প্রথমবার সোনায় বিনিয়োগ? সতর্ক না থাকলেই টাকা যাবে জলে! জানুন কী করণীয়!

সবাই বলে থাকেন, সোনায় বিনিয়োগ না কি লাভজনক!

কথাটা নেহাত মিথ্যাও নয়। যুগের পর যুগ ধরে মস্তিষ্কে সঞ্চিত হতে থাকা মানসিকতাই হোক বা এর মতো বহুমুখী মূল্যবান ধাতু খুঁজে পেতে ব্যর্থতাই হোক, সোনা তার জায়গা কখনওই হারায়নি। সেই জন্য এখনও সোনাতেই বিনিয়োগ সবার প্রথম পছন্দ।

এখন কেউ যদি বিনিয়োগের বাজারে পদক্ষেপ করতে চান এবং এই ব্যাপারে সোনাই তাঁর প্রথম পছন্দ হয়, তাহলে কয়েকটি বিষয় ভেবে দেখার আছে। টাকাপয়সার ব্যাপার তো, একটু ভুলচুক হলেই সর্বনাশ হয়ে যায়।

কথা হল, সোনায় বিনিয়োগেও ভুলের আশঙ্কা থেকে যায়? এ তো সহজ হিসেব, কেনো, জমিয়ে রাখো, দাম বাড়লে বিক্রি করে মুনাফা ঘরে তোলো। এর মধ্যে আবার ভুলচুকের জায়গা আসছে কোথা থেকে?

এই হিসেব বোঝার জন্য সোনায় কীভাবে হালে বিনিয়োগ করা যায়, তা বুঝতে হবে। আছে সোনার গয়না, সোনার বার। এগুলো পড়ে ফিজিক্যাল গোল্ড কেনার আওতায়। রয়েছে গোল্ড ব্যাকড কারেন্সি ইনভেস্টমেন্ট। আছে গোল্ড ইটিএফ, গোল্ড মাইনিং স্টক, গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড, গোল্ড বন্ড, ডিজিটাল গোল্ডের মতো বিকল্পও।

সোনার গয়নার শুদ্ধতা নিয়ে সব সময়েই একটা সন্দেহের জায়গা থেকে যায়, অতএব এই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার দরকার আছে। সোনার বারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

সেদিক থেকে দেখলে ডিজিটাল গোল্ড অপেক্ষাকৃত সহজ এবং নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম। সরকারি গোল্ড বন্ডও খারাপ কিছু নয়। কিন্তু যখনই প্রসঙ্গ আসে গোল্ড স্টকে বিনিয়োগের, অনেক কিছু ভেবে দেখার আছে।

সোনার দাম আসলে নানা বিষয়ের ওপরে নির্ভর করে। সচরাচর তা পড়তির দিকে যায় না। কিন্তু এমন অবস্থা যদি হয়, ফিজিক্যাল সোনার চেয়েও স্টকের দাম বেশি ধাক্কা খাবে। এই লোকসানের হাত ধরে সংস্থার সামগ্রিক স্টকের অবস্থাই হয়ে যাবে নড়বড়ে। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর টাকা জলে যাবে।

অতএব, যাই করা হোক না কেন, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপই কাম্য!