সকল পূর্ণিমার মধ্যে চৈত্র মাসের পূর্ণিমার একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এই দিনে হনুমান জয়ন্তীও পালিত হয়। চলতি বছরে এই শুভ তিথি পড়েছে ৬ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। পূর্ণিমা তিথিকে দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। আসলে এই তিথিতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে তাঁর বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধিও বজায় থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্রে চৈত্র পূর্ণিমার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হলুদ সংক্রান্ত কিছু প্রতিকারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। চৈত্র পূর্ণিমায় এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে ঘরে ঘরে দেবী লক্ষ্মীর আগমন ঘটে এবং অর্থ ও শস্যের অভাব থাকে না। জেনে নেওয়া যাক, চৈত্র পূর্ণিমায় হলুদের এই প্রতিকার সম্পর্কে।
সুখ, ধন ও জ্ঞান বৃদ্ধি: চৈত্র পূর্ণিমায় হলুদ কাপড়ের মধ্যে কলার মূল এবং হলুদ ভাল করে বেঁধে নিতে হবে। এবার এটা ডান হাতে বেঁধে রাখতে হবে। এটা আসলে অনেকটা পোখরাজের মতো কাজ করে। এতে শুভ ফল তো মিলবেই। সেই সঙ্গে সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে এবং সুখ, সম্পদ ও জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। চৈত্র পূর্ণিমায় করা এই প্রতিকার অনেক ঝামেলা থেকে রক্ষা করে।
ভাগ্যও সঙ্গ দেয়: চৈত্র পূর্ণিমায় মা লক্ষ্মীর পূজা করতে হবে। তার পর একটি লাল কাপড়ে হলুদ, চাল এবং একটি মুদ্রা বেঁধে নিয়ে তা মা লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করতে হবে। পুজোর হয়ে গেলে লাল কাপড়ে বাঁধা সামগ্রী বাড়িতে সম্পদের স্থানে রাখতে হবে। এতে সৌভাগ্য জাগ্রত হয় এবং ঘরে সুখ, ধন ও ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পায়।
পূরণ হবে সমস্ত ইচ্ছা: চৈত্র পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করতে হবে। দুধে হলুদ মিশিয়ে ভগবান বিষ্ণুর অভিষেক করতে হবে এবং ভগবানের উদ্দেশ্যে একটি কালো হলুদ নিবেদন করতে হবে। এর পর করজোড়ে ভগবানকে নিজের মনের ইচ্ছার কথা বলতে হবে। এতে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয় এবং প্রতিটি কাজেও সাফল্য আসবে। (প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)