ইতিমধ্যেই গঙ্গা বিলাস ক্রুজের উদ্বোধন করে বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ যাত্রাপথের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোনা যাচ্ছে যে, পাঁচতারা নানা সুবিধাযুক্ত বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীর ভাড়া লক্ষাধিক, যা মধ্যবিত্তের নাগালের প্রায় বাইরে। জেনে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন যে, লক্ষাধিক ভাড়া হওয়া সত্ত্বেও আগামী দুই বছরের জন্য এর বুকিং কিন্তু এখন থেকেই হয়ে রয়েছে।
গত ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে শুক্রবার বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে শনিবার উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে পৌঁছেছে এই বিশালাকায় প্রমোদতরীটি। কিন্তু এতে এমন কী রয়েছে, যার জন্য সারা বিশ্বে আলোচনা এবং চর্চা শুরু হয়েছে। আসলে এই প্রমোদতরীটি যে ক্রুজ লাইনে চলে, সেটি মানচিত্রে ভারত ও বাংলাদেশকে সংযুক্ত করেছে। ক্রুজ ডিরেক্টর রাজ সিং জানিয়েছেন যে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এই ক্রুজটি আবার বারাণসী থেকে ডিব্রুগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। পরে আবার ২০২৪ সালে সেখান থেকে পর্যটকদের নিয়ে বারাণসীতে ফিরে আসবে।
কী কী সুবিধে রয়েছে এই প্রমোদতরীতে? ফাইভ স্টার যুক্ত বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে প্রতিটি পর্যটকের জন্য বিশেষ সুবিধার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ১৮টি স্যুইট রুম ছাড়াও এখানে স্পা সেন্টার, রেস্তোরাঁ, জিম, হল রুম-সহ আরও নানা অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া প্রমোদতরীর ছাদে রোদ পোহানোর জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই প্রমোদতরীটি সম্পূর্ণ ভাবে ভারতে প্রস্তুত করা হয়েছে। নিজস্ব নিকাশি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়াও, এটিতে একটি জল পরিশোধনাগারের ব্যবস্থাও রয়েছে। যা জলকে ফিল্টার করে আবার পরিস্রুত করতে পারে। এ ছাড়া এই প্রমোদতরীর ফুয়েল ট্যাঙ্ক ৪০ হাজার লিটারের, যা এক বার পূর্ণ করা হলে ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত জ্বালানি না ভরেও চলতে পারে। এই ক্রুজটিতে এক বারে ৩৬ জন পর্যটক এবং ৪০ জন ক্রু থাকতে পারেন। সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে সেই কারণেই এই প্রমোদতরীটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।