পশ্চিম মেদিনীপুর: নানান জায়গায় দেখা যায় রাস্তার ধারে থাকা গাছে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে ছোট বড় গাছকে। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন এক ব্যবসায়ী। ছড়া লিখে উদ্ভিদের প্রাণ রক্ষার বার্তা দিলেন তিনি।
পশ্চিম মেদনীপুরের দাঁতনের মোগলমারিতে বাড়ি ব্যবসায়ী প্রশান্ত চন্দের। তিনি সচেতনতার ছড়া লিখে গাছে বেঁধে দিচ্ছেন। বলছেন, জীবন্ত গাছ পুড়িয়ে দেওয়া নিন্দনীয়। কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিচ্ছেন ঝরা পাতায়। আর সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে যাচ্ছে রাস্তার দু'পাশে থাকা গাছে। এর থেকে মানুষ নিজেদের ও প্রকৃতির ক্ষতি করছে। খড়্গপুর-বালেশ্বর জাতীয় সড়কের উপর বামনপুকুর থেকে দাঁতন শহরে ঢোকার রাজ্য সড়কের ধারের চিত্রটা এমনই। বিষয়টি জানতে পেরে মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে এসেছেন প্রশান্তবাবু।
আরও পড়ুন: দু'মাস বন্ধ থাকার পর কান্দিতে খুলে গেল রেলের টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র
গাছ জড়িয়ে ধরে তাঁর আকুলতা দেখা গিয়েছে। তিনি পরিবেশ ভালোবাসেন। ভালোবাসেন পরিচ্ছন্নতা। তাই বছরভর প্রকৃতি সম্পর্কিত ছড়া লিখে এলাকার সর্বত্র লাগিয়ে দেন। তাঁর ধারণা, মানুষ এই ছড়া পড়ে এক সময় ঠিক সচেতন হবে। রাজ্য সড়কের ধারে থাকা গাছে তাঁর লেখা সাবধানবানী জ্বলজ্বল করেছে। 'পোড়াবেন না জ্যান্ত গাছ, ভাবার সময় এসেছে আজ।'আবার আরেক জায়গায় লিখেছেন 'খেয়াল রাখুন জনগণ, বিনা কারনে নয় নিধন।' অথবা 'একটি গাছ একটি প্রাণ, গাছকে ভাবুন নিজের সন্তান।'
গাছপ্রেমী এই ব্যবসায়ী বলেন, "মানুষ যেন দিনদিন নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে। সন্তান-সম গাছ তথা প্রকৃতিকে ধ্বংস করতেও পিছপা হচ্ছে না। তাই প্রকৃতি ধীরে ধীরে অশান্ত হয়ে উঠছে। আমাদের প্রয়োজন প্রকৃতি সম্পর্কে সঠিকভাবে সচেতন হওয়া।" প্রশান্ত চন্দের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে দাঁতন-১ ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকায় তেমন বসতি নেই। ফলে কে বা কারা গাছে আগুন লাগাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। বিডিও চিত্তজিত বসু বলেন, " আগুন লাগানোর বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে মাইক প্রচার ও প্ল্যাকার্ড লাগানো হবে।" ব্যবসায়ী প্রশান্ত চন্দের এই মহতী উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fire, West Medinipur News