Jhargram News: জানেন কী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পদধূলিতে ধন্য ঝাড়গ্রামের এই জায়গা..
- Published by:Samarpita Banerjee
Last Updated:
১৯৪০ সালের ১২ই মে ঝাড়গ্রামের দুর্গা ময়দানে এক জনসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষ চন্দ্র বসু। তখনও তিনি নেতাজি হননি। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় এটাই ছিল নেতাজির শেষ সভা
#পশ্চিম মেদিনীপুর: ১৯৪০ সালের ১২ই মে ঝাড়গ্রামের দুর্গা ময়দানে এক জনসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষ চন্দ্র বসু। তখনও তিনি নেতাজি হননি। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় এটাই ছিল নেতাজির শেষ সভা। ধুতি পাঞ্জাবি এবং গান্ধি টুপি পরে নেতাজি উপস্থিত হয়েছিলেন সেই জনসভায়। তাই ঐতিহাসিক এই দিনটিকে আজকের দিনেও গুরুত্বের সাথে পালন করেন দুর্গা ময়দান ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজনেরা।
তাদের আক্ষেপ ছিলো, নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছেনা। তবে সে আক্ষেপ বৃহস্পতিবার অনেকটাই পূরণ হল। এদিন ঝাড়গ্রামের দুর্গা ময়দান ক্লাব প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তি আর সেই মূর্তি বসানো হল তাঁর সেইদিনের মিটিং স্থলে। যেহেতু সুভাষ চন্দ্র বসু তখনও নেতাজি আক্ষা পাননি, তাই তাঁর পাঞ্জাবি পরিহিত আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়।
advertisement
এদিন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তির উদ্বোধন করেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং ব্যান্ডপার্টি সহযোগে ক্লাবের সদস্যরা শহর পরিক্রমা করেন। তারপর, যেহেতু নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূল স্লোগান ছিল 'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো', তাই রক্তদানের মধ্য দিয়েই তাঁকে এদিন শ্রদ্ধা জানানো হয়।
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত, ১৯৪০ সালে নাড়াজোলের রাজা কুমার দেবেন্দ্র লাল খানের উদ্যোগে সেই সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই সভায় নেতাজি ঘোষণা করেছিলেন, আপোস নয়, সংগ্রাম আর ত্যাগের পথেই স্বরাজ আসবে। আর তাই বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে মাঠ এবং নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গাকে প্রতিষ্ঠিত করতে একক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ক্লাবের সদস্যরা। আজ যার অনেকটা পূরণ হওয়ায় খুশি ক্লাব কর্মকর্তা থেকে এলাকার মানুষেরা।
advertisement
Partha Mukherjee
view commentsLocation :
First Published :
May 12, 2022 9:03 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
Jhargram News: জানেন কী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পদধূলিতে ধন্য ঝাড়গ্রামের এই জায়গা..