Income Tax New Rules: নতুন আয়কর নিয়ম ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে; ই-মেল এবং ইনস্টাগ্রাম চেক করা হবে

১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে কর বিধিতে একটি বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। কর ফাঁকি রোধে সরকার ডিজিটাল প্রয়োগ বৃদ্ধি করছে। নতুন বিধানের অধীনে, আয়কর বিভাগকে প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ই-মেল, ক্লাউড স্টোরেজ এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট: যারা তাদের আয় গোপন করে কর ফাঁকি দেয় তাদের ধরা।

নতুন আইনটি ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে। আয়কর বিভাগ একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছে যে ১৯৬১ সালের আয়কর আইনকে প্রতিস্থাপন করে প্রবর্তিত এই ঐতিহাসিক সংস্কার একটি সহজ, স্বচ্ছ এবং সরাসরি আয়কর ব্যবস্থার সূচনা করে।

সহজ ভাষায়, যদি কোনও ব্যক্তির জীবনধারা, ব্যয় বা অনলাইন কার্যকলাপ তার ঘোষিত আয়ের সঙ্গে না মেলে, তাহলে বিভাগ তদন্ত শুরু করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ব্যয়বহুল গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ, বা বিলাসবহুল কেনাকাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান হয়, কিন্তু আয়কর রিটার্নে কম আয়ের কথা জানানো হয়- এই ধরনের পরিস্থিতি প্রশ্ন তুলতে পারে। কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে কি না তা নির্ধারণের জন্য বিভাগটি ই-মেল এবং ডিজিটাল রেকর্ড পরীক্ষা করবে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত বার্তা বা ই-মেল নোটিস ছাড়াই পড়া হবে।

নিয়ম অনুযায়ী, যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আইনি অনুমোদনের পরেই তদন্ত পরিচালিত হবে। এর অর্থ হল কারও গোপনীয়তা অপ্রয়োজনীয়ভাবে লঙ্ঘন করা হবে না। সরকার বলেছে যে সৎ করদাতাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ডিজিটাল যুগের বাস্তবতা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজকাল আয়, বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক চুক্তি এবং লেনদেনের একটি বড় অংশ অনলাইনে হয়। ফলস্বরূপ, কর ফাঁকির পদ্ধতিগুলিও ডিজিটাল হয়ে উঠেছে। নতুন ক্ষমতা বিভাগের পক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করা এবং শেল কোম্পানি, বেনামি লেনদেন এবং লুকানো আয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ করে তুলবে।

সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাদের আয় এবং ব্যয়ের সঠিক বিবরণ বজায় রাখা, সততার সঙ্গে কর রিটার্ন দাখিল করা এবং তাদের ডিজিটাল রেকর্ড পরিষ্কার রাখা। যদি তারা নিয়ম মেনে চলে, তাহলে তাদের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে কর বিধিতে কী কী বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে, সরকার কর ফাঁকি রোধে ডিজিটাল প্রয়োগ বৃদ্ধি করতে চলেছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, প্রয়োজনে আয়কর বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ই-মেল, ক্লাউড স্টোরেজ এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা পাবে।

সরকারের এত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কেন প্রয়োজন হয়েছিলআজকের যুগে আয়, ব্যয়, বিনিয়োগ এবং ব্যবসার একটি বড় অংশ অনলাইনে স্থানান্তরিত হয়েছে। কর ফাঁকির পদ্ধতিগুলিও ডিজিটাল হয়ে উঠেছে। সরকার দৃঢ় প্রমাণের মাধ্যমে আয় গোপন করে কর ফাঁকি দেওয়া ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হতে চায়।

সকলের সোশ্যাল মিডিয়া এবং ই-মেল কি সব সময়েই পরীক্ষা করা হবেনা। এটিই সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা। নিয়মগুলিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে কারণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে না। কোনও ব্যক্তির জীবনধারা, ব্যয় বা অনলাইন কার্যকলাপ তার ঘোষিত আয়ের সঙ্গে না মিললেই কেবল তদন্ত শুরু হবে।

জীবনধারা এবং আয়ের অমিল বলতে কী বোঝায়ধরা যাক কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় দামি গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ, বিলাসবহুল কেনাকাটা, অথবা বিলাসবহুল হোটেলের প্রচার করে, কিন্তু তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখযোগ্যভাবে কম আয়ের কথা ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতিতে কর বিভাগ সন্দেহের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করতে পারে।

তদন্তের সময় বিভাগ কী কী বিষয় দেখতে পারেপ্রয়োজনে বিভাগ ই-মেল, ডিজিটাল রেকর্ড, ক্লাউড স্টোরেজ এবং অনলাইন লেনদেন সম্পর্কিত প্রমাণ পর্যালোচনা করতে পারে। লক্ষ্য হল আয় গোপন করে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে কি না তা বোঝা।কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই স্পষ্ট নিয়ম সম্ভাব্য বিরোধ প্রতিরোধ করবে এবং গণনা প্রক্রিয়া যাতে দীর্ঘ ভিত্তিতে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে তা নিশ্চিত করবে।

এটি কি সাধারণ মানুষের গোপনীয়তার সঙ্গে আপোস করবেনা। সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পরেই তদন্ত পরিচালিত হবে। এর অর্থ হল ব্যক্তিগত বার্তা বা ই-মেলগুলি কারণ ছাড়াই পড়া হবে না। সৎ করদাতাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই।

এই নিয়মের দ্বারা কারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেযারা আয় গোপন করে, শেল কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করে, বেনামি লেনদেনে জড়িত হয় এবং উচ্চ ব্যয় এবং কম কর রিপোর্ট করে তাদের উপর এটি প্রভাব ফেলবে। সৎ করদাতাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।এখন সাধারণ মানুষের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত

সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল:- নিজের আয় সঠিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে- ব্যয় এবং বিনিয়োগের রেকর্ড রাখতে হবে- সততার সঙ্গে কর রিটার্ন পূরণ করতে হবে- ডিজিটাল লেনদেনে স্বচ্ছ থাকতে হবে- নিয়ম মেনে চললে কোনও সমস্যা হবে না

সামগ্রিকভাবে, এই নিয়ম কাদের জন্যএই নিয়ম যারা কর ফাঁকি দেয়, তাদের জন্য একটি সতর্কীকরণ, এটি সাধারণ এবং সৎ করদাতাদের জন্য নয়। ডিজিটাল যুগে কর ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দিকে সরকারের এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।