আমাদের দেশে ছয়টি ঋতুর উল্লেখ আদতে খাতায়-কলমেই, শরৎ আর হেমন্তকে হালে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জোর লৎাইতে নামতে হচ্ছে। হয় তাদের ভাগ খেয়ে নেয় ঘোর গরম, নয় তো প্যাচপেচে বৃষ্টি। বসন্তেরও প্রায় এক দশা, বৈশাখ আসার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় গরমের দাপট। ফলে ওই গ্রীষ্মপ্রধান বলে যে তকমাটা দেশের গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছে, সেটাই সগৌরবে জ্বলজ্বল করে।
তবে গরম মানেই কিন্তু হাঁফিয়ে মরা নয়। সারা দিন তাপ আর ঘামাচির জ্বালায় বিরক্তিও নয়। বরং, নিজের এবং লোকের স্বার্থ দুই কাজে লাগিয়ে পয়সা রোজগার করাও, তাও সেটা বেশ ভাল মানের। সহজ উদাহরণ হিসেবে হাতের কাছে আইসক্রিমের ব্যবসা, সরবতের ব্যবসা এসব ঠান্ডা খাবারের কথা তো তোলাই যায়। কিন্তু এগুলো ঠান্ডা করে স্রেফ শরীর, এর পর তো সেই তাপে জ্বলা ঘরেই আটকে থাকা- অনেকেই বলবেন একথা!
খসের পর্দা
পুরনো দিনের বাড়িতে বা পিরিয়ড ড্রামায় এই পর্দা আমরা অনেকেই দেখেছি। ঘর ঠান্ডা রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। জানলায় লাগিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে। মাঝে মাঝে শুধু একটু জল ছিটিয়ে দিতে হবে। বাইরে থেকে তাপ এলে ভেজা খসের পর্দা বাষ্প ছেড়ে ঘর করে তুলবে সুশীতল। সঙ্গে বাড়তি পাওনা এর প্রাকৃতিক সুগন্ধ। এই ব্যবসার জন্য ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। চাইলে থানের মতো কেটে বিক্রি করা যায় বা রেডিমেড পর্দা বানিয়েও বিক্রি করা যায়। প্রাথমিক ভাবে অনলাইনে ব্যবসা শুরু হোক। অর্ডার পড়লে ডিলারদের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেওয়া যাবে গ্রাহকের কাছে। ব্যবসা জমে উঠলে একটা সুন্দর শো-রুমও দেওয়া যায়।
মাদুর
এক সময়ে থাকত ঘরে ঘরে। বিছানার ওপরে মেতে রাখতেন মায়েরা। সেটা কিন্তু স্রেফ চাদরটা সাফ রাখার জন্য নয়। মাদুর প্রকৃতিগত ভাবেই শীতল উপাদান, তাই তো আরেক নাম এর শীতলপাটি। ফলে, বিছানা ঠান্ডা রাখতে আবার ফিরিয়ে আনা যায় মাদুরের ব্যবহার। সরাসরি নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দিয়ে সাধারণ আর নকশাদার- দুই রকমেরই মাদুর তৈরি করানো যায়। বানানো যায় মাদুরের গালচে যা মেঝে ঠান্ডা রাখবে। অনলাইনে দোকান দিয়ে শুরু করলে ঠকতে হবে না, এক সময়ে গিয়ে লাভের অঙ্ক দেখে শীত এলেই বরং বিরক্ত লাগবে!