Cockroaches: বাড়িতে আরশোলা থাকলে সুখবর ! আপনি কি জানেন ১ কেজি আরশোলার দাম কত? ভাবতেও পারবেন না অঙ্কটা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Cockroaches: অনেকেই জানেন না যে, এই ছোট আরশোলাগুলোই কোটি কোটি টাকার বিশ্বব্যাপী ব্যবসা দেয়। হ্যাঁ, এই প্রাণীগুলো এখন বিশ্ববাজারে সোনার মতো মূল্যবান হয়ে উঠেছে।
advertisement
আরশোলা এত দামি কেন: আরশোলা পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাণীদের মধ্যে একটি। বিজ্ঞানীদের মতে, তারা ৫০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে বাস করছে। যে কোনও পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য তাদের আশ্চর্যজনক অভিযোজন ক্ষমতা রয়েছে। ভারতে পোকামাকড় হিসেবে বিবেচনা করলেও বিশ্বের অনেক দেশেই এগুলো প্রোটিন খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি, আরশোলা থেকে তৈরি খাদ্য, ওষুধ এবং প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। (Representative Image)
advertisement
তাই এই পোকা এখন একটি বিশাল শিল্পে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে চিন এবং আফ্রিকার কিছু দেশ এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে। চিনে আরশোলা পালনের জন্য বিশেষভাবে খামার রয়েছে। আফ্রিকায় মানুষ আরশোলা সরাসরি খাদ্য হিসেবে খায়। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে, আরশোলা পালন আফ্রিকা মহাদেশে ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং পরিবেশগত সঙ্কটের মতো সমস্যার সমাধান হতে পারে। কারণ তাদের লালন-পালনের জন্য বড় জায়গা, জল বা ব্যয়বহুল খাবারের প্রয়োজন হয় না। (Representative Image)
advertisement
আরশোলা প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো অনেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। একটি আরশোলায় প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। এই কারণে আফ্রিকার অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের জন্য আরশোলা প্রধান খাদ্য উৎস হয়ে উঠছে। বর্তমানে, সেখানকার প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ আরশোলা খাদ্য হিসেবে খায়। এটি কেবল মানুষের জন্যই নয়, প্রাণীদের জন্যও খুবই উপকারী। শূকর, ছাগল, মাছ এবং মুরগির মতো প্রাণীদের মোট প্রোটিনের চাহিদার ১৪ শতাংশ আরশোলা সরবরাহ করে। অতএব, পশুখাদ্য উৎপাদন শিল্পেও তাদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। (Representative Image)
advertisement
বর্তমানে, বিশ্বে ২,১০০টিরও বেশি প্রজাতির পোকামাকড় ভোজ্য হিসেবে স্বীকৃত। তানজানিয়ার ড্যানিয়েল রোহুরা নামে এক যুবক আরশোলা চাষকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন। তিনি এক কেজি আরশোলা ৫ ইউরোতে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা) বিক্রি করেন। আরশোলা থেকে বের হওয়া তেলও ব্যবসা দেয়। চিনের পরিস্থিতি আরও আকর্ষণীয়। সেখানে আরশোলা কেবল খাদ্য হিসেবেই নয়, ওষুধ, প্রসাধনী এবং পশুখাদ্য তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। আরশোলার নির্যাস ত্বকের ওষুধ, প্রদাহ-বিরোধী ক্রিম এবং বার্ধক্য রোধকারী পণ্যে ব্যবহৃত হয়। (Representative AI Image)
advertisement
বিশ্বের বৃহত্তম আরশোলা উৎপাদন কেন্দ্রটি চিনের জিচাং-এ অবস্থিত। গুড ডক্টর নামে একটি কোম্পানি আধুনিক AI-নিয়ন্ত্রিত খামার পরিচালনা করে। ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, এই খামার প্রতি বছর ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি) আরশোলা উৎপাদন করে! আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষ ও প্রাণীর খাদ্য হিসেবে আরশোলার বৈশ্বিক বাজার ৮ বিলিয়ন ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬,০০০ কোটি টাকা) পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )
