঁত বাতাসের চাপ, সঠিক জায়গা থেকে জ্বালানি ভরা, গাড়িটি মোটের উপর মাঝারি গতিতে চালানো এবং অন্যান্য সব বিষয়ের যত্ন নেওয়ার পরেও গাড়িটি ততটা মাইলেজ দিতে পারে না।
advertisement
2/14
এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই নানাবিধ পরামর্শ দিতে শুরু করেন। যেমন কেউ কেউ বলেন ব্রেক লাগানোর পরিবর্তে এক্সিলারেটর ছেড়ে দিয়ে বাইক চালান, বা পেট্রোলের সঙ্গে অ্যাডিটিভ মেশানোর পরিবর্তে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গাড়িটি গিয়ারে রাখার চেষ্টা করুন ইত্যাদি।
এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই নানাবিধ পরামর্শ দিতে শুরু করেন। যেমন কেউ কেউ বলেন ব্রেক লাগানোর পরিবর্তে এক্সিলারেটর ছেড়ে দিয়ে বাইক চালান, বা পেট্রোলের সঙ্গে অ্যাডিটিভ মেশানোর পরিবর্তে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গাড়িটি গিয়ারে রাখার চেষ্টা করুন ইত্যাদি।
advertisement
3/14
এর সঙ্গে আরও একটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে পেট্রোল ভরার সঠিক সময় কোনটি হওয়া উচিত। এই বিষয়টি আবার আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে।
এর সঙ্গে আরও একটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে পেট্রোল ভরার সঠিক সময় কোনটি হওয়া উচিত। এই বিষয়টি আবার আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে।
advertisement
4/14
আসলে আজকাল একটা কথা ছড়াচ্ছে যে সকালে বা রাতে পেট্রোল বা ডিজেল ভরলে গাড়ির জন্য তা বেশি লাভজনক হবে এবং গাড়ির মাইলেজও ভাল দেবে।
আসলে আজকাল একটা কথা ছড়াচ্ছে যে সকালে বা রাতে পেট্রোল বা ডিজেল ভরলে গাড়ির জন্য তা বেশি লাভজনক হবে এবং গাড়ির মাইলেজও ভাল দেবে।
advertisement
5/14
উপরোক্ত ধারণার পিছনে যুক্তি হল, এই সময়ে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে, জ্বালানির ঘনত্ব ভাল থাকে এবং আপনি বেশি পরিমাণে পেট্রোল বা ডিজেল পান। দিনের বেলায় বেশি তাপের কারণে জ্বালানির ঘনত্ব কমে যায় এবং পেট্রোল সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায় না।
উপরোক্ত ধারণার পিছনে যুক্তি হল, এই সময়ে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে, জ্বালানির ঘনত্ব ভাল থাকে এবং আপনি বেশি পরিমাণে পেট্রোল বা ডিজেল পান। দিনের বেলায় বেশি তাপের কারণে জ্বালানির ঘনত্ব কমে যায় এবং পেট্রোল সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায় না।
advertisement
6/14
এই কারণে, আজকাল সকালে এবং সন্ধ্যায় বা রাতে পেট্রোল পাম্পগুলিতে বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আদৌ কি এই সত্যিই এটি সঠিক ধারণা? নাকি সম্পূর্ণ ভুল?
এই কারণে, আজকাল সকালে এবং সন্ধ্যায় বা রাতে পেট্রোল পাম্পগুলিতে বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আদৌ কি এই সত্যিই এটি সঠিক ধারণা? নাকি সম্পূর্ণ ভুল?
advertisement
7/14
বস্তুত বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যখনই আপনি আপনার গাড়িতে পেট্রোল ভরবেন, তখনই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ঘনত্বের সমান পরিমাণ পাবেন।
বস্তুত বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যখনই আপনি আপনার গাড়িতে পেট্রোল ভরবেন, তখনই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ঘনত্বের সমান পরিমাণ পাবেন।
advertisement
8/14
যদি ঘনত্বের মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকে তবে দিন বা রাতের সঙ্গে কিন্তু এর কোনও সম্পর্ক নেই। যদি ঘনত্ব আপনার কাছে সঠিক না মনে হয় তবে ধরে নিন যে পাম্প থেকে আপনাকে প্রতারিত করা হচ্ছে।
যদি ঘনত্বের মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকে তবে দিন বা রাতের সঙ্গে কিন্তু এর কোনও সম্পর্ক নেই। যদি ঘনত্ব আপনার কাছে সঠিক না মনে হয় তবে ধরে নিন যে পাম্প থেকে আপনাকে প্রতারিত করা হচ্ছে।
advertisement
9/14
পেট্রোল এবং ডিজেলের ঘনত্ব কত?সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পেট্রোলের ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৭৩০ থেকে ৮০০ কিলোগ্রাম এবং ডিজেলের ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৮৩০ থেকে ৯০০ কিলোগ্রাম। এই ঘনত্বের পেট্রোল এবং ডিজেল সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত হয় এবং তাপমাত্রার দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
পেট্রোল এবং ডিজেলের ঘনত্ব কত?
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পেট্রোলের ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৭৩০ থেকে ৮০০ কিলোগ্রাম এবং ডিজেলের ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৮৩০ থেকে ৯০০ কিলোগ্রাম। এই ঘনত্বের পেট্রোল এবং ডিজেল সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত হয় এবং তাপমাত্রার দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
advertisement
10/14
গাড়িতে পেট্রোল এবং ডিজেল ভর্তি করার সময়, আপনি পাম্প মেশিনে এই ঘনত্বটিও পরীক্ষা করতে পারেন।
গাড়িতে পেট্রোল এবং ডিজেল ভর্তি করার সময়, আপনি পাম্প মেশিনে এই ঘনত্বটিও পরীক্ষা করতে পারেন।
advertisement
11/14
এই বিষয়ে ভরতপুরের একটি পেট্রোল পাম্পের অপারেটর ভরত মীনা বলেন, সকালে পেট্রোলের ঘনত্ব ভাল থাকে এই ধারণার কোনও সত্যতা নেই। কোম্পানি কর্তৃক সরবরাহিত পেট্রোল এবং ডিজেলের ঘনত্বে কোনও হ্রাস করা যাবে না। তিনি বলেন, তাপমাত্রার মোটেও এর উপর কোন প্রভাব নেই। ঘনত্ব একই থাকে।
এই বিষয়ে ভরতপুরের একটি পেট্রোল পাম্পের অপারেটর ভরত মীনা বলেন, সকালে পেট্রোলের ঘনত্ব ভাল থাকে এই ধারণার কোনও সত্যতা নেই। কোম্পানি কর্তৃক সরবরাহিত পেট্রোল এবং ডিজেলের ঘনত্বে কোনও হ্রাস করা যাবে না। তিনি বলেন, তাপমাত্রার মোটেও এর উপর কোন প্রভাব নেই। ঘনত্ব একই থাকে।
advertisement
12/14
যদি একবারের জন্য এই তত্ত্ব বিশ্বাস করে নেওয়া হয় যে তাপমাত্রার প্রভাব পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর পড়ে, কিন্তু সেক্ষত্রে প্রশ্ন হল সেটা কীভাবে? কারণ পেট্রোল পাম্পগুলিতে থাকা পেট্রোল এবং ডিজেলের ট্যাঙ্কগুলি মাটির নীচে থাকে এবং তাদের তাপমাত্রা এমনিতেই খুব কম। এমন পরিস্থিতিতে, দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা রাতের ঠান্ডা ঘনত্বের উপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না।
যদি একবারের জন্য এই তত্ত্ব বিশ্বাস করে নেওয়া হয় যে তাপমাত্রার প্রভাব পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর পড়ে, কিন্তু সেক্ষত্রে প্রশ্ন হল সেটা কীভাবে? কারণ পেট্রোল পাম্পগুলিতে থাকা পেট্রোল এবং ডিজেলের ট্যাঙ্কগুলি মাটির নীচে থাকে এবং তাদের তাপমাত্রা এমনিতেই খুব কম। এমন পরিস্থিতিতে, দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা রাতের ঠান্ডা ঘনত্বের উপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না।
advertisement
13/14
ভর্তির সময় অপচয়:এখন অপচয়ের কথা বলতে গেলে, এটা সম্পূর্ণ সত্য যে পেট্রোল বা ডিজেল ভর্তির সময় অপচয় হয় বর্জ্য বাষ্পের আকারে। পেট্রোল এবং ডিজেল বাতাসের সংস্পর্শে এলে বাষ্পে পরিণত হয়। কিন্তু এটি এত কম পরিমাণে ঘটে যে এটি মাইলেজের উপর কোনও তেমন প্রভাব ফেলে না, এবং এটি আপনার কোন ক্ষতিও করে না। এটা যেন পুকুর থেকে এক ফোঁটা জল তুলে নেওয়ার মতো।
ভর্তির সময় অপচয়:
এখন অপচয়ের কথা বলতে গেলে, এটা সম্পূর্ণ সত্য যে পেট্রোল বা ডিজেল ভর্তির সময় অপচয় হয় বর্জ্য বাষ্পের আকারে। পেট্রোল এবং ডিজেল বাতাসের সংস্পর্শে এলে বাষ্পে পরিণত হয়। কিন্তু এটি এত কম পরিমাণে ঘটে যে এটি মাইলেজের উপর কোনও তেমন প্রভাব ফেলে না, এবং এটি আপনার কোন ক্ষতিও করে না। এটা যেন পুকুর থেকে এক ফোঁটা জল তুলে নেওয়ার মতো।
advertisement
14/14
গুজবের কারণেসবচেয়ে বড় ক্ষতি হল মানুষের সময়ের। এই খবর ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পর, মানুষ সকালে এবং সন্ধ্যায় প্রচুর পরিমাণে পেট্রোল ভরতে পাম্পে যেতে শুরু করেন। যার কারণে অনেক পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয় এবং মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে নিজেরই দামি সময় নষ্ট করে ফেলছেন। অন্যদিকে, দিনের বেলায় পেট্রোল পাম্পগুলিতে খুব একটা ভিড় আর দেখা যাচ্ছে না।
গুজবের কারণে
সবচেয়ে বড় ক্ষতি হল মানুষের সময়ের। এই খবর ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পর, মানুষ সকালে এবং সন্ধ্যায় প্রচুর পরিমাণে পেট্রোল ভরতে পাম্পে যেতে শুরু করেন। যার কারণে অনেক পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয় এবং মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে নিজেরই দামি সময় নষ্ট করে ফেলছেন। অন্যদিকে, দিনের বেলায় পেট্রোল পাম্পগুলিতে খুব একটা ভিড় আর দেখা যাচ্ছে না।
advertisement
advertisement
advertisement