Paschim Medinipur: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস উদযাপন

Last Updated:

১১ই আগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভারত মাতার বীর সন্তান শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১১৫ তম আত্ম বলিদান দিবস!

+
title=

#পশ্চিম মেদিনীপুর : ১১ই আগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভারত মাতার বীর সন্তান শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১১৫ তম আত্ম বলিদান দিবস! আর এই আত্ম বলিদান দিবসের দিনে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের মোহবনী ভারত মাতার বীর সন্তান শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটেতে ভারত মাতার বীর সন্তান ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস পালন করল জেলা প্রশাসন। এই দিন উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, কেশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি, মন্ত্রী মানষ ভূঁইয়া, এছাড়াও উপস্থিত বিশিষ্ট সমাজসেবী উত্তম আনন্দ ত্রিপাঠি সহ জেলা প্রশাসন এবং ব্লক প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এইদিন আত্মবলিদান দিবস পালনের পাশাপাশি রাখিবন্ধন উৎসবও পালন করা হয়। এইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সকলেই শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত: বিপ্লবীদের রাজদ্রোহ মামলায় কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড মরিয়া হয়ে ওঠেন। ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তিমূলে কাঁপন ধরাতে বিপ্লবীরা প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেন কিংসফোর্ডকে হত্যা করার। যথাসময় এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্ষুদিরাম বসুর ওপর। আর তার সহযোগী করা হয় রংপুরের আরেক যুবক বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীকে। বিপ্লবীদের সম্ভাব্য আক্রমণ এড়াতে কিংসফোর্ডকে বদলি করা হয় মজফফরপুরে। জীবনের কঠিন ব্রত পালন করতে তারাও রওনা দিলেন মজফফরপুর। দুজনে আশ্রয় নিলেন কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশের একটি হোটেলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কিংসফোর্ডের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন।
advertisement
কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশেই ইউরোপিয়ান ক্লাব। অফিস আর ক্লাব ছাড়া কিংসফোর্ড বাইরে যেতেন না। ১৯০৮ সালের ৩০শে এপ্রিল। বাইরে আগে থেকেই দুই বিপ্লবী প্রস্তুত ছিলেন। গাড়িটি ফটক পার হতে না হতেই প্রচণ্ড শব্দে পুরো শহর কাঁপিয়ে একটি বোমা বিস্ফোরিত হল। কেনেডির স্ত্রী ও তার মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। বিধ্বস্ত গাড়িটি এক পাশে উল্টে পড়ে। যাকে হত্যার জন্য বোমার বিস্ফোরণ, সেই কিংসফোর্ডের গাড়িটি অক্ষত অবস্থায় মাত্র কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ আবারও দুদিনের টানা বৃষ্টি! ফসলে ক্ষতির আশঙ্কা জেলার চাষীদের
বোমা নিক্ষেপ করেই দুই বিপ্লবী ছুটলেন দুই দিকে। পরদিন সকালে ওয়াইসি রেলস্টেশনে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ক্ষুদিরাম। ওদিকে প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করলেন।ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা শহর যেন মুহূর্তে ভেঙে পড়ল। পুলিশবেষ্টিত ক্ষুদিরামকে একনজর দেখতে হাজারো লোক ভিড় জমাল ওয়াইসি রেলস্টেশনে। উৎসুক জনতার উদ্দেশে ক্ষুদিরামের কণ্ঠে তখন ধ্বনিত হল বজ্রনিনাদ বন্দেমাতরম…!
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভয়ানক! হাসপাতাল থেকে বিষধর সাপ উদ্ধার!
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই তরুণ বিপ্লবীকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকার অনেকটা বিপাকেই পড়ে যায়। যত দিন যাচ্ছিল, সারা ভারতে ক্ষুদিরামকে নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হচ্ছিল।ব্রিটিশের মাথা থেকে সেই বোঝা নেমে যায় সেদিন, যেদিন মামলায় ক্ষুদিরামের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। ক্ষুদিরামকে তারা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সেই রায় কার্যকর করেছিল ১৯০৮ সালের ১১ই আগস্ট।
advertisement
Partha Mukherjee
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
Paschim Medinipur: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস উদযাপন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement