Ranna Puja 2025: ভাদ্র সংক্রান্তিতে রান্নাপুজো, মনসাপুজো! কারা, কেন এই পুজো করেন? কী কী পদ রান্না হয়? জানুন

Last Updated:
Viswakarma Puja 2025: বারো মাসে তেরো পার্বণ, বাঙালির ঘরে এই প্রবাদ আজও সমান সত্য। ভাদ্র মাস শেষ হতে না হতেই আসে আশ্বিন। বর্ষার খামখেয়ালি বৃষ্টি, ভ্যাপসা গরম কাটিয়ে এই সময়ই শুরু হয় সাপেদের আনাগোনা।
1/7
*বারো মাসে তেরো পার্বণ, বাঙালির ঘরে এই প্রবাদ আজও সমান সত্য। ভাদ্র মাস শেষ হতে না হতেই আসে আশ্বিন। বর্ষার খামখেয়ালি বৃষ্টি, ভ্যাপসা গরম কাটিয়ে এই সময়ই শুরু হয় সাপেদের আনাগোনা। গ্রামবাংলার মানুষ তখন ভয় আর ভক্তি নিয়ে স্মরণ করেন মা মনসা দেবীকে।
*বারো মাসে তেরো পার্বণ, বাঙালির ঘরে এই প্রবাদ আজও সমান সত্য। ভাদ্র মাস শেষ হতে না হতেই আসে আশ্বিন। বর্ষার খামখেয়ালি বৃষ্টি, ভ্যাপসা গরম কাটিয়ে এই সময়ই শুরু হয় সাপেদের আনাগোনা। গ্রামবাংলার মানুষ তখন ভয় আর ভক্তি নিয়ে স্মরণ করেন মা মনসা দেবীকে।
advertisement
2/7
*বঙ্গীয় পুরোহিত সভার সভাপতি চন্ডী চরণ হালদার জানিয়েছেন, আজ বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো। বিশ্বকর্মা পুজোর পাশাপাশি আজকের দিনে বাঙালির হেঁসেলে পালিত হয় এক অভিনব উৎসব-অরন্ধন পুজো, বা রান্না পুজো। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই উৎসব অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভাদ্র মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ ভাদ্র সংক্রান্তি ও আশ্বিন মাসের প্রথম দিনেই এই অরন্ধন পুজো হয়।
*বঙ্গীয় পুরোহিত সভার সভাপতি চন্ডী চরণ হালদার জানিয়েছেন, আজ বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো। বিশ্বকর্মা পুজোর পাশাপাশি আজকের দিনে বাঙালির হেঁসেলে পালিত হয় এক অভিনব উৎসব-অরন্ধন পুজো, বা রান্না পুজো। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই উৎসব অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভাদ্র মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ ভাদ্র সংক্রান্তি ও আশ্বিন মাসের প্রথম দিনেই এই অরন্ধন পুজো হয়।
advertisement
3/7
*‘অরন্ধন’ মানে কী? মানে রন্ধন না করা, রান্না না করা। কারণ, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে বাড়িতে রান্না হয় না। তাই তার আগের দিন ঘরে ঘরে হয় বিরাট আয়োজন। অনেক পদ রান্না হয়, আর সেগুলোই পরের দিন খাওয়া হয়। তাই একে বলা হয় রান্না পুজো, বুড়ো রান্না বা ইচ্ছে রান্না। কোথাও কোথাও আবার একে আটাশে রান্না বা ধরাটে রান্নাও বলা হয়।
*‘অরন্ধন’ মানে কী? মানে রন্ধন না করা, রান্না না করা। কারণ, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে বাড়িতে রান্না হয় না। তাই তার আগের দিন ঘরে ঘরে হয় বিরাট আয়োজন। অনেক পদ রান্না হয়, আর সেগুলোই পরের দিন খাওয়া হয়। তাই একে বলা হয় রান্না পুজো, বুড়ো রান্না বা ইচ্ছে রান্না। কোথাও কোথাও আবার একে আটাশে রান্না বা ধরাটে রান্নাও বলা হয়।
advertisement
4/7
