Massive Drop In Gold Price: সেকী! ৭৫ হাজার টাকায় নেমে আসতে পারে সোনার দর! এটা কি তবে মধ্যবিত্তের জন্য আশার আলো?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Massive Drop in Gold Price : বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী সোনার দাম নেমে যেতে পারে ₹৭৫,০০০ প্রতি ১০ গ্রামে। এই দাম পতন কি মধ্যবিত্তদের জন্য আশার আলো হতে পারে?
পশ্চিম এশিয়ায় এই মুহূর্তে বিরাজ করছে এক ভয়াবহ উত্তেজনার আবহ। যার জেরে গোটা বিশ্ব জুড়ে আর্থিক পরিস্থিতিও বেশ টালমাটাল। সোনার দর নিয়েও রয়েছে হইচই। আর এই আর্থিক পরিস্থিতি টালমাটাল হওয়ার দরুন জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছিল সোনার দাম। কিন্তু তারপর থেকে আবার ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামতে শুরু করেছে হলুদ ধাতুর মূল্য।
advertisement
এদিকে মার্কিন বহুলপ্রচলিত দৈনিক পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর তরফে বলা হচ্ছে যে, এই মুহূর্তে যে সঙ্কটের পরিস্থিতি চলছে, শীঘ্রই তার সমাধান হতে পারে। আর সঙ্কট কেটে গেলে কিন্তু হু-হু করে নীচের দিকে নামতে পারে সোনার দাম। এদিকে সিটি ব্যাঙ্কের তরফে আবার বলা হয়েছে যে, পরের ত্রৈমাসিকে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনার দাম হ্রাস পেয়ে তা পৌঁছে যেতে পারে ৯১ হাজার ৭৫৫ টাকায়।
advertisement
সিটি ব্যাঙ্কের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সোনার দাম তার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এর দর অনেকটাই হ্রাস পেয়ে যেতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে যে, ২০২৬ সালে অর্থাৎ পরের বছরে হলুদ ধাতুর দাম আরও কমে যেতে পারে। ম্যাক্স লেটন এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, ২০২৬ সালের শেষের দিকে সোনার দর ৭৬৪৬২ টাকা থেকে ৮২৫৬৬ টাকার মধ্যে নেমে আসতে পারে।
advertisement
কিন্তু কীভাবে এতটা কমতে পারে সোনার দাম? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সোনায় বিনিয়োগের চাহিদা কমে যাওয়াই এর অন্যতম কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা রয়েছে। ফলে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সোনা বিক্রি করে অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারে এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদ কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। আর এগুলিই সোনার দাম কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
advertisement
বিগত ২-৩ বছরের মধ্যে হু হু করে বেড়েছিল সোনার মূল্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক নীতি, পশ্চিম এশিয়ায় ইরান-ইজরায়েল সংঘাত - এই সমস্ত কারণে এই সময় বেড়ে গিয়েছিল সোনার মূল্য। আর এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সোনা কিনতে শুরু করেছিল। যা এই মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।