শিবলিঙ্গ- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ভগবান শিব বা শিবলিঙ্গকে ভুল করেও তুলসী গাছের আশপাশে রাখা উচিত নয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, তুলসী ভগবান বিষ্ণুর প্রিয়। কিংবদন্তী অনুযায়ী, তুলসী তাঁর পূর্বজন্মে বৃন্দা নামে পরিচিত ছিলেন, যিনি জলন্ধর নামক এক অসুরের স্ত্রী ছিলেন, কিন্তু জলন্ধরের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে ভগবান শিব তাঁকে হত্যা করেছিলেন। এই কারণেই শিবের পূজায় তুলসী ব্যবহার করা হয় না।
ভগবান গণেশের মূর্তি: ধর্মীয় গ্রন্থে একটি পৌরাণিক কাহিনি খুবই জনপ্রিয়। এই কাহিনি অনুসারে, একবার ভগবান গণেশ নদীর তীরে তপস্যায় মগ্ন ছিলেন। একই সময়ে মা তুলসী সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন, তিনি ভগবান গণেশের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন এবং তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এমন পরিস্থিতিতে ভগবান গণেশ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, যে কারণে মা তুলসী ভগবান গণেশকে দুটি বিয়ের জন্য অভিশাপ দিয়েছিলেন। এই কারণেই মা তুলসীর কাছে গণেশের মূর্তি রাখা হয় না, তাকে তুলসীও দেওয়া হয় না।
জুতো এবং চপ্পল: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ভুল করেও জুতো এবং চপ্পল কখনও তুলসী গাছের কাছে রাখা উচিত নয়। তাতে দেবী লক্ষ্মীর অপমান হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। তুলসীর কাছে জুতো ও চপ্পল রাখলে লক্ষ্মী রুষ্ট হন, যার কারণে মানুষকে আর্থিক সংকটে পড়তে হয়। এর পাশাপাশি জুতো ও চপ্পলকে রাহু ও শনির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।