ঝাড়গ্রাম: এভাবেও ফিরে আসা যায়! এক যুগ মানে প্রায় ১২ বছর পর নিখোঁজ ছেলে বাড়ি ফিরল। সৌজন্যে তিন সমাজসেবী। ঝাড়গ্রামের খামার এলাকার ঘটনা।
গত ৫ ডিসেম্বর অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ঝাড়গ্রাম চিচিড়া স্বামী বিবেকানন্দ গ্ৰাম বিকাশ কেন্দ্র সমাজসেবী সংগঠনের কৌশিক দাসের কাছে একটি ফোন আসে। রাজস্থানের 'আপনা ঘর আশ্রম' কর্তৃপক্ষ ফোন করেছিল। তারা জানায় জেলার বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত খামার গ্ৰামের অরবিন্দ সিং নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি তাদের ভরতপুরের আশ্রমে আছেন। জানা যায় প্রায় ১২ বছর আগে তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই অরবিন্দ সিং-কে ফিরিয়ে আনার তদ্বির শুরু করেন কৌশিক দাসরা।
আরও পড়ুন: অনুব্রতয় অ্যালার্জি? বীরভূমে মমতা, কোথাও নেই কেষ্টর মুখ! তৃণমূলের কৌশলে জোর জল্পনা
এরপর সমাজসেবী সংগঠনটির পক্ষ থেকে অরবিন্দের পরিবারের সন্ধান চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। তাতে ম্যাজিকের মত কাজ হয়। ১৭ ডিসেম্বর ওই নিরুদ্দেশ ব্যক্তির পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর পরিবারের এক সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ জানুয়ারি রাজস্থান রওনা হন কৌশিক দাস। তাঁদের সঙ্গে যান গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরৈখিক রেলপথ সংগ্ৰাম কমিটির সভাপতি ও সমাজসেবী সত্যব্রত রাউত, সোনারপুরের স্বর্ণদীপ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের শ্রীকান্ত বধুক।
২৫ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সকালে তাঁরা ভরতপুরের আপনা ঘর আশ্রমে গিয়ে হাজির হন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই-সাবুদ সেরে অরবিন্দকে নিয়ে ফের রওনা দেন ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে। ২৭ জানুয়ারি সকালে অরবিন্দ সিং এই তিন সমাজসেবীর হাত ধরে ১২ বছর পর আবার বাড়িতে প্রবেশ করেন। অরবিন্দের ভাই রবি সিং বলেন,"এতবছর পর দাদাকে খুঁজে পাওয়া যাবে তা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। এই দিন সমাজসেবীর কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের বরণ করে নেন গ্রামবাসীরা। ফুলের মালা পরিয়ে, চন্দন চন্দনের টিপ ও শঙ্খ বাজিয়ে কৌশিকদের কাজকে সম্মান জানানো হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।