পশ্চিম মেদিনীপুর: এক সময় দূরে থাকা প্রিয়জন হোক বা দরকারি কাজ, চিঠিই ছিল যোগাযোগের মাধ্যম। আর সেই চিঠি পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই দরকার হত ডাকটিকিটের। কিন্তু মোবাইল ফোন এসে গোটা বিষয়টাই পাল্টে গিয়েছে। চিঠি লেখার চল কমতে কমতে তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। ফলে প্রয়োজন ফুরিয়েছে ডাকটিকিটের। কিন্তু ডাকটিকিট তো শুধুই টিকিট নয়, তা ইতিহাস-সময়কে ধরে রাখে। আর সময়ের সেই সাক্ষ্য বহনকারী ডাকটিকিটের এক অনন্য সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন দাঁতনের গবেষক সন্তু জানা।
ডাকটিকিট সংগ্রাহক সন্তু জানা পেশায় একটি স্কুলের শিক্ষকও। তাঁর নেশা হল ডাকটিকিট সংগ্রহ করা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৯৫ টি দেশের ডাকটিকিট তাঁর সংগ্রহশালায় জায়গা পেয়েছে। সুন্দর অ্যালবামে তা সাজিয়ে রাখা আছে। শুধু সাধারণ ডাকটিকিট নয়, বিশেষ সময়ে প্রকাশিত হওয়া অপ্রতুল ও দুষ্প্রাপ্য স্ট্যাম্পও তাঁর সংগ্রহে আছে। এই সমস্ত দুষ্প্রাপ্য স্টাম্প অর্থাৎ ডাকটিকিটের ঐতিহাসিক ও বাজার মূল্য অপরিসীম। এই গবেষক নিজের বাড়িতেই আস্ত একটি ডাকটিকিটের মিউজিয়াম বানিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে যুবকের দেহ! গলায় দড়ি দেওয়ার আগে নাকি ভিডিও কল করেছিল
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা সন্তু জানা আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়েও গবেষণা করেন। তাঁর এই ডাকটিকিট সংগ্রাহক হওয়ার নেপথ্যের কাহিনীও শুনিয়েছেন ওই শিক্ষক। জানান, ছোট থেকেই বাড়িতে আসা চিঠিপত্র দেখে তাঁর শখ হয় ডাকটিকিট সংগ্রহের। সেই শুরু। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত নানা ডাকটিকিট নিজের সংগ্রহে নিয়ে আসেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম ডাকটিকিটও তাঁর সংগ্রহে আছে। জাতীর জনক মহাত্মা গান্ধীর ছবি লাগানো সেই ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। অন্যদিকে রাজা ষষ্ঠ জর্জের ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট রয়েছে সংগ্রহে। পাশাপাশি সরকারিভাবে ডাক বিভাগের তরফে ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস উপলক্ষে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়। সেই সিরিজের বেশিরভাগ স্ট্যাম্পও নিজের সংগ্রহে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর সংগ্রহে আছে পাকিস্তানের বাংলায় লেখা ডাকটিকিট!
ইতিহাস ও স্ট্যাম্প সম্পর্কে অনেক উৎসাহী সন্তু জানার বাড়িতে এসে সংগ্রহগুলি দেখেন। চাইলেও যোগাযোগ করে আপনিও পৌঁছে যেতে পারেন সন্তু জানার বাড়িতে।
রঞ্জন চন্দ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।