Income Tax-Budget 2025: বাজেটে বড়সড় স্বস্তি দেওয়া হল বেতনভোগী কর্মচারীদের! ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Income Tax Slab Changes in Budget 2025 : মধ্যবিত্তদের দেওয়া উপহার: এখন ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনও কর দিতে হবে না মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে। এখনও পর্যন্ত যা ছিল ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। একবারে এই সীমা আরও ৫ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হল। যাঁরা মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করেন, তাঁদের কোনও রকম ট্যাক্স বা কর দিতে হবে না।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ পেশ করার আগেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, সাধারণ মানুষ এবং মধ্যবিত্তদের জন্যই এই বাজেট। নিজের ঘোষণার মাধ্যমে এটি সত্য বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ইনকাম ট্যাক্স বা আয়করে বড়সড় রিবেট দিয়ে মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া হবে। টিডিএস এবং টিসিএস কমানো হবে। যার ফলে সাধারণ মানুষের হাতে আরও বেশি টাকা থাকবে। বেতনের উপর যে টিডিএস কাটা হয়, তা কমানো হবে।
advertisement
এর আওতায় বর্তমানে ১ লক্ষ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন করা হয়েছে। ভাড়ার উপর ছাড় ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ লক্ষ টাকা করা হবে। বিদেশে যে পরিমাণ টাকা পাঠানো হয়, তার পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যাঁদের প্যান নেই, তাঁদের টিসিএস কাটা হবে এখন থেকে। আপডেটেড রিটার্নের ফেসিলিটিও দেওয়া হবে। যা প্রায় ৯০ লক্ষ করদাতার উপকার করবে।
advertisement
advertisement
মধ্যবিত্তদের দেওয়া উপহার: এখন ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনও কর দিতে হবে না মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে। এখনও পর্যন্ত যা ছিল ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। একবারে এই সীমা আরও ৫ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হল। যাঁরা মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করেন, তাঁদের কোনও রকম ট্যাক্স বা কর দিতে হবে না। এক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকার ট্যাক্স ডিডাকশন দিতে হবে।
advertisement
গত বছর এই পরিবর্তনগুলি আনা হয়েছিল:
নতুন ব্যবস্থায় স্ল্যাবের পরিবর্তন:
গত বছর নতুন কর ব্যবস্থায় স্ল্যাবের পরিবর্তন এনেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এর আওতায় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এরপর ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা আয়ের উপর ৫ন শতাংশ কর বসানো হয়েছিল। সেখানে ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ ট্যাক্স ধার্য হয়েছিল। আর ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ এবং ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয়ে ২০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছিল। আর ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে আয়কর চাপানো হয়েছিল।
নতুন ব্যবস্থায় স্ল্যাবের পরিবর্তন:
গত বছর নতুন কর ব্যবস্থায় স্ল্যাবের পরিবর্তন এনেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এর আওতায় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এরপর ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা আয়ের উপর ৫ন শতাংশ কর বসানো হয়েছিল। সেখানে ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ ট্যাক্স ধার্য হয়েছিল। আর ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ এবং ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয়ে ২০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছিল। আর ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে আয়কর চাপানো হয়েছিল।
advertisement
advertisement
ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সে পরিবর্তন: স্টক মার্কেট এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত রিটার্নের উপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সেও বদল এনেছেন অর্থমন্ত্রী। ১২ মাসের আগে শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রির উপর স্বল্পমেয়াদি ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ১৫% থেকে বাড়িয়ে ২০% করা হয়েছে, সেখানে ১২ মাস পরে ইউনিট বিক্রির উপর দীর্ঘমেয়াদি ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ১০% থেকে বাড়িয়ে ১২.৫% করা হয়েছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদি ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স (এলটিসিজি ট্যাক্স) ছাড়ের সীমা ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১.২৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। সম্পত্তির উপর এলটিসিজি কর ২০% থেকে কমিয়ে ১২.৫% করা হয়েছে। তবে এর উপর সূচকের সুবিধা বিলুপ্ত করা হয়েছে।
advertisement
এনপিএস-এর উপর আরও বেনিফিট: গত বছরের বাজেটে এনপিএস-এর উপর বেনিফিট বৃদ্ধি করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। ২০২৪ সালের বাজেটে এনপিএস-এর উপর ডিডাকশন ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগে বেসরকারি খাতে নিয়োগকর্তার বিনিয়োগের উপর মাত্র ১০ শতাংশ অবদানের উপর ছাড় পাওয়া যেত, এখন তা বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। এর অর্থ হল যে, নিয়োগকর্তার অবদানের ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্সের আওতার বাইরে থাকবে।
advertisement
ইএসওপি-র উপর ছাড়: বাজেট ২০২৪-এর ইএসওপি-তে বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীদের প্রদত্ত ছাড় দ্বিগুণ করা হয়েছিল। আসলে বহুজাতিক সংস্থার কর্মীরা কখনও কখনও বিদেশে পোস্টিং পান এবং তাঁদের ইএসওপি-র আওকায় শেয়ার দেয় সংস্থা। আগে নিয়ম ছিল, ১০ লক্ষ টাকার বেশি সম্পদ পাওয়া গেলে তা প্রকাশ করতে হবে। এটা না করা হলে সরকার ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করত। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। যার অর্থ হল, ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সম্পদ প্রকাশ না করার জন্য কোনও জরিমানা আরোপ করা হবে না।