ঝাড়গ্রাম: ফাল্গুন মাসের চতুর্দশী অর্থাৎ শিবচতুর্দশীতে মেতে ওঠেন আপামর বাঙালি। ব্রত রাখেন মেয়ে থেকে বাড়ির মহিলারাও। স্বামী এবং পরিবারের মঙ্গল কামনায় হয় পূজো, চলে রাত্রি তে জেগে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো।
শিবরাত্রির দিন বিভিন্ন প্রাচীন শিব মন্দিরে ভিড় ভক্তদের। জঙ্গল ঘেরা ঝাড়গ্রাম এর রামেশ্বর মন্দিরে বেশ কয়েক হাজার মানুষের ভিড় শিবরাত্রি ব্রত পালনের জন্য। এবছর দুদিন পড়েছিল শিবরাত্রি ব্রত পালনের দিন। তাই শনি ও রবিবার দুদিনই ভীড় হয়েছে মন্দিরে। ভক্তরা মনস্কামনা পূরণের জন্য ভিড় জমিয়েছেন রামেশ্বর মন্দিরে। দিয়েছেন পূজাও।
সুবর্নরেখা নদীর পারে অবস্থিত সাদা রঙের রামেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস। পুরাণের কথা অনুযায়ী, মন্দির নির্মাণ করেছিলেন স্বয়ং শ্রী রামচন্দ্র। রত্নাকরের লেখা রামায়ণেও এর উল্লেখ রয়েছে।জানা যায় যে ১৪ বছরের বনবাসকালে বাংলার ভূমিতে অবস্থিত এই জঙ্গলে সময় কাটিয়েছিলেন সস্ত্রীক শ্রী রামচন্দ্র। সেই সময়ে শিব চতুর্দর্শী পড়েছিল একদিন। সীতার জন্য সুবর্নরেখা নদীর বালি দিয়ে ১২টি শিবলিঙ্গ তৈরি করেছিলেন রাজা দশরথের সন্তান রাম। সেই শিবলঙ্গের সামনেই শিবরাত্রী ব্রত করেছিলেন মা সীতা। পরে পত্নীর অনুরোধে সেখানে শিব মন্দির নির্মাণ করেন রামচন্দ্র। পরে যা রামেশ্বর মন্দির নামে পরিচিতি পায়।ওই মন্দিরের পাশে ১২২১ খ্রিষ্টাব্দে আরও একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়। ওড়িষার রাজা ওই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। সেই কারণে দ্বিতীয় মন্দিরে ওড়িষার নানাবিধ শিল্পকর্ম চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন: খুব অল্প মূলধনে শুরু করা যায় নতুন ব্যবসা, কী ভাবে দেখে নিন এক নজরেতবে পরিবারের মঙ্গল কামনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ভিড় জমান এই রামেশ্বরে। শনিবার সারাদিনের পাশাপাশি রাত্রিতে এবং রবিবার সকাল থেকে বেশ ভিড় হয়েছিল রামেশ্বর মন্দিরে। বেশ কয়েক হাজার মানুষ পুজো দেন মন্দিরে। পুজোকে ঘিরে সরকারিভাবে নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। জঙ্গল ঘেরা মন্দির থাকায় নিরাপত্তার ও ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। শিবরাত্রি উপলক্ষে রামেশ্বর এলাকায় বসেছে মেলাও। দু'বছর করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এবছর রেকর্ড সংখ্যক ভক্তের ভিড় হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: ShivRatri