গত ৭২ ঘণ্টায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অন্তত ৪০ জন গ্রাহক এভাবে টাকা খুইয়েছেন। লিঙ্কে ক্লিক করার পরেই অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছে টাকা। এটা হল ‘ফিশিং’, একটি কৌশল যা জালিয়াতরা জাল ই-মেল বা এসএমএসের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বিবরণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট পাসওয়ার্ড, পিন, ওপিটি ইত্যাদির মতো সংবেদনশীল তথ্য বের করতে ব্যবহার করে।
প্রতারকরা কীভাবে টাকা চুরি করে: শ্বেতা নামের এক মহিলার থেকে ৫৭,৬০০ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। শ্বেতা এবং তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট হয়। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক ও খার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। শ্বেতা জানিয়েছেন, লিঙ্কটিতে ক্লিক করার পর দুটি ওটিপি আসে। সেগুলি দেওয়ার পর তিনি প্যান কার্ড নম্বর, নেট ব্যাঙ্কিং আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকতেই সব টাকা গায়েব হয়ে যায়।
ক) ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় তথ্য যেমন কার্ডের বিবরণ (নম্বর, পিন)/ওটিপি/সিভিভি ইত্যাদি কারও সঙ্গে শেয়ার করা চলবে না।
খ) ভুল আছে কি না দেখতে হবে। এই ধরনের লিঙ্ক বা ইউআরএল-এ বানান ভুল থাকেই। এমনটা দেখলেই সাবধান।
গ) এই ধরনের মেসেজে ‘অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হবে’-র মতো গুরুতর পদক্ষেপের ভয় দেখানো হয়। টেক্সটে বিশ্বাস না করে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
ঘ) এই ধরনের এসএমএস এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। মনে সন্দেহ থাকলে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে হবে।