Paschim Medinipore News: শিকলে ছেলেকে বেঁধে টাকা রোজগারে যেত বাবা-মা, অ্যাকাউন্টে টাকা এলেও ‘এই’ কারণে তুলতে পারা যাচ্ছে না
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
শিকলে মুক্তি মিললেও সরকারি উদাসীনতায় আর্থিক ভাবে মুক্তি মিলল না শাহাজাহানের...
#পশ্চিম মেদিনীপুর: ঠিক বছর খানেক আগে ডিসেম্বর মাসে খবরে জেরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। কারণ ২২ বছরের মুক বধির শাহাজানের শিকল থেকে মুক্তি ঘটেছিল খবরের সৌজন্যে। আর সেই ঘটনায় তড়িঘড়ি তার মাটির ঘরেই দৌড়ে এসেছিল সরকারি প্রতিনিধি থেকে পুলিশ প্রশাসন। মিডিয়ার আলোর ঝলকানিতে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অ্যাকাউন্ট বানিয়ে সরকারি সাহায্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় শাহজানের ঝুলিতে। আর তাতেই কেঁদে ফেলেছিল শাহজাহানের পরিবার।
সবাই ভেবেছিল হয়তো আর্থিকভাবে শাহাজানের যেমন মুক্তি ঘটেছে তেমনি মুক্তি ঘটেছে শারীরিক ভাবে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সরকারি অকর্মণ্যতা উদাসীনতার চিত্র দেখা গেল খোদ মেদিনীপুর শহরে। হয় তো শিকল থেকে মুক্তি ঘটেছে শাহাজানের কিন্তু আর্থিকভাবে মুক্তি ঘটলো না আজও।
advertisement
advertisement
কারণ সেই সময় সরকারি কর্মীদের উদ্যোগে তড়িঘড়ি অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে প্রতিবন্ধিকতা সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বছর ঘুরলেও আজ পর্যন্ত শাহাজান পেল না প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট। যার ফলে অ্যাকাউন্টে সরকারি টাকা এসে গেলেও কিছুতেই টাকা তুলতে পারছে না তার পরিবার। কারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট, পঞ্চায়েতের কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক নতুন করে ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিতে বলেছে। কিন্তু সেই ফর্ম ফিলাপ করেও কাগজপত্র পাচ্ছে না পরিবার। যার ফলে যেই তিমিরে ছিল শাজাহান সেই তিমিরে রয়ে গেল এই ২৩ বছরের যুবক।
advertisement
আরও পড়ুন - হানিট্র্যাপের পাল্লায় পড়ে হাল খারাপ ক্রিকেটারের, অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখানো, তারপর...
হয়তো আবার শাজাহানকে শেকলে বেঁধে দিয়েই পরের বাড়িতে কাজে যেতে হবে পরিবারকে, এই আশঙ্কায় আশঙ্কিত পরিবার। বহুবার সরকারি দপ্তরের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন শাহাজানের মা মর্জিনা বিবি ও বাবুয়া মোল্লা কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। কোনও কারণ ছাড়াই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কপালে জুটেছে শুধু আশ্বাস। এই অবস্থায় ছেলের টাকা তুলতে না পেরে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত পরিবার। বারবার কাকে জানাবেন কাকে অভিযোগ করবেন তা নিয়ে ইতস্তত এবং আতঙ্কিত।
advertisement
এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার বলেন ‘‘বিষয়টি ওনারা আগে জানায়নি। শিকল মুক্তি ঘটেছিল প্রথম খবরের জেরে।এরপর আমরা সমস্ত কাগজ পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল কিন্তু তারপর ওনারা যে টাকা তুলতে পারছেন না তা জানতাম না। হয়ত সরকারের গাফিলতি রয়েছে,আমরা বিষয়টা খোঁজ খবর করে খতিয়ে দেখব।’’
Partha Mukherjee
view commentsLocation :
First Published :
November 06, 2022 3:34 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
Paschim Medinipore News: শিকলে ছেলেকে বেঁধে টাকা রোজগারে যেত বাবা-মা, অ্যাকাউন্টে টাকা এলেও ‘এই’ কারণে তুলতে পারা যাচ্ছে না