৮ লাখ টাকার গাড়ির লোন নেবেন ভাবছেন ? জানেন প্রতি মাসে কত টাকা EMI দিতে হবে?

Last Updated:
লোন নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে আপনার ইএমআই যেন আপনার আয়ের ১০ শতাংশের বেশি না হয় ৷
1/6
গাড়ির কেনার কথা ভাবছেন ? পুরো টাকা পেমেন্ট করে গাড়ি এখন প্রায় কেউই কেনেন না ৷ এখন বেশিরভাগ মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে গাড়ির লোন নিয়ে গাড়ি কিনে থাকেন ৷ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক একাধিক আকর্ষীয় অফারও দিয়ে থাকে ৷ আপনিও যদি গাড়ির লোন নিতে চান তাহলে অবশ্যই মাথায় রাখুন  ২০/১০/৫ ফর্মুলা ৷
গাড়ির কেনার কথা ভাবছেন ? পুরো টাকা পেমেন্ট করে গাড়ি এখন প্রায় কেউই কেনেন না ৷ এখন বেশিরভাগ মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে গাড়ির লোন নিয়ে গাড়ি কিনে থাকেন ৷ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক একাধিক আকর্ষীয় অফারও দিয়ে থাকে ৷ আপনিও যদি গাড়ির লোন নিতে চান তাহলে অবশ্যই মাথায় রাখুন ২০/১০/৫ ফর্মুলা ৷
advertisement
2/6
অনেক ব্যাঙ্কই ১০০ শতাংশ লোন দিয়ে থাকে গাড়ির অন-রোড প্রাইসে ৷ সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রায় কোনও ডাউন পেমেন্টই করতে হয় না ৷ তবে সাধারণত বলা হয় গাড়ির অন-রোড প্রাইসের ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট করে দিলে আপনার উপরে চাপ অনেকটাই কমে যাবে ৷ আপনার ডাউন পেমেন্ট কম থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশি ইন্টারেস্ট চার্জ করা হয়ে থাকে ৷
অনেক ব্যাঙ্কই ১০০ শতাংশ লোন দিয়ে থাকে গাড়ির অন-রোড প্রাইসে ৷ সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রায় কোনও ডাউন পেমেন্টই করতে হয় না ৷ তবে সাধারণত বলা হয় গাড়ির অন-রোড প্রাইসের ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট করে দিলে আপনার উপরে চাপ অনেকটাই কমে যাবে ৷ আপনার ডাউন পেমেন্ট কম থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশি ইন্টারেস্ট চার্জ করা হয়ে থাকে ৷
advertisement
3/6
লোন নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে আপনার ইএমআই যেন আপনার আয়ের ১০ শতাংশের বেশি না হয় ৷ লোন ৪ বছরের বেশি সময়ের জন্য না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ দীর্ঘমেয়াদি লোনের ক্ষেত্রে ইএমআই কম হলেও আপনাকে অনেক বেশি সুদ দিতে হবে ৷
লোন নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে আপনার ইএমআই যেন আপনার আয়ের ১০ শতাংশের বেশি না হয় ৷ লোন ৪ বছরের বেশি সময়ের জন্য না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ দীর্ঘমেয়াদি লোনের ক্ষেত্রে ইএমআই কম হলেও আপনাকে অনেক বেশি সুদ দিতে হবে ৷
advertisement
4/6
ধরে নিন আপনার মাসের আয় ১ লক্ষ টাকা ৷ গাড়ির অন-রোড দাম ৮ লক্ষ টাকা হলে আপনাকে ন্যূনতম ১.৬ লক্ষ টাকা ডাউন পেমেন্ট করতে হবে ৷ হিসেব অনুযায়ী, তাহলে আপনাকে মাসে ১০ হাজার টাকা ইএমআই দিতে হবে ৷ আপনাকে ৬.৪ লক্ষ টাকার লোন নিতে হবে ৪ বছরের জন্য ৷  ফর্মুলা হিসেবে ৮ শতাংশ সুদ হিসেবে লোন নিলে EMI ১৫,৬২৪ টাকা হবে ৷ ২০/১০/৫ ফর্মুলা হিসেবে ৫৬২৪ টাকা বেশি হয়ে যাচ্ছে ৷
ধরে নিন আপনার মাসের আয় ১ লক্ষ টাকা ৷ গাড়ির অন-রোড দাম ৮ লক্ষ টাকা হলে আপনাকে ন্যূনতম ১.৬ লক্ষ টাকা ডাউন পেমেন্ট করতে হবে ৷ হিসেব অনুযায়ী, তাহলে আপনাকে মাসে ১০ হাজার টাকা ইএমআই দিতে হবে ৷ আপনাকে ৬.৪ লক্ষ টাকার লোন নিতে হবে ৪ বছরের জন্য ৷ ফর্মুলা হিসেবে ৮ শতাংশ সুদ হিসেবে লোন নিলে EMI ১৫,৬২৪ টাকা হবে ৷ ২০/১০/৫ ফর্মুলা হিসেবে ৫৬২৪ টাকা বেশি হয়ে যাচ্ছে ৷
advertisement
5/6
১০ লক্ষ টাকার লোন নিলে ডাউন পেমেন্ট করতে হবে ৪ লক্ষ টাকা ৷ বাকি ৬ লক্ষ টাকার জন্য লোন নিতে হবে ৷ ৭ বছরের জন্য ৯ শতাংশ সুদ দিতে হলে আপনার ইএমআই হবে ৯৫০০ টাকা ৷ অর্থাৎ আপনাকে ৮ লক্ষ টাকা দিতে হবে ৷ ২ লক্ষ টাকা সুদ হিসেবে দিতে হবে ৷
১০ লক্ষ টাকার লোন নিলে ডাউন পেমেন্ট করতে হবে ৪ লক্ষ টাকা ৷ বাকি ৬ লক্ষ টাকার জন্য লোন নিতে হবে ৷ ৭ বছরের জন্য ৯ শতাংশ সুদ দিতে হলে আপনার ইএমআই হবে ৯৫০০ টাকা ৷ অর্থাৎ আপনাকে ৮ লক্ষ টাকা দিতে হবে ৷ ২ লক্ষ টাকা সুদ হিসেবে দিতে হবে ৷
advertisement
6/6
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খারাপ, তাঁদের জন্য স্বল্পমেয়াদী ঋণ-ই ভালো। যদিও মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমে যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি হয়। আর গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে সুদের হার সাধারণত বেশি হয় আর দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে তো এমনিতেই সুদের হার বেশি। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটিও একটা বড় ঝুঁকি। ঋণের পরিমাণের থেকে যখন গাড়ির মূল্য কম হয়, তখন সে ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটির বিষয়টি লাগু হয়। ঋণের মেয়াদ চলাকালীন গাড়ি মেরামতির প্রয়োজন হতে পারে। ফলে সে ক্ষেত্রেও খরচ বাড়ে, যা গ্রাহকের জন্য একেবারেই লাভজনক নয়।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খারাপ, তাঁদের জন্য স্বল্পমেয়াদী ঋণ-ই ভালো। যদিও মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমে যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি হয়। আর গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খারাপ হলে সুদের হার সাধারণত বেশি হয় আর দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে তো এমনিতেই সুদের হার বেশি। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটিও একটা বড় ঝুঁকি। ঋণের পরিমাণের থেকে যখন গাড়ির মূল্য কম হয়, তখন সে ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটির বিষয়টি লাগু হয়। ঋণের মেয়াদ চলাকালীন গাড়ি মেরামতির প্রয়োজন হতে পারে। ফলে সে ক্ষেত্রেও খরচ বাড়ে, যা গ্রাহকের জন্য একেবারেই লাভজনক নয়।
advertisement
advertisement
advertisement