Mahogany Tree Cultivation: গাছ তো নয়, সোনার খনি! বিশেষ এই গাছের চাষেই ১২ বছরে মিলতে পারে 'প্রচুর' টাকা, সোনার মুখ দেখবেন কৃষকরা...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Mahogany Tree Cultivation: এই গাছের কাঠ, বীজ, পাতা ও ফুল বিক্রি করে কৃষকরা বিশাল মুনাফা করতে পারেন। ১২ বছরে একটি গাছ থেকে লাখ টাকার আয় সম্ভব। সমন্বিত কৃষির মাধ্যমে শত শত গাছ রোপণ করলে কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব। বিস্তারিত পড়ুন...
advertisement
মেহগনি গাছ অত্যন্ত মূল্যবান। এর প্রতিটি অংশ—কাঠ, বীজ, পাতা ও ফুল—বাজারে বিক্রির মাধ্যমে ভালো লাভ আনা যায়। এর কাঠ ব্যবহার হয় বাদ্যযন্ত্র, প্রতিমা, নৌকা ও শৌখিন সাজসজ্জার জিনিসপত্র তৈরিতে। মেহগনির বীজ ও পাতাও টনিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রতিবেদনের মতে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগের চিকিৎসায় মেহগনি পাতার ব্যবহার হয়। কৃষিক্ষেত্রেও মেহগনি পাতার নির্যাস দিয়ে কিছু কীটনাশক তৈরি করা হয়। আবার সাবান, রং এবং বার্নিশ শিল্পেও মেহগনির পাতা থেকে তৈরি তেল ব্যবহৃত হয়।
advertisement
advertisement
মেহগনির কাঠ বাদামি থেকে লালচে রঙের হয়। প্রায় ১২ বছরে এই গাছ পূর্ণাঙ্গ রূপে বেড়ে ওঠে। বাজারে মেহগনির কাঠ প্রতি ঘনফুট ১,৩০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়। কাঠের রঙ ও গুণমান অনুযায়ী দাম নির্ধারিত হয়। লালচে কাঠ বেশি দামে বিক্রি হয়, আর বাদামি কাঠের দাম তুলনামূলক কম। একটি মেহগনি গাছ প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ১২ বছরে ঘনবদ্ধভাবে বেড়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি গাছ থেকে প্রায় ৪০ ঘনফুট কাঠ পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি ঘনফুট কাঠ ১,৫০০ টাকায় বিক্রি হলে একটি মেহগনি গাছের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৬০,০০০ টাকা।
advertisement
advertisement
এভাবে একটি মেহগনি গাছ থেকে ১২ বছরে প্রায় ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। একজন কৃষক ৫০০টি মেহগনি গাছ রোপণ করতে পারেন, এবং ১২ বছর পরে এই গাছগুলো বিক্রি করে তিনি প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। এই সময়ে কৃষকরা ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং বা সমন্বিত কৃষির মাধ্যমে জমিতে একাধিক ফসল একসঙ্গে চাষ করে আলাদা আয়ও করতে পারেন।
advertisement
advertisement