*কিন্তু কেন এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন দেবী মনসা? বাংলার লোকবিশ্বাসে উনুনকে মনসা দেবীর প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। প্রতিদিন এই উনুনেই রান্না হয়, সংসার চলে। তাই ভাদ্র সংক্রান্তির দিনে উনুন পরিষ্কার করে সাজিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। গোবর লেপে মাটির উনুন পরিষ্কার করা হয়, তার উপর আলপনা দেওয়া হয়। শালুক পাতা বা মনসা পাতা বসিয়ে ঘট স্থাপন করা হয়। তারপরই শুরু হয় রান্না পুজো।
*কিন্তু কেন এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন দেবী মনসা? বাংলার লোকবিশ্বাসে উনুনকে মনসা দেবীর প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। প্রতিদিন এই উনুনেই রান্না হয়, সংসার চলে। তাই ভাদ্র সংক্রান্তির দিনে উনুন পরিষ্কার করে সাজিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। গোবর লেপে মাটির উনুন পরিষ্কার করা হয়, তার উপর আলপনা দেওয়া হয়। শালুক পাতা বা মনসা পাতা বসিয়ে ঘট স্থাপন করা হয়। তারপরই শুরু হয় রান্না পুজো।
advertisement
5/7
*এদিন রান্না হয় নানা পদ-ডাল, শাক, পান্তা ভাত, চালতার টক, ইলিশ মাছের ঝোল, নারকেল আর কুমড়ো ভাজা, সাত রকমের ভাজাভুজি। আত্মীয়-স্বজনরা একত্রিত হন, আর সেই রান্না আগে নিবেদন করা হয় দেবী মনসাকে। তারপর খাওয়া দাওয়া করেন পরিবারের সদস্যরা।
*এদিন রান্না হয় নানা পদ-ডাল, শাক, পান্তা ভাত, চালতার টক, ইলিশ মাছের ঝোল, নারকেল আর কুমড়ো ভাজা, সাত রকমের ভাজাভুজি। আত্মীয়-স্বজনরা একত্রিত হন, আর সেই রান্না আগে নিবেদন করা হয় দেবী মনসাকে। তারপর খাওয়া দাওয়া করেন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
6/7
*কথিত আছে, ভাদ্র মাসের রান্না আশ্বিন মাসে খাওয়ার রীতি আছে এই দিনেই। আর দেবী মনসাকে সন্তুষ্ট রাখলেই সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, সংসারে শান্তি বজায় থাকে। আর এই পুজো আজও হয়ে আসছে।
*কথিত আছে, ভাদ্র মাসের রান্না আশ্বিন মাসে খাওয়ার রীতি আছে এই দিনেই। আর দেবী মনসাকে সন্তুষ্ট রাখলেই সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, সংসারে শান্তি বজায় থাকে। আর এই পুজো আজও হয়ে আসছে।
advertisement
7/7
*কেবল গ্রাম বাংলায় না, এই পুজো ইঁট-কাঠ-পাথরে ভরা শহরেও হয়ে থাকে। পরিবারের মঙ্গল এবং বংশ পরম্পরার রীতি মানতেই সাধারণত এই পুজো হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই রান্না পুজো, অরন্ধন, আর মনসা পুজো-সব মিলিয়ে এই উৎসব বাঙালির হেঁসেলের অন্তরঙ্গ পরম্পরা হয়ে বেঁচে আছে যুগ যুগ ধরে।
*কেবল গ্রাম বাংলায় না, এই পুজো ইঁট-কাঠ-পাথরে ভরা শহরেও হয়ে থাকে। পরিবারের মঙ্গল এবং বংশ পরম্পরার রীতি মানতেই সাধারণত এই পুজো হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই রান্না পুজো, অরন্ধন, আর মনসা পুজো-সব মিলিয়ে এই উৎসব বাঙালির হেঁসেলের অন্তরঙ্গ পরম্পরা হয়ে বেঁচে আছে যুগ যুগ ধরে।
advertisement
advertisement
advertisement